মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের মৃত্যুর পর প্রকাশিত গদ্যরীতির গ্রন্থ কোনটি?
A
প্রবোধচন্দ্রিকা
B
পঞ্চতন্ত্র
C
রাজাবলি
D
বত্রিশ সিংহাসন
উত্তরের বিবরণ
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার ও ‘প্রবোধচন্দ্রিকা’
১. প্রবোধচন্দ্রিকা
-
রচনা ও প্রকাশ: ১৮১৩ সালে রচিত হলেও মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার মৃত্যুর পর ১৮৩৩ সালে প্রকাশিত।
-
ধারা ও বিষয়: মূলত দার্শনিক নিবন্ধ; সংস্কৃত বিদ্যাভাণ্ডারের পরিচয় প্রদানের উদ্দেশ্যে রচিত।
-
ভাষা ও শৈলী: কথ্য সাধু ভাষা ও সংস্কৃত রীতির মিশ্র ব্যবহার।
২. মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার (১৭৬২–১৮১৯)
-
প্রধান রচনাসমূহ:
১. বত্রিশ সিংহাসন (১৮০২)
২. রাজাবলি (১৮০৮)
৩. হিতোপদেশ (১৮০৮)
৪. বেদান্তচন্দ্রিকা (১৮১৭)
৫. প্রবোধচন্দ্রিকা (১৮৩৩) -
গ্রন্থ বৈশিষ্ট্য:
-
হিতোপদেশ: সংস্কৃত ‘পঞ্চতন্ত্র’ থেকে অনূদিত; ভাষা সংস্কৃতানুগ।
-
রাজাবলি: কিংবদন্তি ও লোকপ্রসিদ্ধির উপর নির্ভর; গদ্যরীতি সুষ্ঠু ও প্রাঞ্জল; আরবি ও ফারসি শব্দের ব্যবহার।
-
বেদান্তচন্দ্রিকা: নামপত্রে মৃত্যুঞ্জয়ের উল্লেখ নেই; বহু অংশ সংস্কৃত গ্রন্থ ও বেদান্ত সূত্রের অনুবাদ; স্বাধীন রচনা নয়।
-

0
Updated: 12 hours ago
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন উপন্যাসে আধ্যাত্মিক অনুসন্ধান ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বিশেষভাবে ফুটে উঠেছে?
Created: 6 days ago
A
পথের পাঁচালী
B
দৃষ্টিপ্রদীপ
C
ইছামতী
D
আরণ্যক
দৃষ্টিপ্রদীপ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস, যেখানে আধ্যাত্মিকতা ও সামাজিক প্রেক্ষাপট একত্রে মিশে গেছে। এটি প্রথমে প্রবাসী পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় এবং পরে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসটি মূলত জিতু নামের এক যুবকের জীবনকেন্দ্রিক, যিনি আধ্যাত্মিক অনুসন্ধান ও সমাজের প্রচলিত রীতিনীতির প্রতি নিজের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে পাঠকের মনে গভীর ছাপ ফেলে।
উপন্যাসের বিষয়বস্তু ও প্রেক্ষাপট
-
কেন্দ্রীয় চরিত্র জিতু দার্জিলিংয়ে তার ভাই নিতাই ও বোন সীতাকে নিয়ে বসবাস করে।
-
জিতুর অভ্যন্তরীণ আধ্যাত্মিক যাত্রা ও জীবনযাত্রার নানা দিক উপন্যাসে ফুটে উঠেছে।
-
সমাজের কুসংস্কার ও প্রচলিত রীতিনীতির প্রতি তার প্রশ্নবিদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গি এখানে গুরুত্বপূর্ণ।
-
জিতুর চরিত্রের মাধ্যমে লেখক মানবজীবনের গভীর দার্শনিক প্রশ্ন ও আধ্যাত্মিক উপলব্ধি অন্বেষণ করেছেন।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
-
জন্ম: ১৮৯৪, চব্বিশ পরগনার মুরারিপুর গ্রাম।
-
বাংলা কথাসাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী।
-
শেষ উপন্যাস: ইছামতী (১৯৫০ সালে প্রকাশিত)।
-
ইছামতী উপন্যাসের জন্য তিনি ১৯৪৯ সালে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন।
-
মৃত্যু: ১৯৫০ সালের ১লা সেপ্টেম্বর।
উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ
-
পথের পাঁচালী
-
অপরাজিতা
-
আরণ্যক
-
ইছামতী
-
দৃষ্টিপ্রদীপ
ছোটগল্পগ্রন্থ
-
মেঘমল্লার
-
মৌরীফুল
-
যাত্রাবদল
-
কিন্নরদল
কিছু উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য
-
পথের পাঁচালী: গ্রামীণ জীবনের বাস্তব চিত্র, শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিকাতরতা, পারিবারিক জীবনের সুখ-দুঃখ।
-
ইছামতী: প্রেম ও বিরহ, নদীকেন্দ্রিক জীবনযাত্রা, প্রকৃতি ও মানুষের সম্পর্ক।
-
আরণ্যক: বনজীবনের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা, প্রকৃতিপ্রেম ও অরণ্যচারী জীবন, দুর্গম অঞ্চলের জীবনযাত্রা।

0
Updated: 6 days ago
'সংস্কৃতির সংকট' গ্রন্থটি রচনা করেন কে?
Created: 3 weeks ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
বদরুদ্দীন উমর
C
ড. আহমদ শরীফ
D
কাজী মোতাহার হোসেন
বদরুদ্দীন উমর
-
জন্ম: ২০ ডিসেম্বর, ১৯৩১, বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ
-
পেশা: অধ্যাপক ও রাজনীতিক
-
সম্পাদনা: ‘সংস্কৃতি’ সাময়িকী
প্রকাশিত প্রধান গ্রন্থসমূহ
-
সাম্প্রদায়িকতা
-
সংস্কৃতির সাম্প্রদায়িকতা
-
পূর্ব বাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি
-
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও উনিশ শতকের বাঙালী সমাজ
-
যুদ্ধপূর্ব বাঙলাদেশ
-
যুদ্ধোত্তর বাঙলাদেশ
-
ভাষা আন্দোলন ও অন্যান্য প্রসঙ্গ
-
বঙ্গভঙ্গ ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি
-
সংস্কৃতির সংকট
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 3 weeks ago
'আজি এ প্রভাতে রবির কর কেমনে পশিল প্রাণের পর' - পঙক্তির রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
জীবনানন্দ দাশ
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
সুকান্ত ভট্টাচার্য
D
কাজী নজরুল ইসলাম
‘প্রভাতসঙ্গীত’ কাব্যগ্রন্থ
-
লেখক: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
প্রকাশকাল: ১৮৮৩ খ্রিষ্টাব্দ
-
কবিতার সংখ্যা: ২১টি
-
গুরুত্বপূর্ণ কবিতা: ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’
‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’ কবিতার অংশ বিশেষ:
আজি এ প্রভাতে রবির কর
কেমনে পশিল প্রাণের পর,
কেমনে পশিল গুহার আঁধারে
প্রভাত-পাখির গান।
না জানি কেন রে এতদিন পরে
জাগিয়া উঠিল প্রাণ।

0
Updated: 1 month ago