'মনসামঙ্গল' কাব্যের কবি নন কে?
A
মাণিক দত্ত
B
বিপ্রদাস পিপিলাই
C
বিজয় গুপ্ত
D
কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ
উত্তরের বিবরণ
মনসামঙ্গল বাংলা সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ লৌকিক মঙ্গলকাব্য, যা সাপের দেবী মনসা-এর স্তুতি, স্তব ও কাহিনীকে কেন্দ্র করে রচিত। এটি পদ্মাপুরাণ নামেও পরিচিত।
-
কাব্যের কবি: নন-নারায়ণ দেব।
-
আদি কবি: কানা হরিদত্ত।
-
অন্যান্য রচয়িতা: বিজয় গুপ্ত, নারায়ণ দেব, বিপ্রদাস পিপিলাই, দ্বিজ বংশীদাস, কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ প্রমুখ।
-
কাব্যের প্রধান চরিত্রগুলো:
-
সাপের দেবী মনসা
-
চাঁদ সওদাগর
-
বেহুলা
-
লখিন্দর
-
সনকা
-
অন্যদিকে, ষোলশ শতকের চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের কবি ছিলেন মাণিক দত্ত।

0
Updated: 12 hours ago
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
Created: 6 days ago
A
১৮২৯ সালে
B
১৮৪১ সালে
C
১৮২০ সালে
D
১৮১৪ সালে
• ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর:
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর — ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- ১৮৩৯ সালে সংস্কৃত কলেজ ঈশ্বরচন্দ্রকে — ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি প্রদান করে।
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ — বেতালপঞ্চবিংশতি।
- তার আত্মজীবনীর নাম — বিদ্যাসাগর চরিত বা আত্মচরিত।
তাঁর কয়েকটি বিখ্যাত গ্রন্থের নাম:
- শকুন্তলা,
- সীতার বনবাসের,
- ভ্রান্তিবিলাস ইত্যাদি।
• ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত শিক্ষামূলক গ্রন্থ:
- আখ্যান মঞ্জরী,
- বোধোদয়,
- বর্ণপরিচয়,
- কথামালা ইত্যাদি।

0
Updated: 6 days ago
‘চার ইয়ারি কথা’ কোন ধরনের গ্রন্থ?
Created: 1 month ago
A
গল্পগ্রন্থ
B
উপন্যাস
C
কাব্যগ্রন্থ
D
প্রবন্ধগ্রন্থ
চার ইয়ারী কথা’ (গল্পগ্রন্থ)
-
রচয়িতা: প্রমথ চৌধুরী
-
প্রকাশকাল: ১৯১৬
-
বিষয়বস্তু: চার বন্ধুর প্রেমের কাহিনী; নায়িকারা সকলেই ইউরোপীয়।
-
প্রথম নায়িকা: উন্মাদ
-
দ্বিতীয় নায়িকা: চোর
-
তৃতীয় নায়িকা: প্রতারক
-
চতুর্থ নায়িকা: মৃত্যুর পর ভালোবাসা প্রকাশ করে
-
-
বৈশিষ্ট্য: ভাষার চাতুর্য, সূক্ষ্ম ব্যঙ্গ, পরিহাসপ্রিয়তা; ভাবালু প্রেমকাহিনীকে প্রতিবাদী রূপে উপস্থাপন।
প্রমথ চৌধুরী
-
বাংলা ভাষার সাধু ও চলিত রূপের তুলনামূলক গবেষক।
-
বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক ও বিদ্রূপাত্মক প্রাবন্ধিক।
-
সাহিত্যিক ছদ্মনাম: বীরবল
-
উল্লেখযোগ্য রচনা:
-
বীরবলের হালখাতা (১৯০২, ভারতী পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত) → প্রথমবার চলিত রীতি প্রয়োগ।
-
-
বাংলা কাব্য সাহিত্যে ইতালীয় সনেটের প্রবর্তক।

0
Updated: 1 month ago
১) মঙ্গলকাব্যের কবি নয় কে?
Created: 1 month ago
A
ঘনরাম চক্রবর্তী
B
জয়দেব
C
দ্বিজমাধম
D
মানিক দত্ত
মঙ্গলকাব্য
বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও নিজস্ব কাহিনিকাব্য হিসেবে মঙ্গলকাব্যকে ধরা হয়। এটি দেবমাহাত্ম্য ও সমাজচিত্রভিত্তিক কাব্যের এক গুরুত্বপূর্ণ ধারা। ধারণা করা হয়, পঞ্চদশ শতক থেকে আঠারো শতকের শেষ পর্যন্ত এই ধরনের কাব্য রচিত হয়েছে।
প্রায় সব মঙ্গলকাব্যের কবিই স্বপ্নে দেবতাদের নির্দেশ পেয়ে কাব্য রচনা করেছেন। মঙ্গলকাব্যের তিনটি প্রধান শাখা হলো—
-
মনসামঙ্গল
-
চণ্ডীমঙ্গল
-
ধর্মমঙ্গল
এ কাব্যের প্রধান দেবতা ও দেবীরা হচ্ছেন মনসা, চণ্ডী এবং ধর্মঠাকুর। এর মধ্যে মনসা ও চণ্ডী—এই দুই স্ত্রীদেবতার প্রাধান্য বেশি। মঙ্গলকাব্যের দেব-দেবীরা মূলত অনার্য সংস্কৃতির দেবতা।
একটি পূর্ণাঙ্গ মঙ্গলকাব্যে সাধারণত পাঁচটি অংশ থাকে—
-
বন্দনা
-
আত্মপরিচয়
-
দেবখণ্ড
-
মর্ত্যখণ্ড
-
শ্রুতিফল
মোট ৬২ জন মঙ্গলকাব্য কবির সন্ধান পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—
-
কানাহারি দত্ত
-
মানিক দত্ত
-
ভারতচন্দ্র
-
দ্বিজমাধব
-
ঘনরাম চক্রবর্তী
চণ্ডীমঙ্গল কাব্যধারায় দ্বিজমাধবকে ‘স্বভাবকবি’ বলা হয়।
অন্যদিকে, জয়দেব মঙ্গলকাব্যের কবি নন; তিনি ছিলেন বৈষ্ণব পদাবলীর কবি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago