'বাংলা গদ্যের জনক' বলা হয় কাকে?
A
রামমোহন রায়
B
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
C
উইলিয়াম কেরি
D
রামরাম বসু
উত্তরের বিবরণ
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে 'বাংলা গদ্যের জনক' বলা হয়।
কারণ:
-
তৎকালীন গদ্যরচনাকারীদের মধ্যে গদ্যের কাঠামো ও বাক্যের ভারসাম্য গঠনে সর্বাধিক প্রভাব বিস্তার করেছিলেন।
-
সমকালীন গদ্যলেখক অক্ষয়কুমার দত্ত বাংলা গদ্যের জটিলতা দূর করে তা ব্যবহারোপযোগী করেছিলেন; বিদ্যাসাগর সেই গদ্যরীতিতে লালিত্য ও নমনীয়তা যোগ করে ভাষার মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য সঞ্চার করেন।
-
বাংলা ভাষার ধ্বনিপ্রবাহ অনুধাবন করে বাক্যে স্বাভাবিক শব্দানুবৃত্তি এবং পরিমিতিবোধ সৃষ্টি করেছেন।
-
বিদ্যাসাগরের পূর্ববর্তী গদ্যের তুলনায় তাঁর সুষম বাক্যগঠন এবং সচেষ্ট রচনা বৈশিষ্ট্য পরিস্কারভাবে লক্ষণীয়।
-
তাঁর সৃষ্ট গদ্যরীতি পরবর্তী পর্যায়ে বাংলা গদ্যের পরিণত রূপের ভিত্তি স্থাপন করেছে।

0
Updated: 12 hours ago
‘রুখের তেগুলি কুম্ভীরে খাই’ – এই পঙ্ক্তিটি কোন পদকর্তার রচনা?
Created: 6 days ago
A
কাহ্নপা
B
কাহ্নপা
C
কুক্কুরীপা
D
ভুসুকুপা
কুক্কুরীপা
-
চর্যাগীতির কবি: কুক্কুরীপা চর্যাগীতির তিনটি গানের রচয়িতা (২, ২০ ও ৪৮)। তবে ৪৮ নং পদটির কিছু অংশ লুপ্ত।
-
পরিচয়:
-
তিনি উচ্চবংশীয় ছিলেন বলে ধারণা করা হয়, তাঁর চর্যার ভাষাও সে ইঙ্গিত বহন করে।
-
‘কুক্কুরীপা’ নামটি তান্ত্রিক ছদ্মনাম বা গুরুর প্রতি শ্রদ্ধাসূচক নাম হতে পারে।
-
তারানাথের মতে, সবসময় তাঁর সঙ্গে একটি কুক্কুরী (কুকুরী) থাকত, তাই এ নামকরণ।
-
-
অবস্থান:
-
অধিকাংশের মতে তিনি বাংলার উত্তরখণ্ডের বাসিন্দা।
-
হিন্দিভাষীরা তাঁকে নেপালের কপিলাবস্তু (বুদ্ধের জন্মস্থান) এর লোক বলেছেন।
-
-
সমসাময়িক সময়:
-
ড. শহীদুল্লাহর মতে, কুক্কুরীপা ৭৪০–৮২০ খ্রিষ্টাব্দে জীবিত ছিলেন।
-
ধারণা করা হয়, ৮০৯ খ্রিষ্টাব্দে রাজা ধর্মপালের শাসনামলে তিনি পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিলেন।
-
-
ধর্মচর্চা ও সাহিত্যকীর্তি:
-
তিনি মহামায়া-এর উপাসক ছিলেন।
-
সংস্কৃত রচনা ‘মহামায়াসাধন’ তাঁর নামের সঙ্গে যুক্ত।
-
অন্যান্য গ্রন্থ: যোগভাবনাপ্রদেশ, স্রবপরিচ্ছদ।
-
কুক্কুরীপা রচিত চর্যার পদসমূহ
১. দুলি দুহি পীড়া’ ধরণ ন জাই। রুখের তেগুলি কুম্ভীরে খাই’।
২. আঙ্গন ঘরপণ সুন ভো বিআতী। কানেট চোরে নিল অধরাতী।
৩. সসুরা নিদ গেল বহুড়ী জাগই’। কানেট চোরে নিল কা গই মাগই।
৪. দিবসহি’ বহুড়ী কাউহি’ ডর’ ভাই’। রাতি ভইলে কামরু জাই।
৫. অইসনী চর্যা কুকুরীপাত্র গাইল’। কোড়ি মাঝে একু হিঅহি সমাইল।
আধুনিক বাংলায় রূপান্তর
১. মাদি কচ্ছপকে দোহাল, কিন্তু দুধ ধরানো গেল না। গাছের তেঁতুল কুমির খেয়ে নিল।
২. ওগো প্রসূতি, ঘরের কাছে আঙিনা আছে। অর্ধরাতে চোর কানপাশা (গহনা) নিয়ে গেল।
৩. শ্বশুর ঘুমিয়ে গেল, বধূ জেগে রইল। কানপাশা চোর নিয়ে গেলে কার কাছে চাইতে হয়?
৪. দিনে বধূ কাকের ভয়ে ভীত থাকে, আর রাতে যায় কামরূপে (কামরাজ্যে)।
৫. এমন চর্যা কুক্কুরীপা গাইলেন, কোটির মধ্যে এক হৃদয়ে তা প্রবেশ করল।

0
Updated: 6 days ago
চণ্ডীমঙ্গল ধারার প্রধান কবির নাম -
Created: 1 month ago
A
মানিক দত্ত
B
বিজয়গুপ্ত
C
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
D
কানা হরিদত্ত
চণ্ডীমঙ্গল কাব্য
‘চণ্ডীমঙ্গল’ হলো চণ্ডী নামক লৌকিক-পৌরাণিক দেবীর পূজা প্রচারের কাহিনি অবলম্বনে রচিত মঙ্গলকাব্য।
এই কাব্যের আদি কবি মানিক দত্ত—চতুর্দশ শতকের কবি। তবে চণ্ডীমঙ্গল ধারার প্রধান কবি হলেন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী, যিনি ষোড়শ শতকে এই ধারার শ্রেষ্ঠ রূপ দেন। কাব্যটি মূলত দুইটি কাহিনি নিয়ে গঠিত।
কাহিনি সংক্ষেপ
চণ্ডীর ইচ্ছা হয়েছিল পৃথিবীতে তাঁর পূজা প্রচার করার। এজন্য তিনি স্বামী শিবকে অনুরোধ করেন, শিবের একনিষ্ঠ ভক্ত নীলাম্বরকে পৃথিবীতে পাঠাতে। কিন্তু বিনা অপরাধে পাঠাতে শিব রাজি হননি।
পরে চণ্ডী ষড়যন্ত্র করে নীলাম্বরকে পৃথিবীতে পাঠান। নীলাম্বর জন্ম নেন কালকেতু নামে, ব্যাধ ধর্মকেতুর ঘরে। স্বর্গে তাঁর স্ত্রী ছায়া পৃথিবীতে জন্ম নেন ফুল্লুরা নামে।

0
Updated: 1 month ago
'সংশপ্তক' উপন্যাসটি কত সালে প্রকাশিত হয়?
Created: 1 week ago
A
১৯৬৭ সালে
B
১৯৬১ সালে
C
১৯৬৫ সালে
D
১৯৬৩ সালে
‘সংশপ্তক’ শহীদুল্লাহ কায়সার রচিত একটি মহাকাব্যিক উপন্যাস, যা ১৯৬৫ সালে প্রকাশিত হয়। সংশপ্তক শব্দটি মহাভারত থেকে নেওয়া হয়েছে, যার অর্থ হলো সেই সৈনিকেরা যারা জীবন-মরণের পণ করে যুদ্ধ করে। উপন্যাসে হিন্দু-মুসলিম সম্মিলিত জীবনযাপন, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, দাঙ্গা, দুর্ভিক্ষ ও সাম্প্রদায়িকতার মতো প্রেক্ষাপট উপস্থাপিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলোর মধ্যে আছে রাবেয়া খাতুন (রাবু), জাহেদ, সেকেন্দার, মালু, হুরমতি, লেকু, রমজান, রামদয়াল প্রমুখ।
শহীদুল্লাহ কায়সার ১৯২৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ফেনিতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পূর্ণ নাম ছিল আবু নঈম মহাম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি ছিলেন বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা জহির রায়হানের সহোদর। তিনি সাংবাদিকতা, সাহিত্য ও রাজনৈতিক জীবনে সক্রিয় ছিলেন। তাঁর ভ্রমণবৃত্তান্তমূলক গ্রন্থ হলো পেশোয়ার থেকে তাসখন্দ, আর স্মৃতিকথামূলক রচনা রাজবন্দীর রোজনামচা, যা ১৯৬২ সালে প্রকাশিত হয়।
তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ
-
সারেং বৌ
-
সংশপ্তক
-
কৃষ্ণচূড়া মেঘ
-
তিমির বলয়
-
দিগন্তে ফুলের আগুন
-
সমুদ্র ও তৃষ্ণা
-
চন্দ্রভানের কন্যা
-
কবে পোহাবে বিভাবরী (অসমাপ্ত)
ভ্রমণবৃত্তান্ত
-
পেশোয়ার থেকে তাসখন্দ
স্মৃতিকথা
-
রাজবন্দীর রোজনামচা

0
Updated: 1 week ago