নিম্নের কোন আন্দোলনের সাথে 'তমদ্দুন মজলিস' জড়িত?
A
শাসনতন্ত্র আন্দোলন
B
ভাষা আন্দোলন
C
দেশ বিভাগ
D
কোনটি নয়
উত্তরের বিবরণ
তমদ্দুন মজলিস পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনের পরপরই ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠন হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ভাষা আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপন করে এবং বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
১৯৪৭ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয় ভাষা আন্দোলনের প্রথম পুস্তিকা 'পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু', যেখানে রাষ্ট্রভাষা বাংলা দাবির পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়।
-
তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর মাসে গঠিত হয় প্রথম 'রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ', যার আহ্বায়ক হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নূরুল হক ভূইয়া।
-
রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের পাশাপাশি পাকিস্তান গণতান্ত্রিক যুবলীগ, পূর্ববঙ্গ বুদ্ধিজীবী সমাজ, সাংবাদিক সংঘ প্রভৃতি সংগঠনও বিভিন্ন সভা-সমিতিতে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উত্থাপন করে।
-
এসব দাবিকেও উপেক্ষা করে ডিসেম্বর মাসে করাচিতে অনুষ্ঠিত শিক্ষা সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সংবিধান সভার কাছে সুপারিশ করা হয়।
0
Updated: 1 month ago
'কবর' নাটকটি কোন পটভুমিতে লেখা?
Created: 1 week ago
A
মুক্তিযুদ্ধ
B
ভাষা আন্দোলন
C
ঊনসত্তর-এর গণভ্যূথ্যান
D
স্বৈরচার বিরোধী আন্দোলন
‘কবর’ নাটকটি লেখা হয়েছে বাংলা ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে। নাট্যকার মুনীর চৌধুরী এই নাটকটি রচনা করেন ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের রক্তাক্ত ঘটনার পরপরই। এর মাধ্যমে তিনি জাতির আত্মত্যাগ, প্রতিবাদ এবং ভাষার মর্যাদার জন্য সংগ্রামের চেতনা ফুটিয়ে তুলেছেন। নাটকটি প্রতীকী হলেও বাস্তব ঘটনাবলির সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত।
নাটকটির পটভূমি ও ভাবার্থ বোঝার জন্য নিচের তথ্যগুলো গুরুত্বপূর্ণ—
• ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট: পাকিস্তান সরকার যখন উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দেয়, তখন পূর্ব বাংলার মানুষ প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। এই আন্দোলনের ফলেই ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভাষার অধিকারের জন্য রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে, যেখানে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ অনেকেই শহীদ হন।
• নাটক রচনার উদ্দেশ্য: মুনীর চৌধুরী তখন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে তিনি কারাগারের ভেতরেই “কবর” নাটকটি লেখেন, যা প্রতিরোধ ও জাতীয় চেতনার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
• প্রতীকী উপস্থাপনা: নাটকে কবরের ভেতর মৃত চরিত্রগুলোর সংলাপের মাধ্যমে জীবন্ত জাতির জাগরণ ও শহীদদের অমরতা তুলে ধরা হয়েছে। এটি শুধু শোকের নয়, বরং প্রতিবাদের নাটক—যেখানে মৃত্যু নতুন জীবনের জন্ম দেয়।
• সমাজ ও রাজনীতির প্রতিচ্ছবি: নাটকে শোষণ, অন্যায়, নিপীড়নের বিরুদ্ধে জনতার কণ্ঠস্বর প্রতিধ্বনিত হয়েছে। এটি কেবল ভাষার দাবিই নয়, বরং স্বাধীন চিন্তা ও জাতীয় মর্যাদার প্রতিরূপ।
• শিল্পগুণ ও বার্তা: নাটকটি সংক্ষিপ্ত হলেও ভাষা, প্রতীক ও আবেগে ভরপুর। এর প্রতিটি সংলাপ মানুষের মনের গভীরে দেশপ্রেম, প্রতিবাদ ও আত্মত্যাগের অনুপ্রেরণা জাগায়।
সব মিলিয়ে, ‘কবর’ নাটকটি ভাষা আন্দোলনেরই প্রতিচ্ছবি, যেখানে ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য আত্মদানকে অমরত্বের আসনে বসানো হয়েছে। এটি বাংলা নাট্যসাহিত্যের এক অনন্য সৃষ্টি, যা আজও আমাদের জাতীয় চেতনার অবিচ্ছেদ্য অংশ।
0
Updated: 1 week ago
ভাষা আন্দোলন নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র কোনটি?
Created: 4 weeks ago
A
আমার জন্মভূমি
B
আবার তোরা মানুষ হ
C
ফাগুন হাওয়ায়
D
মেঘের পর মেঘ
চলচ্চিত্র ‘ফাগুন হাওয়ায়’ হলো একটি ভাষা আন্দোলনভিত্তিক সিনেমা, যা আমাদের দেশের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে তুলে ধরে। ছবিটি দর্শকদের মনে জাগায় দেশপ্রেম ও ভাষার প্রতি গভীর শ্রদ্ধাবোধ।
-
এই চলচ্চিত্রটি তৌকীর আহমেদ পরিচালিত।
-
এর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড।
-
ছবিতে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা ও অভিনেতা সিয়াম আহমেদ।
-
কাহিনির পটভূমি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, যেখানে মানুষের অধিকার ও মাতৃভাষার জন্য সংগ্রামের চিত্র ফুটে উঠেছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ‘আমার জন্মভূমি’, ‘আবার তোরা মানুষ হ’ এবং ‘মেঘের পর মেঘ’—এই চলচ্চিত্রগুলো মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা হিসেবে আমাদের জাতীয় ইতিহাস ও চেতনার সঙ্গে সম্পর্কিত।
0
Updated: 4 weeks ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় সিপাহী হামিদুর রহমান কোন সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেন?
Created: 2 months ago
A
১নং সেক্টর
B
২নং সেক্টর
C
৩নং সেক্টর
D
৪নং সেক্টর
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
মুক্তিযুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠ ও সংশ্লিষ্ট সেক্টর
| বীরশ্রেষ্ঠ | সেক্টর |
|---|---|
| ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ | ১নং সেক্টর |
| সিপাহী মোস্তফা কামাল | ২নং সেক্টর |
| সিপাহী হামিদুর রহমান | ৪নং সেক্টর |
| ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর | ৭নং সেক্টর |
| ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ | ৮নং সেক্টর |
| ইঞ্জিনরুম আর্টিফিসার রুহুল আমীন | ১০নং সেক্টর |
| ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান | কোনো সেক্টরের অধীনে ছিলেন না |
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
0
Updated: 2 months ago