'মহাজন' নামে পরিচিত ছিলেন কোন কাব্যধারার পদকর্তারা?
A
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
B
মঙ্গলকাব্য
C
চর্যাপদ
D
বৈষ্ণব পদাবলি
উত্তরের বিবরণ
বৈষ্ণব পদাবলি মধ্যযুগে রচিত এক গুরুত্বপূর্ণ কাব্যধারা, যা বৈষ্ণব ধর্ম ও দর্শনকে কেন্দ্র করে রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলা অবলম্বনে গড়ে উঠেছে। এটি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম গৌরবময় সৃষ্টি।
-
বৈষ্ণব সাহিত্য মূলত বৈষ্ণব ধর্ম ও দর্শনকে কেন্দ্র করে রচিত।
-
রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলা এই সাহিত্যধারার মূল উপজীব্য।
-
জয়দেবের গীতগোবিন্দম্ (১২শ শতকে সংস্কৃতে রচিত) এ ধারার প্রথম কাব্য হিসেবে বিবেচিত।
-
মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের প্রধানতম গৌরব হলো বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্য।
-
পদাবলি সাহিত্য বৈষ্ণব তত্ত্বের রসভাষ্য হিসেবে কাজ করে। বৈষ্ণব সমাজে মহাজন পদাবলি রচয়িতা ও পদকর্তাদের মহাজন নামে পরিচিত।
-
বৈষ্ণব মতে, স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক বিদ্যমান এবং এটি রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলার মাধ্যমে উপলব্ধি করা হয়।
-
বাংলাদেশে শ্রীচৈতন্যদেবের প্রচারিত বৈষ্ণব মতবাদের সম্প্রসারণে বৈষ্ণব পদাবলি ব্যাপকভাবে বিকশিত হয়।
-
মধ্যযুগের সাহিত্যধারাগুলোর মধ্যে বৈষ্ণব সাহিত্যধারা পরিমাণে ও গুণে সর্বাধিক সমৃদ্ধ।
বৈষ্ণব সাহিত্য তিন প্রকার:
১. জীবনীকাব্য
২. বৈষ্ণব শাস্ত্র
৩. বৈষ্ণব পদাবলি

0
Updated: 12 hours ago
আধুনিক কবিদের মধ্যে কোন সাহিত্যিক ব্রজবুলি ভাষায় পদ রচনা করেছেন?
Created: 1 month ago
A
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
D
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বৈষ্ণব পদাবলি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বৈষ্ণবীয় মনস্তত্ত্বের প্রতি গভীর অনুরাগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর সোনার তরী কাব্যগ্রন্থের বহু কবিতায়, বিশেষত বর্ষার ঋতুবৈচিত্র্যকে কেন্দ্র করে রচিত কবিতাগুলিতে, এই প্রভাব স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
কাদম্বরী দেবীর অনুরোধে তিনি ব্রজবুলি ভাষায় পদ রচনা করেন, যা ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলি’ নামে পরিচিত। এর একটি সুপরিচিত উদাহরণ হলো—
“মরণরে, তুঁহু মম শ্যাম সমান”
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস — মাহবুবুল আলম; বাংলা সাহিত্যের কথা — ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ; লাল নীল দীপাবলি; বাংলা সাহিত্যের রূপরেখা — গোপাল হালদার।

0
Updated: 1 month ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর রচিত কোন গ্রন্থটি সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে উৎসর্গ?
Created: 1 week ago
A
খেয়া
B
বিশ্বপরিচয়
C
পরিশেষ
D
ঘরে বাইরে
‘বিশ্বপরিচয়’ প্রবন্ধ
-
‘বিশ্বপরিচয়’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি বিজ্ঞানবিষয়ক গ্রন্থ।
-
গ্রন্থটি রবীন্দ্রনাথের ভাষারীতি ও বিজ্ঞানচিন্তার এক মূল্যবান নিদর্শন।
-
এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৩৭ সালে।
-
রবীন্দ্রনাথ এই গ্রন্থটি উৎসর্গ করেছিলেন বিখ্যাত বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে।
রবীন্দ্রনাথের অন্যান্য গ্রন্থের উৎসর্গপত্র
-
‘খেয়া’ কাব্যগ্রন্থ উৎসর্গ করা হয়েছিল জগদীশ বসুকে।
-
‘পরিশেষ’ কাব্যগ্রন্থ উৎসর্গ করেছিলেন অতুলপ্রসাদ সেনকে।
-
‘ঘরে বাইরে’ উপন্যাস উৎসর্গ করেছিলেন প্রমথ চৌধুরীকে।
উৎস: ‘বিশ্বপরিচয়’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 1 week ago
'যদ্যপি আমার গুরু' কার রচনা?
Created: 2 days ago
A
হুমায়ূন আহমেদ
B
আলাউদ্দিন আল আজাদ
C
আহমদ ছফা
D
আব্দুশ শাকুর
যদ্যপি আমার গুরু’ গ্রন্থ
-
বাংলাদেশের অগ্রণী চিন্তাবিদ ও কথাসাহিত্যিক আহমদ ছফা রচিত একটি স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ।
-
দীর্ঘ এই স্মৃতিচারণমূলক রচনা প্রথমে দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকার সাহিত্য পাতায় প্রায় চার মাস ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় এবং ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে বই আকারে প্রকাশিত হয়।
-
এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংবদন্তি জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক-এর সাথে লেখকের বিভিন্ন বিষয়ে কথোপকথনের বিবরণ রয়েছে।
-
লেখক দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে রাজ্জাক স্যারের সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন এবং তাঁকে গুরু হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
আহমদ ছফার উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ:
-
সূর্য তুমি সাথী
-
উদ্ধার
-
একজন আলী কেনানের উত্থান পতন
-
অলাতচক্র
-
ওঙ্কার
-
গাভীবৃত্তান্ত
-
অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী
-
পুষ্পবৃক্ষ
-
বিহঙ্গ পুরাণ

0
Updated: 2 days ago