শাহ্ মুহম্মদ সগীর কত শতকের কবি ছিলেন?
A
সতের শতকের
B
ষোল শতকের
C
পনের শতকের
D
আঠারো শতকের
উত্তরের বিবরণ
শাহ্ মুহম্মদ সগীর মধ্যযুগের এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি।
-
তিনি পনের শতকের কবি।
-
রচিত গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ: ইউসুফ-জোলেখা, যা রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার প্রথম কাব্য।
-
তিনি পারস্যের জামী রচিত ইউসুফ জোলেখা কাব্যের বাংলা অনুবাদ করেছেন, যা এই ধারার আদি গ্রন্থ হিসেবে গণ্য।
-
এ কাব্য গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজত্বকালে রচিত হয়েছিল।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি প্রমথ চৌধুরী রচিত গল্পগ্রন্থ নয়?
Created: 3 weeks ago
A
আহুতি
B
তেল-নুন-লকড়ি
C
নীললোহিত
D
চার ইয়ারী কথা
বাংলা গদ্যসাহিত্যের আধুনিক রূপকার হিসেবে প্রমথ চৌধুরী বিশেষভাবে স্মরণীয়। তিনি বাংলা ভাষায় চলিত রীতির প্রবর্তন করে সাহিত্যকে সাধারণ পাঠকের কাছে আরও সহজ ও প্রাণবন্ত করে তোলেন। তাঁর সাহিত্যচর্চা গদ্য, প্রবন্ধ ও কবিতা—সবক্ষেত্রেই সমানভাবে বিস্তৃত ছিল।
মূল তথ্যসমূহ:
-
প্রমথ চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন ১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট, যশোরে।
-
তিনি বাংলা ভাষার সাধু ও চলিত রূপের মধ্যে তুলনামূলক গবেষণা করেন।
-
বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক এবং বিদ্রূপাত্মক প্রাবন্ধিক হিসেবে তাঁর বিশেষ খ্যাতি রয়েছে।
-
তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল ‘বীরবল’।
-
বাংলা কাব্য সাহিত্যে তিনিই প্রথম ইতালীয় সনেট রচনার প্রবর্তন করেন।
-
তিনি ১৯১৪ সালে প্রকাশিত মাসিক ‘সবুজপত্র’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
গল্পগ্রন্থ:
-
চার ইয়ারী কথা
-
নীললোহিত
-
আহুতি
প্রবন্ধগ্রন্থ:
-
তেল-নুন-লকড়ি
0
Updated: 3 weeks ago
হুমায়ুন আজাদের প্রথম কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
জ্বলো চিতাবাঘ
B
অলৌকিক ইস্টিমার
C
বিমুখ প্রান্তর
D
আগুনপাখি
হুমায়ুন আজাদ
-
তিনি ছিলেন কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, গবেষক ও ভাষাবিজ্ঞানী।
-
জন্ম: ১৯৪৭ সালের ২৮ এপ্রিল, বিক্রমপুরের রাড়িখাল।
-
সাহিত্য জীবনের সূচনা: ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অলৌকিক ইস্টিমার’।
-
দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ: ১৯৮৩ সালে প্রকাশিত ‘জ্বলো চিতাবাঘ’।
কাব্যগ্রন্থসমূহ
-
অলৌকিক ইস্টিমার (প্রথম কাব্যগ্রন্থ)
-
জ্বলো চিতাবাঘ (দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ)
-
যতোই গভীরে যায় মধু, যতোই ওপরে যাই নীল
-
কাফনে মোড়া অশ্রুবিন্দু
-
সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে
উপন্যাসসমূহ
-
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল
-
সবকিছু ভেঙে পড়ে
-
মানুষ হিসেবে আমার অপরাধসমূহ
-
রাজনীতিবিদগণ
-
পাক সার জমিন সাদ বাদ
অন্যদিকে
-
‘বিমুখ প্রান্তর’ হচ্ছে হাসান হাফিজুর রহমানের প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
-
‘আগুনপাখি’ হচ্ছে হাসান আজিজুল হকের একটি উপন্যাস।
0
Updated: 1 month ago
পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলায় কাকিল্যা গ্রাম বাংলা সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য-
Created: 1 month ago
A
বৈষ্ণব পুথির প্রাপ্তিস্থান হিসেবে
B
মনসামঙ্গল কাব্যের পুথির প্রাপ্তিস্থান হিসেবে
C
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের পুথির প্রাপ্তিস্থান হিসেবে
D
শূন্যপুরাণের পুথির প্রাপ্তিস্থান হিসেবে
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম ও গুরুত্বপূর্ণ কাব্যগ্রন্থগুলোর একটি, যেখানে রাধাকৃষ্ণের প্রেমকাহিনির মাধ্যমে ঈশ্বরতত্ত্ব প্রকাশ করা হয়েছে। বড়ু চণ্ডীদাস এর রচয়িতা হিসেবে স্বীকৃত। এটি বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম দিকের পূর্ণাঙ্গ কাব্য হিসেবে বিশেষ মর্যাদাপ্রাপ্ত।
-
কবি পরিচয়: বড়ু চণ্ডীদাস আনুমানিক ১৩০৯ খ্রিস্টাব্দে (স্থান নিয়ে মতভেদ আছে—বাঁকুড়ার ছাতনা কিংবা বীরভূমের নানুর) জন্মগ্রহণ করেন।
-
কাব্য পরিচয়: ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ রাধাকৃষ্ণের প্রেমকাহিনি অবলম্বনে রচিত, যা ঈশ্বরতত্ত্বের প্রকাশ ঘটায়। এটি বাংলা ভাষায় মধ্যযুগে রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
-
আবিষ্কার: ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে (১৩১৬ বঙ্গাব্দে) বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ বাঁকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রামে মল্লরাজগুরু বৈষ্ণবমহন্ত শ্রীনিবাসের দৌহিত্র শ্রী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের গোয়ালঘর থেকে পুঁথিটি আবিষ্কার করেন।
-
প্রকাশনা: ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে (১৩২৩ বঙ্গাব্দে) বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ থেকে বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায় এটি প্রকাশিত হয়।
-
অন্য নাম: শ্রীকৃষ্ণকীর্তনকে শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ নামেও ডাকা হয়।
-
চরিত্র: প্রধান চরিত্র তিনটি—কৃষ্ণ, রাধা ও বড়ায়ি।
-
বৈশিষ্ট্য:
-
কাহিনিতে ঘাত-প্রতিঘাত, বাক-বিতণ্ডা, রাগ-দ্বেষের উপস্থিতি রয়েছে, যা কাব্যটিকে গতিশীল ও নাট্যরসাশ্রিত করেছে।
-
এতে শৃঙ্গাররস প্রধান, তবে গীতিরসের প্রাধান্যও লক্ষণীয়।
-
কাব্যটি ঝুমুর গানের প্রভাবে রচিত।
-
এটি পয়ার ও ত্রিপদী ছন্দে রচিত।
-
-
গঠন: মোট ১৩ খণ্ডে বিভক্ত এবং এতে ৪১৮টি পদ রয়েছে।
0
Updated: 1 month ago