লৌকিক শ্রেণির মঙ্গলকাব্য কোনটি?
A
গৌরীমঙ্গল
B
অন্নদামঙ্গল
C
ভবানীমঙ্গল
D
মনসামঙ্গল
উত্তরের বিবরণ
লৌকিক মঙ্গলকাব্য, বিশেষ করে মনসামঙ্গল, বাংলা সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই ধরনের মঙ্গলকাব্যগুলোতে সাধারণত স্থানীয় দেবদেবী, লৌকিক বিশ্বাস ও সামাজিক রীতিনীতি প্রতিফলিত হয়।
-
লৌকিক মঙ্গলকাব্য বলতে বোঝায়, লোকায়ত দেবদেবী বা স্থানীয় দেবতা ও বিশ্বাসকে কেন্দ্র করে রচিত মঙ্গলকাব্য।
-
মঙ্গলকাব্যগুলোকে শ্রেণিগতভাবে দুটি ভাগে বিভক্ত করা যায়: পৌরাণিক এবং লৌকিক।
পৌরাণিক শ্রেণির মঙ্গলকাব্য এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
-
গৌরীমঙ্গল
-
ভবানীমঙ্গল
-
দুর্গামঙ্গল
-
অন্নদামঙ্গল
-
কমলামঙ্গল
-
গঙ্গামঙ্গল
-
চণ্ডিকামঙ্গল
লৌকিক শ্রেণির মঙ্গলকাব্য এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
-
শিবায়ন বা শিবমঙ্গল
-
মনসামঙ্গল
-
চণ্ডীমঙ্গল
-
কালিকামঙ্গল (বা বিদ্যাসুন্দর)
-
শীতলামঙ্গল
-
রায়মঙ্গল
-
ষষ্ঠীমঙ্গল
-
সারদামঙ্গল
-
সূর্যমঙ্গল

0
Updated: 12 hours ago
'লায়লী মজনু' কাব্যের রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
আলাওল
B
দৌলত উজির বাহরাম খান
C
দৌলত কাজী
D
শাহ মুহম্মদ সগীর
লায়লী-মজনু কাব্য
-
রচয়িতা: দৌলত উজির বাহরাম খান
-
রচনাকাল:
-
আহমদ শরীফের মতে: ১৫৪৩–১৫৫৩
-
শহীদুল্লাহর মতে: ১৬৬৯ খ্রিষ্টাব্দ
-
-
মূল উৎস: ইরানি কবি জামির লায়লী ওয়া-মজনুন কাব্যের ভাবানুবাদ
-
দেশ: ইরান
-
বিষয়বস্তু ও বৈশিষ্ট্য:
-
আধ্যাত্মিকতার চেয়ে মানবিক প্রেম ও প্রবৃত্তির প্রাধান্য
-
প্রধান চরিত্র: আমিরপুত্র কায়েশ ও বণিককন্যা লায়লী
-
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (মাহবুবুল আলম)

0
Updated: 1 month ago
শাহ্ মুহম্মদ সগীর কত শতকের কবি ছিলেন?
Created: 12 hours ago
A
সতের শতকের
B
ষোল শতকের
C
পনের শতকের
D
আঠারো শতকের
শাহ্ মুহম্মদ সগীর মধ্যযুগের এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি।
-
তিনি পনের শতকের কবি।
-
রচিত গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ: ইউসুফ-জোলেখা, যা রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার প্রথম কাব্য।
-
তিনি পারস্যের জামী রচিত ইউসুফ জোলেখা কাব্যের বাংলা অনুবাদ করেছেন, যা এই ধারার আদি গ্রন্থ হিসেবে গণ্য।
-
এ কাব্য গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজত্বকালে রচিত হয়েছিল।

0
Updated: 12 hours ago
আধুনিক ছন্দের বিচারে চর্যাপদ কোন ছন্দের অন্তর্গত?
Created: 1 month ago
A
মাত্রাবৃত্ত
B
স্বরবৃত্ত
C
ছন্দহীন
D
অক্ষরবৃত্ত
চর্যাপদ
-
ভাষা: চর্যাপদের ভাষাকে বলা হয় ‘সন্ধ্যা’ বা ‘সান্ধ্য ভাষা’, যা কোথাও স্পষ্ট, কোথাও অস্পষ্ট। একে ‘আলো-আঁধারি’ ভাষাও বলা হয়।
-
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মন্তব্য:
"আলো আঁধারি ভাষা, কতক আলো, কতক অন্ধকার, খানিক বুঝা যায়, খানিক বুঝা যায় না। যাঁহারা সাধন-ভজন করেন, তাঁহারাই সে কথা বুঝিবেন, আমাদের বুঝিয়া কাজ নাই।"
-
ছন্দ: চর্যাপদের পদগুলো প্রাচীন ছন্দে রচিত কি না তা বলা সম্ভব নয়; আধুনিক ছন্দ অনুযায়ী এগুলো মাত্রাবৃত্ত ছন্দে বিবেচিত হয়।

0
Updated: 1 month ago