'আমি কি দুঃখেরে ডরাই'- উক্তিটি কার রচনা?
A
মালাধর বসু
B
রামনিধি গুপ্ত
C
রামপ্রসাদ সেন
D
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
উত্তরের বিবরণ
রামপ্রসাদ সেন
১. পরিচিতি
-
শাক্তসঙ্গীত/শ্যামাসঙ্গীত রচনায় বিখ্যাত, শাক্ত পদাবলীর আদি ও শ্রেষ্ঠ কবি।
-
জন্ম: পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার কুমারহট্ট গ্রামে, কবিরাজ বংশে।
-
শ্যামাসঙ্গীতের সংখ্যা প্রায় ৩০০।
-
নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় তাঁকে রাজসভায় যোগদানের আহবান জানান এবং 'কবিরঞ্জন' উপাধিতে ভূষিত করেন।
-
রামপ্রসাদী সুর: ভক্তিভাব, রাগ ও বাউল সুরের মিশ্রণে তাঁর সৃষ্টি সঙ্গীত।
২. বিখ্যাত উক্তি
"আমি কি দুঃখেরে ডরাই"
৩. কিছু জনপ্রিয় গান
-
"মন রে কৃষি কাজ জানো না"
-
"ডুব দেরে মন কালী বলে"
-
"মা আমায় ঘুরাবি কত"

0
Updated: 12 hours ago
ব্রাহ্মসমাজের সভার মুখপত্র ছিলো-
Created: 1 week ago
A
সংবাদ প্রভাকর
B
তত্ত্ববোধিনী
C
কল্লোল
D
বঙ্গদর্শন
‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকা
-
প্রকাশনা: ১৮৪৩ সালের ১৬ আগস্ট, অক্ষয়কুমার দত্তের সম্পাদনায়।
-
উদ্দেশ্য: ব্রাহ্মসমাজের তত্ত্ববোধিনী সভার মুখপত্র হিসেবে ব্রাহ্মধর্মের প্রচার ও সভ্যদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা।
-
তত্ত্বাবধান: দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
-
লেখকরা: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রাজনারায়ণ বসু, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখ।
-
বিষয়বস্তু: প্রধানত বেদান্ত ও ব্রহ্মবিদ্যা, এছাড়া জ্ঞানবিজ্ঞান, ইতিহাস, সাহিত্য, ধর্ম, রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজতত্ত্ব ও দর্শন।
-
প্রকাশকাল: ১৮৪৩–১৯৩২।
-
পরবর্তী সম্পাদকরা: নবীনচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, অযোধ্যানাথ পাকড়াশী, হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ন, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক পত্রিকা
-
‘সংবাদ প্রভাকর’: বাংলা ভাষায় প্রথম দৈনিক পত্রিকা, ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত সম্পাদনায় ১৮৩৯ সালে দৈনিক রূপে প্রকাশিত।
-
‘কল্লোল’: ১৯২৩ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত মাসিক পত্রিকা। সম্পাদক: দীনেশরঞ্জন দাস। আধুনিক সাহিত্যের সূচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
-
‘বঙ্গদর্শন’: বাংলা উপন্যাসের জনক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পাদনায়, ১৮৭২ সালে প্রথম প্রকাশিত মাসিক পত্রিকা। বাংলা গদ্যের উন্নতি ও লেখকগোষ্ঠী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
'উত্তম পুরুষ' রশীদ করীম রচিত কোন ধরনের সাহিত্যকর্ম?
Created: 1 week ago
A
কাব্যগ্রন্থ
B
প্রবন্ধ
C
উপন্যাস
D
নাটক
• 'উত্তম পুরুষ' উপন্যাস:
- রশীদ করীম রচিত এই উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ১৯৬১ সালে।
- উপন্যাসের চরিত্রে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতায় কোথাও কোথাও শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির উদ্ভব করেছে।
- আধুনিক মননশীলতা, পরিশীলতা, আঙ্গিক, অভিজ্ঞতার নির্লিপ্ত বর্ণনায় পাঠকের পাঠতৃষ্ণার নিবারণ হয়।
- উপন্যাসের প্রধান চরিত্র শাকেরকে ঘিরে সেলিনা, অণিমা, শেখর, মুশতাক, সলিল, চন্দ্রা, নিহার ভাবি, শিশির এ রকম অসংখ্য চরিত্র আবর্তিত হয়েছে।
--------------------
• রশীদ করীম রচিত উপন্যাসগুলো হলো:
- উত্তমপুরুষ,
- প্রসন্ন পাষাণ,
- আমার যত গ্লানি,
- সোনার পাথর বাটি,
- বড়ই নিঃসঙ্গ,
- লান্সবাক্স ইত্যাদি।
• প্রবন্ধ:
- আর এক দৃষ্টিকোণ,
- মনের গহীনে তোমার মুরতিখানি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 week ago
"আমার কবিতা আমি জানি গেলেও বিচিত্র পথে হয় নাই সে সর্বত্রগামী।" পঙ্ক্তিটির লেখক কে?
Created: 1 week ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
D
সুকান্ত ভট্টাচার্য
“আমার কবিতা আমি জানি, গেলেও বিচিত্র পথে হয় নাই সে সর্বত্রগামী।”—এই পঙ্ক্তিটির লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এটি তাঁর ঐকতান কবিতার অংশ, যা রচিত হয়েছিল তাঁর মৃত্যুর মাত্র চার মাস আগে।
ঐকতান কবিতা রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। এটি মূলত কবির আত্মস্বীকারোক্তিমূলক ও আত্মপক্ষসমর্থনমূলক কবিতা, যেখানে তিনি নিজের সীমাবদ্ধতা ও সৃষ্টির বৈচিত্র্যের মধ্যকার অপূর্ণতা স্বীকার করেছেন। কবি মনে করেন, তাঁর কবিতা যদিও বিচিত্র পথে অগ্রসর হয়েছে, তবুও তা সর্বত্র পৌঁছাতে পারেনি।
ঐকতান কবিতার মূল বৈশিষ্ট্য
-
কবি পৃথিবীর বিশালতা ও বৈচিত্র্যের কথা উল্লেখ করেছেন।
-
মানুষের সভ্যতা, নদী, গিরি, সিন্ধু, মরু, নগর ও কীর্তির বিপুলতা তিনি স্বীকার করেছেন।
-
সেই তুলনায় তাঁর সৃষ্টিকর্ম সীমাবদ্ধ ও একটি ক্ষুদ্র কোণেই আবদ্ধ।
-
কবি স্বীকার করেছেন যে, তাঁর সুরে অপূর্ণতা রয়েছে।
-
আত্মসমালোচনার মধ্য দিয়েও তিনি শিল্পীর সত্য ও সততা প্রকাশ করেছেন।
এ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ শিল্পীর আত্মদর্শন ও আত্মবিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন, যা তাঁর সাহিত্যকর্মের গভীর মানবতাবোধকে প্রতিফলিত করে।

0
Updated: 1 week ago