বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর উদ্দেশ্য কী ছিল?
A
জরুরি অবস্থা ঘোষণা
B
মহিলাদের জন্য সংসদের আসন সংরক্ষণ
C
সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠা
D
৯৩ হাজার যুদ্ধবন্দির বিচার অনুষ্ঠান
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান, যা ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয় এবং একই বছর ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়, দেশের আইনশৃঙ্খলা ও শাসনের মূল ভিত্তি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি মোট ১৭ বার সংশোধিত হয়েছে, তবে এর মধ্যে চারটি সংশোধনীকে সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করেছে।
প্রথম সংশোধনী: যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ব্যবস্থা
১৯৭৩ সালের ১৫ জুলাই দেশের সংবিধানে প্রথম সংশোধনী আনা হয়। এই সংশোধনীর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল দেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সংঘটিত গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রমকে আইনগত স্বীকৃতি প্রদান। সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের ৪৭ নং অনুচ্ছেদতে পরিবর্তন এনে ‘৪৭-(ক)’ নামে একটি নতুন ধারা সংযোজন করা হয়। এই ধারার আওতায় যুদ্ধাপরাধী ও গণহত্যার অভিযোগে বন্দিদের বিচার করা সম্ভবপর হয়, যা দেশের ন্যায়বিচারের জন্য একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত।
দ্বিতীয় সংশোধনী: জরুরি অবস্থা ঘোষণা
এর পরের গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী হয় ১৯৭৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। এই সংশোধনীতে সংবিধানে জরুরি অবস্থার বিধান সংযোজন করা হয়। এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা বা বহিরাক্রমণের ফলে দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অবস্থা বিপর্যস্ত হলে সরকার ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করতে পারবে। এ ধারা দেশের নিরাপত্তা ও শাসনের স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সর্বশেষ সংশোধনী ও নারী আসনের সংরক্ষণ
বাংলাদেশের সংবিধানে সর্বশেষ, অর্থাৎ সপ্তদশ সংশোধনী পাশ হয় ২০১৮ সালের ৮ জুলাই। এতে জাতীয় সংসদের ৫০টি আসন বিশেষভাবে নারীদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়, যেটি আরও ২৫ বছর প্রযোজ্য থাকবে। এই পদক্ষেপ দেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়েছে।
উৎস: বাংলাদেশের রাজনৈতিক উন্নয়ন, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 3 months ago
সংসদ-কক্ষের সামনের দিকের আসনগুলোকে কী বলা হয়?
Created: 2 months ago
A
ব্যাকবেঞ্চ
B
হাউস বেঞ্চ
C
ট্রেজারি বেঞ্চ
D
চিফ বেঞ্চ
ট্রেজারি বেঞ্চ
-
সংসদ কক্ষের সামনের দিকের আসনগুলোকে ট্রেজারি বেঞ্চ বলা হয়।
-
সরকারি দলের মন্ত্রী ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিগণ এই আসনে বসেন।
-
ট্রেজারি বেঞ্চকে ‘ফ্রন্ট বেঞ্চ’ ও বলা হয়।
-
সাধারণত, স্পীকারের আসনের ডানদিকে থাকে ট্রেজারি বেঞ্চ।
-
এর বিপরীত দিকে সামনের সারিতে বসেন বিরোধী দলের নেতা, উপনেতা, হুইপ ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ব্যাকবেঞ্চার
-
সংসদে সরকারি ও বিরোধী দলের যেসব সদস্য পেছনের সারিতে বসেন, তাদের ব্যাকবেঞ্চার বলা হয়।
-
এই সদস্যরা সরকারি দলের মন্ত্রী বা গুরুত্বপূর্ণ পদে নেই, আবার বিরোধী দলেরও নেতৃস্থানীয় নয়।
-
তাই সংসদের আসন ব্যবস্থায় তারা পেছনের সারিতে বসেন।
সূত্র: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে সংবিধানের কত নং অনুচ্ছেদে?
Created: 1 month ago
A
২১ নং অনুচ্ছেদে
B
১২ নং অনুচ্ছেদে
C
১৭ নং অনুচ্ছেদে
D
১৫ নং অনুচ্ছেদে
সংবিধান:
-
ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা: সংবিধানের ১২ নং অনুচ্ছেদে উল্লেখিত।
-
ধর্ম নিরপেক্ষতা নীতি বাস্তবায়নের জন্য:
১. সর্ব প্রকার সাম্প্রদায়িকতা বিলোপ।
২. রাষ্ট্র কর্তৃক কোনো ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা প্রদান নিষিদ্ধ।
৩. রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মীয় অপব্যবহার বন্ধ।
৪. কোনো বিশেষ ধর্ম পালনকারী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য বা নিপীড়ন বন্ধ।
0
Updated: 1 month ago
সংবিধান রচনা কমিটির একমাত্র মহিলা সদস্য ছিল -
Created: 1 month ago
A
সেলিনা হোসেন
B
জাকিয়া বানু
C
বেগম রাজিয়া বানু
D
বেগম রাজিয়া সুলতানা
সংবিধান:
-
সংবিধান রচনা কমিটির প্রধান: ড. কামাল হোসেন
-
রচনা কমিটির মোট সদস্য: ৩৪ জন
-
একমাত্র মহিলা সদস্য: বেগম রাজিয়া বানু
-
একমাত্র বিরোধী দলীয় সদস্য: সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত
-
হস্তলিখিত সংবিধানে প্রথম স্বাক্ষর: শেখ মুজিবুর রহমান
-
হস্তলিখিত সংবিধানে স্বাক্ষর করেননি: সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত
0
Updated: 1 month ago