চিকিৎসা ক্ষেত্রে কম্পিউটার-এর কাজ কোনটি?
A
তথ্য সংরক্ষণ
B
রোগী পর্যবেক্ষণ
C
ইমেজ বিশ্লেষণ
D
উপরের সবগুলো
উত্তরের বিবরণ
চিকিৎসা ক্ষেত্রে কম্পিউটার রোগ নির্ণয়, তথ্য সংরক্ষণ এবং পর্যবেক্ষণে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
-
বর্তমানে প্রায় সকল দেশে রোগ নির্ণয়ের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করে সূক্ষ্মভাবে রোগ সনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে।
-
EHR (Electronic Health Record) ব্যবহারের মাধ্যমে রোগীর সকল তথ্য ডাটাবেসে সংরক্ষিত থাকে। রোগী তার EHR ব্যবহার করে যেকোনো স্থান থেকে রিপোর্ট, চিকিৎসা ব্যবস্থা ও অন্যান্য তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারে।
-
CT Scan (Computed Tomography Scan) চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটি প্রতিচ্ছবি তৈরি প্রক্রিয়া, যেখানে আলোর প্রতিসরণ ও জ্যামিতিক হিসাব ব্যবহার করে দ্বিমাত্রিক ছবিকে ত্রিমাত্রিক আকারে রূপান্তর করা হয়, ফলে বস্তুর অবস্থান নিখুঁতভাবে নির্ধারণ করা সম্ভব হয়।
-
রোগীর অস্বাভাবিক লক্ষণ পর্যবেক্ষণের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়, যেমন ইসিজি (ECG), ইকোকার্ডিওগ্রাম (Echocardiogram)।
অর্থাৎ, চিকিৎসাক্ষেত্রে তথ্য সংরক্ষণ, ইমেজ বিশ্লেষণ এবং রোগী পর্যবেক্ষণ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়।
উৎস:

0
Updated: 12 hours ago
কোনটি Pay-As-You-Go ক্লাউড মডেলের সুবিধা?
Created: 1 week ago
A
পরিবর্তনশীল লোডের জন্য খরচ কার্যকর
B
ব্যবহার ট্র্যাক করার প্রয়োজন নেই
C
উচ্চ প্রাথমিক বিনিয়োগ
D
সবসময় সীমাহীন রিসোর্স
Pay-As-You-Go (PAYG) ক্লাউড মডেল
Pay-As-You-Go (PAYG) ক্লাউড মডেলটি মূলত খরচ কার্যকর এবং নমনীয়তা প্রদান করে। এতে ব্যবহারকারীরা শুধুমাত্র ব্যবহৃত রিসোর্সের জন্যই অর্থ প্রদান করেন, যা বিশেষভাবে পরিবর্তনশীল লোড বা ট্রাফিকের জন্য উপযোগী। অর্থাৎ, হঠাৎ চাহিদা বাড়লেও অতিরিক্ত খরচ হয় না এবং কম ব্যবহারের সময় কম খরচ হয়। এই মডেলে কোনো উচ্চ প্রাথমিক বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই, তবে ব্যবহার ট্র্যাক না করলে খরচ নিয়ন্ত্রণ কঠিন হতে পারে। এছাড়া, রিসোর্স সীমাহীন নয়; এটি প্রদানকৃত পরিমাণ অনুযায়ী সীমিত। তাই মূল সুবিধা হলো পরিবর্তনশীল লোডের জন্য খরচ কার্যকর।
সঠিক উত্তর: ক) পরিবর্তনশীল লোডের জন্য খরচ কার্যকর।
ক্লাউড কম্পিউটিং
-
ক্লাউড কম্পিউটিং এর মূল বিষয়টি হলো নিজের ব্যবহৃত কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভের পরিবর্তে ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী কোন প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে সার্ভিস বা হার্ডওয়্যার ভাড়া নেওয়া।
-
ক্লাউড কম্পিউটিং কোনো নির্দিষ্ট টেকনোলজি নয়, বেশ কয়েকটি টেকনোলজিকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা একটি ব্যবসায়িক মডেল বা বিশেষ পরিসেবা।
-
অ্যামাজন বাণিজ্যিকভাবে ২০০৬ সালে এর ব্যবহার শুরু করে।
ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের প্রধান সার্ভিস মডেল
সেবার ধরণ অনুসারে ক্লাউড কম্পিউটিংকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়:
১. Infrastructure-as-a-Service (IaaS)
-
ব্যবহারকারী তার প্রয়োজনীয় অপারেটিং সিস্টেম ও সফটওয়্যার চালানোর জন্য ক্লাউড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান তাদের নেটওয়ার্ক, সিপিইউ, স্টোরেজ ও অন্যান্য মৌলিক কম্পিউটিং রিসোর্স ভাড়া দেয়।
-
উদাহরণ: Amazon Elastic Compute Cloud (EC2)।
২. Platform-as-a-Service (PaaS)
-
ক্লাউড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার, অপারেটিং সিস্টেম, ওয়েব সার্ভার, ডেটাবেজ ইত্যাদি থাকে।
-
অ্যাপলিকেশন ডেভেলপারগণ তাদের তৈরি করা সফ্টওয়্যার এই প্ল্যাটফর্মে ভাড়ায় চালাতে পারেন।
-
উদাহরণ: Google App Engine, Microsoft Azure।
৩. Software-as-a-Service (SaaS)
-
ক্লাউড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের তৈরিকৃত অ্যাপলিকেশন সফটওয়্যার ব্যবহারকারীগণ ইন্টারনেটের মাধ্যমে চালাতে পারেন।
-
উদাহরণ: Google Docs।
NIST (National Institute of Standards and Technology) অনুযায়ী ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের বৈশিষ্ট্য
১. রিসোর্স স্কেলেবিলিটি: ছোট বা বড় যাই হোক, ক্রেতার সব ধরনের চাহিদাই মেটানো হবে। সেবা দাতা চাহিদা অনুযায়ী সেবা দিতে পারবে।
২. অন-ডিমান্ড: ক্রেতা যখন চাইবে তখনই সেবা দিতে পারবে। ইচ্ছা অনুযায়ী চাহিদা বাড়াতে বা কমাতে পারবে।
৩. Pay-As-You-Go: এটি একটি পেমেন্ট মডেল। ক্রেতাকে আগে থেকে কোনো সার্ভিস রিজার্ভ করতে হবে না। ব্যবহার অনুযায়ী কেবলমাত্র তার জন্যই অর্থ প্রদান করতে হবে।
উৎস
১. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণী, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান।
২. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
নেটফ্লিক্স মূলত কী ধরনের পরিষেবা প্রদান করে?
Created: 3 weeks ago
A
বিজ্ঞাপন পরিষেবা
B
স্ট্রিমিং পরিষেবা
C
অনলাইন মার্কেটিং পরিষেবা
D
চাকরি বিজ্ঞপ্তি পরিষেবা
নেটফ্লিক্স (Netflix)
সংজ্ঞা:
নেটফ্লিক্স হলো একটি নিবন্ধনভিত্তিক (subscription-based) স্ট্রিমিং সার্ভিস, যা ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেটে টিভি শো ও সিনেমা বিজ্ঞাপন ছাড়াই দেখার সুবিধা দেয়।
মূল বৈশিষ্ট্য:
-
ব্যবহারকারীরা প্রয়োজনে শো বা মুভি ডাউনলোড করে অফলাইনেও দেখতে পারে।
-
প্রতিষ্ঠিত: ১৯৯৭ সালের ২৯ আগস্ট, রিড হ্যাস্টিংস ও মার্ক রেন্ডলফ কর্তৃক, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।
-
বাংলাদেশসহ ১৩০টি দেশে জনপ্রিয় অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিং সেবা প্রদান।
-
শুধুমাত্র নিবন্ধিত গ্রাহকরা ব্যবহার করতে পারে এবং মাসিক ফি দিতে হয়।
-
নামকরা চলচ্চিত্র ও টিভি সিরিজ তৈরি করে আন্তর্জাতিক দর্শকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

0
Updated: 3 weeks ago
আধুনিক ইন্টারনেটের প্রাথমিক সংস্করণ ARPANET কত সালে যাত্রা শুরু করে?
Created: 5 days ago
A
১৯৯৫
B
১৯৮৩
C
১৯৭২
D
১৯৬৯
তথ্য প্রযুক্তি
ইন্টারনেটের সংযোগ পদ্ধতি (Internet Connectivity Methods)
তথ্য (Information)
তথ্য প্রযুক্তি
ইন্টারনেটের সূচনা এবং এর প্রাথমিক ইতিহাসের মাধ্যমে আধুনিক নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির ভিত্তি তৈরি হয়। ARPANET-এর মাধ্যমে এটি শুরু হলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট সর্বসাধারণের জন্য সহজলভ্য হয়ে ওঠে। বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হলো:
-
ইন্টারনেটের প্রাথমিক সংস্করণ:
-
ইন্টারনেটের প্রাথমিক সংস্করণ ARPANET (Advanced Research Projects Agency Network) নামে পরিচিত, যা ১৯৬৯ সালে প্রথম চালু হয়।
-
এটি চারটি ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারকে সংযুক্ত করে প্রথম সফলভাবে ডেটা আদান-প্রদান করেছিল।
-
-
ইন্টারনেটের উদ্ভব ও প্রাথমিক সংযোগ:
-
ইন্টারনেট মূলত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের একটি প্রোগ্রাম, যা ARPANET-এর মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে।
-
১৯৬৯ সালের ২৯শে অক্টোবর লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (UCLA) এবং স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট (SRI)-এর মধ্যে প্রথম হোস্ট-টু-হোস্ট সংযোগ স্থাপন করা হয়।
-
এই সংযোগের মাধ্যমে একটি কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা প্যাকেট পাঠানো সম্ভব হয়।
-
-
ARPANET-এর উদ্দেশ্য ও সীমাবদ্ধতা:
-
নেটওয়ার্কের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে সংযুক্ত করা এবং তথ্য আদান-প্রদান সহজ করা।
-
যদিও ARPANET ইন্টারনেটের ভিত্তি স্থাপন করেছিল, এটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল না।
-
-
প্রধান উন্নয়ন ও ঘটনা:
-
১৯৭১ সালে প্রথম ই-মেইল প্রোগ্রাম তৈরি হয়, যা ARPANET-এর মাধ্যমে পাঠানো হয়।
-
১৯৮৩ সালে ARPANET-এ TCP/IP প্রটোকলকে স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে গ্রহণ করা হয়, যা আধুনিক ইন্টারনেটের 'অফিসিয়াল জন্মদিন' হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
১৯৯০ সালে ARPANET বন্ধ হয়ে যায় এবং ইন্টারনেট বাণিজ্যিকভাবে সাধারণের জন্য উন্মুক্ত হতে শুরু করে।
-
বাংলাদেশে ইন্টারনেট চালু হয় ১৯৯৬ সালে।
-
উৎস:

0
Updated: 5 days ago