'ছুটি খাঁনী মহাভারত' খ্যাত গ্রন্থের অনুবাদক কবি কে?
A
কবীন্দ্র পরমেশ্বর
B
দ্বৈপায়ন ব্যাসদেব
C
শ্রীকর নন্দী
D
কাশীরাম দাস
উত্তরের বিবরণ
‘ছুটি খাঁনী মহাভারত’ ও সম্পর্কিত মহাভারত অনুবাদসমূহ
১. ছুটি খাঁনী মহাভারত
-
রচয়িতা: শ্রীকর নন্দী
-
পটভূমি: চট্টগ্রামের শাসনকর্তা পরাগল খাঁ মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র ছুটি খাঁ ভারতীয় মহাভারতের অনুবাদের নির্দেশ দেন।
-
অনুবাদ বিষয়: কেবল অশ্বমেধ পর্বের অংশ।
-
নাম: শ্রীকর নন্দী রচিত ভারত পাঁচালীকে ‘ছুটি খাঁনী মহাভারত’ বলা হয়।
-
মন্তব্য: কেউ কেউ মনে করেন পরাগলী মহাভারতের অসম্পূর্ণ অংশও তিনি সম্পূর্ণ করেছেন।
২. পরাগলী মহাভারত
-
লেখক: কবীন্দ্র পরমেশ্বর
-
অনুবাদ নির্দেশনা: নবাব হুসেন শাহ্ (১৪৯৩-১৫১৮) চট্টগ্রাম শাসনের জন্য নিযুক্ত পরাগল খাঁ।
-
মূল গ্রন্থ: সংস্কৃত মহাভারত, যা তিনি 'ভারত পাঁচালী' নামে অনুবাদ করেন।
-
নামকরণ: অনুবাদকৃত মহাভারতকে ‘পরাগলী মহাভারত’ বলা হয়।
৩. কাশীরাম দাসের মহাভারত
-
সময়কাল: ১৭শ শতক
-
মূল গ্রন্থ: কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাসের সংস্কৃত মহাভারত অনুসরণে রচনা।
-
অবদান: আদি, সভা, বন ও বিরাট পর্বের অংশসমূহ অনুবাদ করেছেন।
-
মন্তব্য: সমগ্র মহাভারত তিনি শেষ করতে পারেননি; অবশিষ্ট অংশ সমাপ্ত করেন তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র নন্দরাম ও অন্যান্য কবিরা।
৪. দ্বৈপায়ন ব্যাসদেবের মহাভারত
-
মূল রচয়িতা: কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ব্যাসদেব
-
ভাষা: সংস্কৃত
-
শ্রেষ্ঠ বাংলা অনুবাদক: কাশীরাম দাস

0
Updated: 12 hours ago
আধুনিক কবিদের মধ্যে কোন সাহিত্যিক ব্রজবুলি ভাষায় পদ রচনা করেছেন?
Created: 1 month ago
A
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
D
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বৈষ্ণব পদাবলি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বৈষ্ণবীয় মনস্তত্ত্বের প্রতি গভীর অনুরাগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর সোনার তরী কাব্যগ্রন্থের বহু কবিতায়, বিশেষত বর্ষার ঋতুবৈচিত্র্যকে কেন্দ্র করে রচিত কবিতাগুলিতে, এই প্রভাব স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
কাদম্বরী দেবীর অনুরোধে তিনি ব্রজবুলি ভাষায় পদ রচনা করেন, যা ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলি’ নামে পরিচিত। এর একটি সুপরিচিত উদাহরণ হলো—
“মরণরে, তুঁহু মম শ্যাম সমান”
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস — মাহবুবুল আলম; বাংলা সাহিত্যের কথা — ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ; লাল নীল দীপাবলি; বাংলা সাহিত্যের রূপরেখা — গোপাল হালদার।

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে কত বছর মেয়াদী জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের মিশন কার্যক্রম চালু হয়েছে? [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
২ বছর
B
৩ বছর
C
৪ বছর
D
৫ বছর
বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশন
-
তারিখ: ১৮ জুলাই, ২০২৫
-
বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন মিশন চালুর জন্য সমঝোতা স্মারক (MoU) সই করে।
-
মেয়াদ: সইয়ের পর থেকে তিন বছর, যা শেষ হওয়ার ৯০ দিন আগে সময়সীমা বৃদ্ধির জন্য জানাতে হবে।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশন (OHCHR) মূলত বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা, প্রচার ও বাস্তবায়নে সহায়তা করে।
-
এটি বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করে।
-
এই প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বিনিয়োগ ও অনুদান প্রাপ্তিতে প্রভাব ফেলে।
-
বর্তমানে ১৬টি দেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের মিশন রয়েছে।
-
দেশগুলো: বুরকিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, চাদ, কলম্বিয়া, গুয়াতেমালা, গিনি, হন্ডুরাস, লাইবেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মেক্সিকো, নাইজার, ফিলিস্তিন, সিরিয়া, সুদান, তিউনিসিয়া ও ইয়েমেন।
-

0
Updated: 1 month ago
চর্যাপদ মূলত কোন ধর্মের সাধকরা রচনা করেন?
Created: 1 week ago
A
শাক্ত সাধক
B
বৈষ্ণব সাধক
C
বৌদ্ধ সহজিয়া
D
জৈন সাধক
"চর্যাপদ: বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন" সম্পর্কিত তথ্য-
আবিষ্কার:
• ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী — ১৯০৭ সালে — নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
• পরবর্তীতে, ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগ্চী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
চর্যাপদের পরিচয়:
• চর্যাপদ হলো বাংলা ভাষার — প্রথম কাব্যগ্রন্থ/কবিতা সংকলন/গানের সংকলন।
• এটি বাংলা সাহিত্যের — আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
• চর্যাগুলো রচনা করেন — বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
• চর্যাপদে — বৌদ্ধ ধর্মের শিক্ষা ও দার্শনিক চিন্তাধারা ফুটে উঠেছে।
• চর্যাপদের ভাষায় বাংলা, অর্ধমাগধী, প্রাকৃত, সংস্কৃত ও দেশজ শব্দের মিশ্রণ আছে।
অনুবাদ:
• চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন — কীর্তিচন্দ্র।
• এই অনুবাদের সূত্রেই চর্যাপদ সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য জানা যায়।

0
Updated: 1 week ago