আলাওল কার আদেশে 'পদ্মাবতী' কাব্যটি রচনা করেন?
A
দৌলত কাজীর আদেশে
B
দৌলত উজির বাহরাম খানের আদেশে
C
কানাহরি দত্তের আদেশে
D
মাগন ঠাকুরের আদেশে
উত্তরের বিবরণ
পদ্মাবতী কাব্য
-
রচয়িতা: আলাওল
-
মহত্ব: মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় প্রণয়কাব্য।
-
উৎস: হিন্দি কবি মালিক মুহাম্মদ জায়সির পদুমাবৎ কাব্যের বাংলা অনুবাদ।
-
রচনার সময়: ১৬৫১ খ্রিষ্টাব্দ, আরাকান রাজ সাদ থদোমিন্তারের রাজত্বকালে, মন্ত্রী মাগন ঠাকুরের আদেশে।
-
কাব্যের গঠন: দুইটি পর্বে বিভক্ত
-
চিতোররাজ রত্নসেন সিংহলের রাজকন্যা পদ্মাবতী অর্জন করেন।
-
দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি পদ্মাবতী লাভের ব্যর্থ চেষ্টা করেন।
-
আলাওল (আনুমানিক ১৬০৭–১৬৮০)
-
মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি এবং সর্বাধিক গ্রন্থপ্রণেতা।
-
মোট কাব্যসংখ্যা: ৭টি
আখ্যানকাব্য:
-
পদ্মাবতী (১৬৪৮)
-
সতীময়না ও লোরচন্দ্রানী (১৬৫৯)
-
সপ্তপয়কর (১৬৬৫)
-
সয়ফুলমুলুক বদিউজ্জামাল (১৬৬৯)
-
সিকান্দরনামা (১৬৭৩)
নীতিকাব্য:
-
তোহফা (১৬৬৪)
সঙ্গীতবিষয়ক কাব্য:
-
রাগতালনামা

0
Updated: 12 hours ago
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন উপন্যাসে আধ্যাত্মিক অনুসন্ধান ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বিশেষভাবে ফুটে উঠেছে?
Created: 6 days ago
A
পথের পাঁচালী
B
দৃষ্টিপ্রদীপ
C
ইছামতী
D
আরণ্যক
দৃষ্টিপ্রদীপ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস, যেখানে আধ্যাত্মিকতা ও সামাজিক প্রেক্ষাপট একত্রে মিশে গেছে। এটি প্রথমে প্রবাসী পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় এবং পরে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসটি মূলত জিতু নামের এক যুবকের জীবনকেন্দ্রিক, যিনি আধ্যাত্মিক অনুসন্ধান ও সমাজের প্রচলিত রীতিনীতির প্রতি নিজের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে পাঠকের মনে গভীর ছাপ ফেলে।
উপন্যাসের বিষয়বস্তু ও প্রেক্ষাপট
-
কেন্দ্রীয় চরিত্র জিতু দার্জিলিংয়ে তার ভাই নিতাই ও বোন সীতাকে নিয়ে বসবাস করে।
-
জিতুর অভ্যন্তরীণ আধ্যাত্মিক যাত্রা ও জীবনযাত্রার নানা দিক উপন্যাসে ফুটে উঠেছে।
-
সমাজের কুসংস্কার ও প্রচলিত রীতিনীতির প্রতি তার প্রশ্নবিদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গি এখানে গুরুত্বপূর্ণ।
-
জিতুর চরিত্রের মাধ্যমে লেখক মানবজীবনের গভীর দার্শনিক প্রশ্ন ও আধ্যাত্মিক উপলব্ধি অন্বেষণ করেছেন।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
-
জন্ম: ১৮৯৪, চব্বিশ পরগনার মুরারিপুর গ্রাম।
-
বাংলা কথাসাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী।
-
শেষ উপন্যাস: ইছামতী (১৯৫০ সালে প্রকাশিত)।
-
ইছামতী উপন্যাসের জন্য তিনি ১৯৪৯ সালে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন।
-
মৃত্যু: ১৯৫০ সালের ১লা সেপ্টেম্বর।
উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ
-
পথের পাঁচালী
-
অপরাজিতা
-
আরণ্যক
-
ইছামতী
-
দৃষ্টিপ্রদীপ
ছোটগল্পগ্রন্থ
-
মেঘমল্লার
-
মৌরীফুল
-
যাত্রাবদল
-
কিন্নরদল
কিছু উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য
-
পথের পাঁচালী: গ্রামীণ জীবনের বাস্তব চিত্র, শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিকাতরতা, পারিবারিক জীবনের সুখ-দুঃখ।
-
ইছামতী: প্রেম ও বিরহ, নদীকেন্দ্রিক জীবনযাত্রা, প্রকৃতি ও মানুষের সম্পর্ক।
-
আরণ্যক: বনজীবনের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা, প্রকৃতিপ্রেম ও অরণ্যচারী জীবন, দুর্গম অঞ্চলের জীবনযাত্রা।

0
Updated: 6 days ago
বাংলা টপ্পা গান কোন টপ্পা শৈলীর অনুকরণে প্রবর্তিত হয়েছে?
Created: 12 hours ago
A
ফারসি টপ্পার
B
আরবি টপ্পার
C
ফরাসি টপ্পার
D
হিন্দুস্থানি টপ্পার
টপ্পা গান বাংলা সঙ্গীতের একটি বিশেষ ধারার নাম, যা মূলত হিন্দুস্থানি টপ্পার প্রভাবে গড়ে উঠেছিল। এটি রাগ-রাগিণীর সঙ্গে যুক্ত একটি ওস্তাদি ধাঁচের গান হলেও এর স্বকীয়তায় ফুটে উঠেছে বাংলার কাব্যিক সৌন্দর্য।
-
কবিগানের সমসাময়িক কালে কলকাতা ও আশপাশের শহরতলীতে টপ্পাগান প্রচলিত হয়।
-
রামনিধি গুপ্ত (নিধুবাবু) ছাপরা জেলায় চাকরি করার সময় এক মুসলমান ওস্তাদের কাছে সঙ্গীতে তালিম নেন এবং সেখানে শোরী মিঞার হিন্দুস্থানি টপ্পার সঙ্গে পরিচিত হন। চাকরি শেষে কলকাতায় ফিরে এসে তিনি হিন্দুস্থানি টপ্পার আদলে বাংলা টপ্পার প্রবর্তন করেন।
-
তাঁর টপ্পা সঙ্গীত সংকলনের নাম গীতরত্ন (১৮৩২)।
-
এ গানের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো একেকটি স্বরের ওপর মধ্যলয়ে দোলায়মান কম্পনের মাধ্যমে গানের কথার গড়ানো বা অবরোহণ। নিধুবাবু হিন্দুস্থানি টপ্পায় ব্যবহৃত দ্রুত ক্ষিপ্রতার বদলে কোমল কম্পন ব্যবহার করে বাংলা গানের কাব্যিক সৌন্দর্য বজায় রাখেন। তবে তিনি রাগ ও তালের প্রয়োগে বিশেষ কোনো পরিবর্তন আনেননি।
-
প্রেমসঙ্গীত ছাড়াও তিনি টপ্পার ছাঁচে ব্রহ্মসঙ্গীত রচনা করেছিলেন। যেমন:
পরমব্রহ্ম তৎপরাৎপর পরমেশ্বর/ নিরঞ্জন নিরাময় নির্বিশেষে সদাশয়/ আপনা আপনি হেতু বিভু বিশ্বধর (রাগ: বেহাগ/আড়া)। -
নিধুবাবুর সমসাময়িক ও পরবর্তী সময়ে কালী মীর্জা এবং শ্রীধর কথক বাংলা টপ্পা রচনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন।
-
রামনিধি গুপ্ত রচিত একটি বিখ্যাত টপ্পা:
নানান দেশের নানান ভাষা/ বিনে স্বদেশী ভাষা/ পুরে কি আশা?

0
Updated: 12 hours ago
কোনটি অন্ধকার যুগের সাহিত্য?
Created: 1 month ago
A
সতীময়না ও লোরচন্দ্রানী
B
প্রাকৃতপৈঙ্গল
C
গুলে বকাওলী
D
মধুমালতী
বাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগ (১২০১–১৩৫০)
-
কাল: ১২০১–১৩৫০ (দেড়’শ বছর)
-
নামকরণ: অন্ধকার যুগ বা তামস যুগ
-
বিশেষতা: সাহিত্য সৃষ্টির নিদর্শন খুব সীমিত, তবে সম্পূর্ণ শূন্য নয়
-
উল্লেখযোগ্য সাহিত্য নিদর্শন:
-
প্রাকৃতপৈঙ্গল
-
রামাই পণ্ডিতের শূণ্যপূরাণ এবং এর অংশ নিরঞ্জনের রুষ্মা
-
সেক শুভোদয়া
-
-
মধ্যযুগের রোম্যান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার সাহিত্যকর্ম:
-
সতীময়না ও লোরচন্দ্রানী
-
গুলে বকাওলী
-
মধুমালতী
-

0
Updated: 1 month ago