গদ্যপদ্যে মিশ্রিত কাব্য কোনটি?
A
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
B
সেক শুভোদয়া
C
চৈতন্যভাগবত
D
মহাভারত
উত্তরের বিবরণ
‘সেক শুভোদয়া’ অন্ধকার যুগের একটি উল্লেখযোগ্য সাহিত্য নিদর্শন। এটি পীর মাহাত্ম্য ব্যঞ্জক চম্পুকাব্য, যেখানে গদ্য ও পদ্য একসঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছে। গ্রন্থটিতে ধর্মীয় কাহিনির পাশাপাশি ভাষার প্রাচীন বৈশিষ্ট্যও প্রকাশ পেয়েছে।
-
হলায়ুধ মিশ্র ‘সেক শুভোদয়া’ রচনা করেন। এটি সংস্কৃত গদ্যপদ্যে রচিত চম্পুকাব্য।
-
এখানে অশুদ্ধ বাংলা ও ভুল সংস্কৃত শব্দের ব্যবহার পাওয়া যায় বলে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় একে dog Sanskrit বলেছেন।
-
ড. মুহাম্মদ এনামুল হকের মতে, ‘সেক শুভোদয়া’ খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতকের গোড়ার দিকের রচনা।
-
কাহিনি অনুসারে অলৌকিক শক্তিধর মুসলমান শেখ জালালুদ্দীন তাবরেজি রাজা লক্ষ্মণ সেনের সভায় গল্পটি পরিবেশন করেন।
-
গ্রন্থে বহু বাংলা ছড়া ও বাগধারা ব্যবহৃত হয়েছে।
-
এতে মোট ২৫টি অধ্যায় আছে। ১৩২০-২১ বঙ্গাব্দে মণীন্দ্রমোহন বসু ১৩টি পরিচ্ছেদ বঙ্গানুবাদসহ ‘কায়স্থ’ পত্রিকায় প্রকাশ করেন।
-
১৩৩৪ বঙ্গাব্দে সুকুমার সেন গ্রন্থটির সম্পাদনা করে প্রথম মুদ্রণ করেন।
অন্যদিকে:
-
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বড়ুচণ্ডীদাস রচিত রাধাকৃষ্ণের প্রণয়কথাভিত্তিক আখ্যানকাব্য।
-
চৈতন্যভাগবত (১৫৪৬-১৫৫০) বৃন্দাবন দাসের রচনা এবং এটি বাংলায় চৈতন্যদেবের জীবনীমূলক প্রথম কাব্য।
-
মহাভারত সংস্কৃত ভাষায় রচিত ভারতের প্রাচীন মহাকাব্য, যার রচয়িতা মহর্ষি বেদব্যাস।

0
Updated: 12 hours ago
মাইকেল মধুসূদন রচিত ‘ওড’ জাতীয় কাব্য কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ব্রজাঙ্গনা
B
মেঘনাদবধ
C
তিলোত্তমাসম্ভব
D
বীরাঙ্গনা
'ব্রজাঙ্গনা' কাব্য
-
রচয়িতা: মাইকেল মধুসূদন দত্ত
-
প্রকাশকাল: ১৮৬১
-
বিষয়: রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক গীতিকাব্য
-
ধরণ ও রচনা:
-
'ওড্' জাতীয় গীতিকবিতা
-
দুই খণ্ডে রচনার পরিকল্পনা: বিরহ ও মিলন (মিলন খণ্ড অসম্পূর্ণ)
-
-
নায়িকা: রাধা
-
মধুসূদন দত্তের মন্তব্য: ‘Poor Old Mrs. Radha of Braja’
-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত অন্যান্য কাব্য
-
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
-
মেঘনাদবধ কাব্য
-
ব্রজাঙ্গনা কাব্য
-
বীরাঙ্গনা কাব্য
-
চতুর্দশপদী কবিতাবলী
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
’নিগ্রো সাহিত্য’ প্রবন্ধের লেখক কে?
Created: 1 week ago
A
বদরুদ্দীন উমর
B
সেলিম আল দীন
C
আহমদ শরীফ
D
প্রমথ চৌধুরী
‘নিগ্রো সাহিত্য’ সেলিম আল দীন রচিত একটি প্রবন্ধ, যা আমেরিকার কালো মানুষদের জীবন ও সাহিত্যকে কেন্দ্র করে লেখা। এটি তাঁর প্রথম বাংলা প্রবন্ধ এবং ১৯৬৮ সালে কবি আহসান হাবিব সম্পাদিত দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকার সাহিত্য সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়।
সেলিম আল দীন আধুনিক বাংলা নাটকের অন্যতম প্রধান নাট্যকার হিসেবে খ্যাত। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল মইনুদ্দিন আহমেদ। তিনি ১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট ফেনি জেলার সোনাগাজী উপজেলার সেনেরখিল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৯ সালে তাঁর প্রথম রেডিও নাটক বিপরীত তমসায় প্রচারিত হয় এবং ১৯৭০ সালে আতিকুল হক চৌধুরীর প্রযোজনায় তাঁর প্রথম টেলিভিশন নাটক লিব্রিয়াম (পরবর্তীতে ঘুম নেই) সম্প্রচারিত হয়।
১৯৮১–৮২ সালে নাট্য-নির্দেশক নাসির উদ্দিন ইউসুফের সাথে তিনি বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার গঠন করেন, যার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের নাট্যশিল্পকে বিশ্বনাট্য ধারার সাথে সমাসীন করার প্রচেষ্টা চালান। ১৯৮৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে তিনি এর প্রথম সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর রচনায় বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং তাদের সংস্কৃতি মহাকাব্যিক ব্যাপ্তি পেয়েছে। তিনি ২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য নাট্যগ্রন্থ
-
সর্প বিষয়ক গল্প ও অন্যান্য
-
বাসন
-
কেরামতমঙ্গল
-
কীর্তন খোলা
-
হাতহদাই
-
জুলান
-
শকুন্তলা
-
মুনতাসীর ফ্যান্টাসি
-
জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন
-
চাকা
-
যৈবতী কন্যার মন
-
হরগজ
-
নিমজ্জন

0
Updated: 1 week ago
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত কোন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন না?
Created: 1 week ago
A
সংবাদ সাধুরঞ্জন
B
সংবাদ রত্নাবলী
C
পাষণ্ডপীড়ন
D
সমাচার দর্পণ
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত সমাচার দর্পণ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন না।
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত:
- ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ছিলেন একজন কবি ও সাংবাদিক।
- তিনি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক যুগসন্ধিকালীন কবি, অর্থাৎ মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগের সংযোগ রচনা করেছিলেন।
- তাঁর ছদ্মনাম ছিল ‘ভ্রমণকারী বন্ধু’।
- তিনি প্রথম বাংলা দৈনিক পত্রিকা ‘সংবাদ প্রভাকর’-এর সম্পাদক ছিলেন।
- এছাড়া তিনি সংবাদ রত্নাবলী, পাষণ্ডপীড়ন ও সংবাদ সাধুরঞ্জন নামক পত্রিকাও সম্পাদনা করেন।
- তাঁর অন্যতম কীর্তি হলো কবিয়ালদের লুপ্তপ্রায় জীবনী উদ্ধার করে প্রকাশ করা, যা বাংলা সাহিত্য ইতিহাসে বিশেষ অবদান হিসেবে বিবেচিত।
অন্যদিকে, সমাচার দর্পণ হচ্ছে ক্লার্ক মার্শম্যান সম্পাদিত সাপ্তাহিক পত্রিকা।

0
Updated: 1 week ago