'আমি কি দুঃখেরে ডরাই'- উক্তিটি কার রচনা?
A
মালাধর বসু
B
রামনিধি গুপ্ত
C
রামপ্রসাদ সেন
D
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
উত্তরের বিবরণ
রামপ্রসাদ সেন
১. পরিচিতি
-
শাক্তসঙ্গীত/শ্যামাসঙ্গীত রচনায় বিখ্যাত, শাক্ত পদাবলীর আদি ও শ্রেষ্ঠ কবি।
-
জন্ম: পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার কুমারহট্ট গ্রামে, কবিরাজ বংশে।
-
শ্যামাসঙ্গীতের সংখ্যা প্রায় ৩০০।
-
নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় তাঁকে রাজসভায় যোগদানের আহবান জানান এবং 'কবিরঞ্জন' উপাধিতে ভূষিত করেন।
-
রামপ্রসাদী সুর: ভক্তিভাব, রাগ ও বাউল সুরের মিশ্রণে তাঁর সৃষ্টি সঙ্গীত।
২. বিখ্যাত উক্তি
"আমি কি দুঃখেরে ডরাই"
৩. কিছু জনপ্রিয় গান
-
"মন রে কৃষি কাজ জানো না"
-
"ডুব দেরে মন কালী বলে"
-
"মা আমায় ঘুরাবি কত"
0
Updated: 1 month ago
'উত্তম পুরুষ' রশীদ করীম রচিত কোন ধরনের সাহিত্যকর্ম?
Created: 1 month ago
A
কাব্যগ্রন্থ
B
প্রবন্ধ
C
উপন্যাস
D
নাটক
• 'উত্তম পুরুষ' উপন্যাস:
- রশীদ করীম রচিত এই উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ১৯৬১ সালে।
- উপন্যাসের চরিত্রে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতায় কোথাও কোথাও শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির উদ্ভব করেছে।
- আধুনিক মননশীলতা, পরিশীলতা, আঙ্গিক, অভিজ্ঞতার নির্লিপ্ত বর্ণনায় পাঠকের পাঠতৃষ্ণার নিবারণ হয়।
- উপন্যাসের প্রধান চরিত্র শাকেরকে ঘিরে সেলিনা, অণিমা, শেখর, মুশতাক, সলিল, চন্দ্রা, নিহার ভাবি, শিশির এ রকম অসংখ্য চরিত্র আবর্তিত হয়েছে।
--------------------
• রশীদ করীম রচিত উপন্যাসগুলো হলো:
- উত্তমপুরুষ,
- প্রসন্ন পাষাণ,
- আমার যত গ্লানি,
- সোনার পাথর বাটি,
- বড়ই নিঃসঙ্গ,
- লান্সবাক্স ইত্যাদি।
• প্রবন্ধ:
- আর এক দৃষ্টিকোণ,
- মনের গহীনে তোমার মুরতিখানি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 1 month ago
মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রবর্তিত 'অমিত্রাক্ষর ছন্দ’ প্রকৃত পক্ষে বাংলা কোন ছন্দের নব-রূপায়ণ?
Created: 2 months ago
A
স্বরবৃত্ত ছন্দ
B
মাত্রাবৃত্ত ছন্দ
C
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ
D
গৈরিশ ছন্দ
মাইকেল মধুসূদন দত্ত:
-
জন্ম: ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি, যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদ তীরের সাগরদাঁড়ি গ্রামে।
-
একজন মহাকবি ও নাট্যকার।
-
বাংলায় সনেট প্রবর্তক এবং অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক।
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ:
-
বাংলা কাব্যের প্রধান ছন্দ, যার উচ্চারণ স্বাভাবিক ও গদ্যভঙ্গির অনুসারী।
-
এটি তানপ্রধান ছন্দ, শ্বাসাঘাত নয়।
-
তান হলো স্বরধ্বনি বা সাধারণ উচ্চারণের অতিরিক্ত টান, যা দীর্ঘ পর্বের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
সাধারণত ৮/৬ বা ৮/১০ মাত্রার সর্বাধিক দীর্ঘ পর্বে রচিত হয়।
-
উনিশ শতকে মধুসূদন দত্ত অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তন করে এ ছন্দের সুরমুক্তি ঘটান।
-
অর্থাৎ, অমিত্রাক্ষর ছন্দ হলো বাংলা অক্ষরবৃত্ত ছন্দের নব সংস্করণ।
-
-
এ ছন্দ বাংলা সাহিত্যের চিরায়ত কাব্যসমূহকে শ্রেষ্ঠ ছন্দে রূপায়ণ করেছে।
-
মহাপয়ার: পয়ার ছন্দের একটি বিবর্ধিত রূপ, যেখানে পয়ারের ৬ মাত্রার অন্ত্যপর্বের পরিবর্তে ১০ মাত্রা হয়।
সুতরাং, মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যে কাব্যরীতি ও ছন্দের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারক।
0
Updated: 2 months ago
'বাংলা গদ্যের জনক' বলা হয় কাকে?
Created: 1 month ago
A
রামমোহন রায়
B
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
C
উইলিয়াম কেরি
D
রামরাম বসু
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে 'বাংলা গদ্যের জনক' বলা হয়।
কারণ:
-
তৎকালীন গদ্যরচনাকারীদের মধ্যে গদ্যের কাঠামো ও বাক্যের ভারসাম্য গঠনে সর্বাধিক প্রভাব বিস্তার করেছিলেন।
-
সমকালীন গদ্যলেখক অক্ষয়কুমার দত্ত বাংলা গদ্যের জটিলতা দূর করে তা ব্যবহারোপযোগী করেছিলেন; বিদ্যাসাগর সেই গদ্যরীতিতে লালিত্য ও নমনীয়তা যোগ করে ভাষার মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য সঞ্চার করেন।
-
বাংলা ভাষার ধ্বনিপ্রবাহ অনুধাবন করে বাক্যে স্বাভাবিক শব্দানুবৃত্তি এবং পরিমিতিবোধ সৃষ্টি করেছেন।
-
বিদ্যাসাগরের পূর্ববর্তী গদ্যের তুলনায় তাঁর সুষম বাক্যগঠন এবং সচেষ্ট রচনা বৈশিষ্ট্য পরিস্কারভাবে লক্ষণীয়।
-
তাঁর সৃষ্ট গদ্যরীতি পরবর্তী পর্যায়ে বাংলা গদ্যের পরিণত রূপের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
0
Updated: 1 month ago