নির্দিষ্ট কার্যাবলীর জন্য হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের সমন্বিত বিশেষায়িত ব্যবস্থাকে কী বলা হয়?
A
নেটওয়ার্ক সার্ভার
B
ডেটা সার্ভার
C
এমবেডেড সিস্টেম
D
হাই-পারফরম্যান্স কম্পিউটার
উত্তরের বিবরণ
এমবেডেড সিস্টেম হলো একটি বিশেষ উদ্দেশ্যমূলক সিস্টেম, যা হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের সমন্বয়ে গঠিত এবং একটি নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনের জন্য ডিজাইন করা হয়। এটি সাধারণত ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন স্মার্টফোন, গাড়ির ইলেকট্রনিক সিস্টেম বা হোম অ্যাপ্লায়েন্সে ব্যবহৃত হয়।
এমবেডেড কম্পিউটার সম্পর্কিত তথ্য:
-
এটি একটি বিশেষায়িত কম্পিউটার সিস্টেম, যা বৃহৎ সিস্টেম বা মেশিনের অংশ হিসেবে কাজ করে।
-
সাধারণত মাইক্রোপ্রসেসর বোর্ড এবং কিছু সুনির্দিষ্ট প্রোগ্রাম সম্বলিত রম থাকে।
-
আধুনিক এমবেডেড সিস্টেমে মাইক্রোকন্ট্রোলার ব্যবহার করা হয়।
এমবেডেড কম্পিউটারের ব্যবহার:
-
গাড়ি
-
সেলফোন ও স্মার্টফোন
-
প্রিন্টার
-
মাইক্রোওয়েভ
-
ওয়াশিং মেশিন
-
এয়ার কন্ডিশনার (এসি)
-
ঘড়ি
-
থার্মোস্ট্যাট
-
ভিডিও গেমস
-
ভ্যাকুয়াম ক্লিনার
-
ATM
-
সিকিউরিটি ক্যামেরা
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
SWIFT-এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য কী?
Created: 1 month ago
A
ব্যাংকগুলিকে ঋণ প্রদান করা
B
ব্যাংকগুলোর মধ্যে নিরাপদ আর্থিক বার্তা প্রেরণ করা
C
একটি স্টক এক্সচেঞ্জ হিসেবে কাজ করা
D
ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন পরিচালনা করা
SWIFT এর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নিরাপদভাবে আর্থিক বার্তা প্রেরণ করা। এটি কোনো ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বা স্টক এক্সচেঞ্জ নয় এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত হয় না। SWIFT (Society for Worldwide Interbank Financial Telecommunication) একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক, যা ব্যাংকগুলোকে দ্রুত ও নির্ভরযোগ্যভাবে অর্থমূলক বার্তা আদানপ্রদান করার সুযোগ দেয়। এর মাধ্যমে ব্যাংক ট্রান্সফার, লোন বা অন্যান্য আর্থিক লেনদেনের তথ্য নিরাপদে আদানপ্রদান করা সম্ভব হয়। সুতরাং SWIFT বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং সেক্টরে লেনদেনের নির্ভরযোগ্য ও সুরক্ষিত মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সঠিক উত্তর হলো ব্যাংকগুলোর মধ্যে নিরাপদ আর্থিক বার্তা প্রেরণ করা।
SWIFT কোড এবং নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত তথ্য:
-
SWIFT হলো বেলজিয়ামভিত্তিক আন্তঃব্যাংক আর্থিক লেনদেনের নেটওয়ার্ক।
-
সুইফট-এর মাধ্যমে আন্তঃব্যাংক লেনদেনের পরিচিতি শনাক্ত করা হয়।
-
SWIFT প্রধানত একটি বিশ্বব্যাপী মেসেজিং নেটওয়ার্ক প্রদান করে, যা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিরাপদভাবে টাকা স্থানান্তরের নির্দেশসহ বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করতে সাহায্য করে এবং আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সহজতর করে।
-
লেনদেনের শনাক্তকরণ সংকেতলিপি বা কোডের মাধ্যমে করা হয়।
-
লেনদেনের তারবার্তা (ওয়্যার) SWIFT কোডের মাধ্যমে আদান-প্রদান করা হয়।
-
বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশে প্রায় ১১,০০০ ব্যাংক SWIFT ব্যবহার করে।
-
কোড পরিচালনা ও স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণকারী প্রতিষ্ঠান হলো আন্তর্জাতিক SWIFT সংস্থা।
চাওয়াতে আমি চাইলে SWIFT কোডের গঠন ও উদাহরণসহ ব্যবহার প্রক্রিয়াও সংযোজন করতে পারি।
0
Updated: 1 month ago
IoT (Internet of Things) ডিভাইস সাধারণত কোন প্রোটোকল ব্যবহার করে ডেটা বিনিময় করে?
Created: 3 weeks ago
A
FTP ও SMTP
B
IP ও TCP
C
HTTP ও HTTPS
D
DNS ও DHCP
সঠিক উত্তর: IoT (Internet of Things) ডিভাইস সাধারণত IP ও TCP প্রোটোকল ব্যবহার করে ডেটা বিনিময় করে।
ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT):
Internet of Things (IoT) হলো এমন একটি নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা, যেখানে বিভিন্ন ডিজিটাল এবং শারীরিক ডিভাইস—যেমন সেন্সর, স্মার্টফোন, যানবাহন, মেশিন, ও চিকিৎসা যন্ত্র—ইন্টারনেটের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে তথ্য আদান–প্রদান করতে পারে।
এই সংযুক্তি সম্ভব হয় Internet Protocol (IP) ও Transmission Control Protocol (TCP)-এর মাধ্যমে, যা ডিভাইসগুলোকে নেটওয়ার্কে সনাক্ত করতে ও নির্ভরযোগ্যভাবে ডেটা পাঠাতে সক্ষম করে।
প্রযুক্তিগত কাঠামো:
-
IP (Internet Protocol): ডিভাইসগুলোর জন্য একটি স্বতন্ত্র ঠিকানা (unique address) প্রদান করে, যা তাদের একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত হতে সহায়তা করে।
-
TCP (Transmission Control Protocol): ডেটা প্যাকেটগুলোকে সঠিকভাবে প্রেরণ, গ্রহণ ও পুনর্গঠন নিশ্চিত করে, যাতে সংযোগটি নির্ভরযোগ্য থাকে।
-
এই প্রোটোকলগুলো ইথারনেট, ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ, ও ৫জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ডেটা বিনিময় সম্পন্ন করে, ফলে শারীরিক জগত ও ডিজিটাল জগতের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি হয়।
IoT ডিভাইসের ধরণ:
১. ডিজিটাল-প্রথম (Digital-first):
-
যেমন: স্মার্টফোন বা স্মার্টওয়াচ।
-
এই ডিভাইসগুলোতে বিল্ট-ইন কানেক্টিভিটি থাকে এবং সরাসরি ডিভাইস-টু-ডিভাইস (M2M) যোগাযোগ করতে পারে।
২. শারীরিক-প্রথম (Physical-first):
-
যেমন: যানবাহন, শিল্প যন্ত্রপাতি, মেডিকেল ডিভাইস।
-
এসব যন্ত্রে সেন্সর, মাইক্রোচিপ বা কমিউনিকেশন মডিউল যোগ করে তাদের কার্যকারিতা ও ডেটা ট্র্যাকিং ক্ষমতা বাড়ানো হয়।
IoT-এর ব্যবহার ক্ষেত্র:
-
ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য মনিটরিং (যেমন স্মার্ট ওয়াচ বা ফিটনেস ব্যান্ড)
-
স্মার্ট ট্রাফিক নেটওয়ার্ক পরিচালনা
-
সংযুক্ত স্টোরেজ ট্যাংক পর্যবেক্ষণ
-
COVID-19 মহামারীর সময় সংযুক্ত থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ ও ভাইরাসের বিস্তার ট্র্যাক করা
-
কৃষি, পরিবহন ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে দক্ষতা ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন
ইতিহাস:
-
“Internet of Things” শব্দটি প্রথম প্রবর্তন করেন ব্রিটিশ প্রযুক্তিবিদ কেভিন অ্যাশটন (Kevin Ashton), ১৯৯৯ সালে।
সুরক্ষা ও গোপনীয়তার চ্যালেঞ্জ:
-
IoT নেটওয়ার্কে ক্রমবর্ধমান সংযুক্তির কারণে ডেটা লঙ্ঘন, হ্যাকিং ও অননুমোদিত প্রবেশের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
-
দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে ব্যক্তিগত তথ্য, স্বাস্থ্য ও আর্থিক ডেটা হারানো বা অপব্যবহারের আশঙ্কা থাকে।
সারসংক্ষেপ:
IoT ডিভাইসগুলো সাধারণত IP ও TCP প্রোটোকল ব্যবহার করে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে, যা তাদের বিশ্বব্যাপী সংযুক্ত ও স্মার্ট নেটওয়ার্কে পরিণত করে।
0
Updated: 3 weeks ago
আধুনিক ট্যাবলেটে প্রধানত কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়?
Created: 1 month ago
A
কীবোর্ড
B
রেডিও ওয়েভ
C
পেন ড্রাইভ
D
টাচ স্ক্রিন
**ট্যাবলেট কম্পিউটার** হল ল্যাপটপ ও স্মার্টফোনের আকারের মধ্যে একটি ডিভাইস। প্রাথমিক সময়ে এতে কীবোর্ড বা স্টাইলাস ব্যবহার করা হতো, তবে আধুনিক ট্যাবলেটে **টাচ স্ক্রিন** ব্যবহার করা হয়। ১৯৬৮ সালে অ্যালান কেই Dynabook-এর ধারণা করেছিলেন, যদিও তা তৈরি করা হয়নি। প্রথম প্রকৃত ট্যাবলেট কম্পিউটার ছিল Cambridge Z88 এবং Linus Write-Top (1987)। ২০১০ সালে অ্যাপল iPad চালু করে টাচ-স্ক্রিন ডিভাইসকে জনপ্রিয় করে তোলে, এরপর Samsung Galaxy Tab-এর মতো অন্যান্য ট্যাবলেট আসে। ট্যাবলেট ব্যবহারকারীদের টেক্সট হাইলাইট ও এডিট, নোট লেখা, শব্দ অনুসন্ধান, ব্যাকলাইট সামঞ্জস্য এবং অন্তর্নির্মিত অভিধান ব্যবহারে সাহায্য করে। এছাড়া ইন্টারেক্টিভ ডায়াগ্রাম ও ভিডিও শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, মনোযোগ এবং সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করে।
0
Updated: 1 month ago