জাতীয় সংসদে কোরাম হয় কত জনে?
A
৯০ জন
B
৭৫ জন
C
৬০ জন
D
৫০ জন
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধানের ৭৫ নং অনুচ্ছেদে কোরাম বিষয়ক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সর্বনিম্ন ৬০ জন সদস্যের উপস্থিতি থাকা আবশ্যক। অর্থাৎ, জাতীয় সংসদের বৈধ কার্যক্রম বা কোরাম বজায় থাকবে যখন কমপক্ষে ৬০ জন সংসদ সদস্য উপস্থিত থাকবেন।
জাতীয় সংসদের চলমান সভায় যদি কোন সময়ে উপস্থিত সদস্য সংখ্যা ৬০ এর নিচে নেমে আসে এবং এ বিষয়ে সভাপতির কাছে কেউ দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, তাহলে তিনি বৈঠক স্থগিত বা মুলতবি করার সিদ্ধান্ত নেবেন যতক্ষণ পর্যন্ত ৬০ জন সদস্যের উপস্থিতি পুনরায় নিশ্চিত না হয়।
উল্লেখযোগ্য:
কোরাম বলতে বোঝায়, কোনো বৈধ সভা বা সংস্থার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য যে ন্যূনতম সদস্য সংখ্যা উপস্থিত থাকা আবশ্যক, যা সংস্থার নিয়মনীতি বা আইনে পূর্বনির্ধারিত থাকে।
তথ্যের উৎস: বাংলাদেশ সংবিধান
0
Updated: 3 months ago
বাংলাদেশের মন্ত্রিসভার কমপক্ষে কত শতাংশ সদস্য সংসদ সদস্য হতে হবে?
Created: 2 months ago
A
১০%
B
৫০%
C
৯০%
D
৭৫%
মন্ত্রিসভার সদস্য নিয়োগ
-
মন্ত্রিসভার কমপক্ষে নয়-দশমাংশ সদস্যকে সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে নিয়োগ দিতে হয়।
-
সংবিধানের ৫৬(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রীদের মধ্যে অন্তত ৯০% সংসদ সদস্য হতে হবে। অর্থাৎ, তাঁরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হবেন।
-
বাকি সর্বোচ্চ ১০% মন্ত্রী হতে পারেন এমন ব্যক্তি, যারা সরাসরি সংসদ সদস্য না হলেও সংসদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য।
-
সূত্র: বাংলাদেশের সংবিধান
0
Updated: 2 months ago
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে কত সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
১৯৮১ সালে
B
১৯৮৬ সালে
C
১৯৯১ সালে
D
১৯৯৬ সালে
পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন – ১৯৯১
-
প্রথমবার পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।
-
যদিও সংবিধানে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন explicitly উল্লেখ ছিল না, তবু সকল রাজনৈতিক দলের সম্মতিক্রমে নির্বাচন পরিচালিত হয়।
-
নির্বাচন তারিখ: ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯১।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সুপ্রীম কোর্টের তিনজন বিচারপতির সমন্বয়ে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়।
-
তিনটি রাজনৈতিক জোটের মনোনীত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে ১৭ জন উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়।
-
নির্বাচনে বিজয়ী দল: বিএনপি, নেতৃত্বে খালেদা জিয়া।
-
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের তারিখ: ২০ মার্চ, ১৯৯১।
বিশেষ তাৎপর্য:
-
স্বাধীনতার পর একমাত্র পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন যা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে পরিচালিত হয়।
-
নির্বাচনের ফলাফলে কোন দলের প্রভাব পড়েনি।
-
এই নির্বাচন ছিল ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর গণতন্ত্র রক্ষার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার সফল ফল।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা সংবিধানের কততম সংশোধনীর মাধ্যমে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়?
Created: 1 month ago
A
দশম
B
দ্বাদশ
C
পঞ্চদশ
D
সপ্তদশ
সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী
-
পাসের তারিখ: ৬ আগস্ট ১৯৯১
-
ভোটের ফলাফল: ৩০৭–০ ভোটে গৃহীত
-
মূল উদ্দেশ্য: রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তে মন্ত্রিপরিষদ শাসিত (সংসদীয়) সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন।
দ্বাদশ সংশোধনীর বৈশিষ্ট্য
-
সংসদীয় সরকার:
-
বাংলাদেশের সরকার পদ্ধতি পরিবর্তন করা হয়।
-
রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তিত।
-
-
নামমাত্র রাষ্ট্রপতি:
-
রাষ্ট্রপতি আইনানুসারে সংসদ সদস্য দ্বারা নির্বাচিত হবেন।
-
যাবতীয় কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে পরিচালনা করবেন।
-
-
রাষ্ট্রপতির মেয়াদ:
-
রাষ্ট্রপতি ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন।
-
একাধিক্রমে ১০ বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকবেন না।
-
-
উপ-রাষ্ট্রপতির পদ বিলোপ:
-
দ্বাদশ সংশোধনী উপ-রাষ্ট্রপতির পদ বিলোপ করে।
-
রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হলে জাতীয় সংসদের স্পীকার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
-
-
মন্ত্রিসভা গঠন:
-
মন্ত্রিসভা গঠন ও কার্যক্রম সংবিধানে নির্ধারিত।
-
রাষ্ট্রপতি সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের আস্থাভাজনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করবেন।
-
প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার নেতা হবেন।
-
-
গণভোট পদ্ধতি:
-
সংশোধনী বিল কেবল সংবিধানের প্রস্তাবনা বা নির্দিষ্ট অনুচ্ছেদ (৮, ৪৮, ৫৬, ১৪২) সংক্রান্ত হলে গণভোট আকারে পেশ করা যাবে।
-
উৎস:
i) BBC
ii) বাংলাদেশের রাজনৈতিক উন্নয়ন, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago