কোন আমল থেকে সমগ্র বাংলাদেশের অধিবাসীরা 'বাঙালি' নামে পরিচিতি লাভ করে?
A
ইলিয়াস শাহী আমল
B
গুপ্ত আমল
C
পাল আমল
D
হোসেন শাহী আমল
উত্তরের বিবরণ
ইলিয়াস শাহী আমল বাংলাদেশে প্রায় ১২২ বছর স্থায়ী শাসনকালীন গুরুত্বপূর্ণ ও সমৃদ্ধশালী সময় হিসেবে বিবেচিত হয়। এই আমলে রাজনীতি, সংস্কৃতি, সমাজ ও অর্থনীতিতে বিশেষ পরিবর্তন এবং উন্নয়ন লক্ষ্য করা যায়।
-
ইলিয়াস শাহী বংশের প্রতিষ্ঠাতা সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ্ বাংলার বিভিন্ন অংশ একত্রিত করে প্রথমবার সমগ্র বাংলাদেশকে শাসন করেন।
-
এর আগে কোনো মুসলমান সুলতান সমগ্র বাংলা অঞ্চলকে একত্রিত করতে পারেননি।
-
এই সময় থেকেই সমগ্র বাংলাদেশ পরিচিত হয় 'বাঙ্গালা' নামে এবং অধিবাসীরা পরিচিত হয় 'বাঙালি' নামে।
-
স্থানীয় জনগণের মন জয় করতে শাহী সুলতানগণ উদারনৈতিক নীতি গ্রহণ করেন।
-
তারা জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে যোগ্যতার ভিত্তিতে সকলকে শাসনকার্যে ও সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দেন।
-
দেশীয় ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি সমাদর প্রদর্শন করে দেশীয় কবিদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন।
-
তাদের উদার নীতির ফলে সমাজে নতুন ধারা ও সংস্কৃতির বিকাশ ঘটে।
-
ইলিয়াস শাহী শাসকরা আরব দেশ, চীন ও পারস্যের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।
-
এই আমলে বাংলার কৃষি, শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটে।

0
Updated: 12 hours ago
বাংলায় সেন বংশের (১০৭০-১২৩০ খ্রিষ্টাব্দ) শেষ শাসনকর্তা কে ছিলেন?
Created: 1 week ago
A
হেমন্ত সেন
B
বল্লাল সেন
C
লক্ষণ সেন
D
কেশব সেন
বাংলায় সেন বংশের শাসন
শুরু: পাল বংশের পতনের পর দ্বাদশ শতকের দ্বিতীয় ভাগে বাংলায় সেন রাজবংশের উদ্ভব ঘটে।
প্রতিষ্ঠাতা: এই রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন হেমন্ত সেন, যিনি সামন্ত সেনের পুত্র ছিলেন।
শ্রেষ্ঠ রাজা: বিজয় সেন। তাঁর আমলে সেন রাজবংশ সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা পায় এবং বাংলায় একটি শক্তিশালী রাজশক্তি গড়ে ওঠে।
শেষ উল্লেখযোগ্য রাজা: লক্ষ্মণ সেন। ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে বখতিয়ার খলজী নদীয়া আক্রমণ করলে তিনি প্রতিরোধ না করে বিক্রমপুরে সরে আসেন এবং সেখানেই প্রায় ২/৩ বছর রাজত্ব চালান।
লক্ষ্মণ সেনের পরবর্তী শাসন:
লক্ষ্মণ সেনের মৃত্যুর (১২০৫/০৬ খ্রিস্টাব্দ) পর তাঁর দুই পুত্র বিশ্বরূপ সেন ও কেশব সেন সিংহাসনে বসেন। তাঁদের সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া না গেলেও ধারণা করা হয়, তাঁরা বাংলার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রায় ২৫ বছর শাসন চালান।
কেশব সেন:
কেশব সেনের রাজত্বকাল ছিল ১২২৫ থেকে ১২৩০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। এর পরে সেন রাজবংশ বাংলায় আর কোনো শাসন চালিয়েছে—এমন প্রমাণ পাওয়া যায় না।
মূল বিষয়
-
সাধারণত বাংলার শেষ রাজা হিসেবে লক্ষ্মণ সেনের নাম উল্লেখ করা হয়।
-
কিন্তু ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী সেন বংশ লক্ষ্মণ সেনের মৃত্যুর পরও কিছুদিন টিকে ছিল।
-
এ কারণে সেন বংশের শেষ শাসক হিসেবে কেশব সেনকেই ধরা হয় (১২২৫–১২৩০ খ্রি.)।
উৎসঃ বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা (নবম-দশম শ্রেণি)

0
Updated: 1 week ago
রূপকল্প-২০৪১ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কত?
Created: 5 days ago
A
৭.৬%
B
৮.২%
C
৯.৯%
D
১০.১%
রূপকল্প-২০৪১:
- ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশের কাতারে সামিল করার লক্ষ্য সামনে রেখে রূপকল্প ২০৪১।
- রূপকল্প ২০৪১ এর খসড়া জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদিত হয়।
- ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের পর্যায় পেরিয়ে এক শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ, সুখী এবং উন্নত জনপদ।
- সুশাসন, জনগণের সক্ষমতা ও ক্ষমতায়ন হবে এই অগ্রযাত্রার মূলমন্ত্র।
উদ্দেশ্য:
- সম্ভাব্য জনসংখ্যা ২১ কোটি ৩ লাখ।
- মাথাপিছু আয়: ১২,৫০০ ডলার (২০৪১ সালের মূল্যমানে ১৬,০০০ ডলারের বেশি)।
- দারিদ্র্য দূরীকরণ।
- ২০৪১ সালের মধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৯.৯%।
- প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৮০ বছর।
- ২০৪১ সালের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের সাক্ষরতার হার ১০০% এ বৃদ্ধি করা।
- জনসংখ্যা বৃদ্ধি ১% এরও নিচে নামিয়ে আনা।

0
Updated: 5 days ago
কুষাণ বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট কণিষ্কের রাজধানী ছিল কোনটি?
পুরুষপুর
Created: 5 days ago
A
পুরুষপুর
B
মথুরা
C
তক্ষশিলা
D
উজ্জয়িনী
কুষাণ যুগ (৩০ খ্রিস্টপূর্ব – ৩য় শতক)
কুষাণদের পরিচয়
-
কুষাণরা ছিল ইউ-চি জাতির একটি শাখা।
-
ইউ-চির পাঁচটি শাখা ঐক্যবদ্ধ করে কুজলা কদফিসেস কুষাণ সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপন করেন।
-
তিনি কাবুল, সোমায়ার, কাশ্মির দখল করেন।
কদফিসেস বংশ
-
কুজলা কদফিসেসের পুত্র বিম কদফিসেস → তাঁর সাম্রাজ্য তুর্কিস্থান থেকে সিন্ধু উপত্যকা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
সম্রাট কণিষ্ক (৭৮ খ্রিস্টাব্দ – ১০১ খ্রিস্টাব্দ)
-
কুষাণ বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট।
-
৭৮ খ্রিস্টাব্দে সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং একটি অব্দ চালু করেন → পরবর্তীতে এটি শকাব্দ নামে পরিচিত হয়।
-
রাজধানী: পুরুষপুর (বর্তমান পেশোয়ার)।
-
সাম্রাজ্য বিস্তার:
-
পশ্চিমে পেশোয়ার থেকে পূর্বে পশ্চিমবঙ্গ,
-
উত্তরে কাশ্মির থেকে দক্ষিণে মধ্যপ্রদেশ পর্যন্ত।
-
ভারতের বাইরে আফগানিস্তান ও সোভিয়েত তুর্কিস্থানের অংশ।
-
-
প্রশাসন → বিশাল সাম্রাজ্যকে কয়েক ভাগে বিভক্ত করে কর্মকর্তাদের দ্বারা শাসন।
-
ধর্ম: তাঁর আমলে বৌদ্ধধর্ম → হীনযান ও মহাযান এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়।
-
মৃত্যু: ২৩ বছর রাজত্বের পর ১০১ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ।

0
Updated: 5 days ago