'গীতগোবিন্দম্' কাব্যটি কোন ভাষায় রচিত?
A
বাংলা
B
সংস্কৃত
C
ব্রজবুলি
D
হিন্দি
উত্তরের বিবরণ
বৈষ্ণব পদাবলি বাংলা মধ্যযুগীয় সাহিত্যের এক অনন্য সৃষ্টি। এতে মূলত রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা ও ভক্তিরসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কবি তাঁদের কবিত্বশক্তি প্রকাশ করেছেন। এ ধারার সূচনা ও বিকাশে একাধিক কবির অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
-
বৈষ্ণব পদাবলি মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ফসল।
-
জয়দেব বৈষ্ণব পদাবলির প্রথম পদকর্তা হিসেবে পরিচিত। তাঁর রচিত গীতগোবিন্দম্ আদি বৈষ্ণব পদাবলির নিদর্শন হলেও এটি সংস্কৃত ভাষায় রচিত।
-
বিদ্যাপতি প্রথম ব্রজবুলি ভাষায় বৈষ্ণব পদ রচনা করেন।
-
বাংলা ভাষায় বৈষ্ণব পদাবলি রচনার সূচনা করেন চণ্ডীদাস।
-
বৈষ্ণব পদাবলির প্রথম সংকলক ছিলেন বাবা আউল মনোহর দাস।
-
বৈষ্ণব পদাবলির প্রথম সংকলনের নাম পদসমুদ্র।
-
পদসমুদ্র সংকলনে প্রায় ১৫ হাজার পদ অন্তর্ভুক্ত ছিল।
-
বৈষ্ণব পদাবলিতে কৃষ্ণের প্রধান প্রেমিকা শ্রীরাধাকে নায়িকা বলা হয়। এখানে নায়িকার আটটি অবস্থা বর্ণিত হয়েছে।
-
এই কাব্যে পাঁচটি রস উল্লেখযোগ্য:
১. শান্তরস
২. দাস্যরস
৩. সখ্যরস
৪. বাৎসল্যরস
৫. মধুররস

0
Updated: 12 hours ago
নাগার্জুনের শিষ্য ছিলেন কে?
Created: 1 week ago
A
ভুসুকুপা
B
কাহ্নপা
C
শবরপা
D
ডোম্বীপা
শবরপা চর্যাপদের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন কবি হিসেবে পরিচিত, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এ মত প্রকাশ করেছেন। তিনি ছিলেন নাগার্জুনের শিষ্য এবং তাঁর জীবনকাল আনুমানিক ৬৮০ – ৭৬০ খ্রিষ্টাব্দ। শবরপা ছিলেন চর্যাপদের প্রথম পদকর্তা এবং তিনি লুইপার গুরু ছিলেন। চর্যাপদের ২৮ ও ৫০ নং পদের রচয়িতা তিনি। এছাড়া তিনি সংস্কৃত ও অপভ্রংশ মিলে মোট ১৬টি গ্রন্থ রচনা করেন।
শবরপা রচিত উল্লেখযোগ্য পঙ্ক্তি
"উষ্ণা উষ্ণা পাবত তহিঁ সবই সবরী বালী।
মোরাঙ্গ পীচ্ছ পরিহাণ সবী গীবত গুঞ্জরী।।"

0
Updated: 1 week ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম ভ্রমণকাহিনি কোনটি?
Created: 1 month ago
A
পশ্চিম যাত্রীর ডায়েরী
B
য়ুরোপ প্রবাসীর পত্র
C
জাভা যাত্রীর পত্র
D
জাপান যাত্রী
‘য়ুরোপ প্রবাসীর পত্র’
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম ভ্রমণকাহিনি।
চলিত ভাষায় রচিত, এবং এখানেই রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার চলিতরীতির প্রবর্তন করেন।
প্রথম প্রকাশিত হয় ভারতী পত্রিকায় (১৮৮১ সালে)।
কাহিনি সংক্ষেপ
১৮৭৮ সালের সেপ্টেম্বরে সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ইংল্যান্ড যান।
কিছুদিন ব্রাইটনের একটি পাবলিক স্কুলে এবং পরে লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজে পড়াশোনা করেন।
পড়াশোনা সম্পূর্ণ না করে দেড় বছর পর তিনি দেশে ফেরেন।
সে সময় ইউরোপের সমাজ ও জীবনকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন, যার প্রতিফলন দেখা যায় তাঁর য়ুরোপ প্রবাসীর পত্র গ্রন্থে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভ্রমণকাহিনি
য়ুরোপ প্রবাসীর পত্র
য়ুরোপ যাত্রীর ডায়েরী
পথের সঞ্চয়
জাপান যাত্রী
পশ্চিম যাত্রীর ডায়েরী
জাভা যাত্রীর পত্র
রাশিয়ার চিঠি
পারস্য যাত্রী

0
Updated: 1 month ago
"আমার কবিতা আমি জানি গেলেও বিচিত্র পথে হয় নাই সে সর্বত্রগামী।" পঙ্ক্তিটির লেখক কে?
Created: 1 week ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
D
সুকান্ত ভট্টাচার্য
“আমার কবিতা আমি জানি, গেলেও বিচিত্র পথে হয় নাই সে সর্বত্রগামী।”—এই পঙ্ক্তিটির লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এটি তাঁর ঐকতান কবিতার অংশ, যা রচিত হয়েছিল তাঁর মৃত্যুর মাত্র চার মাস আগে।
ঐকতান কবিতা রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। এটি মূলত কবির আত্মস্বীকারোক্তিমূলক ও আত্মপক্ষসমর্থনমূলক কবিতা, যেখানে তিনি নিজের সীমাবদ্ধতা ও সৃষ্টির বৈচিত্র্যের মধ্যকার অপূর্ণতা স্বীকার করেছেন। কবি মনে করেন, তাঁর কবিতা যদিও বিচিত্র পথে অগ্রসর হয়েছে, তবুও তা সর্বত্র পৌঁছাতে পারেনি।
ঐকতান কবিতার মূল বৈশিষ্ট্য
-
কবি পৃথিবীর বিশালতা ও বৈচিত্র্যের কথা উল্লেখ করেছেন।
-
মানুষের সভ্যতা, নদী, গিরি, সিন্ধু, মরু, নগর ও কীর্তির বিপুলতা তিনি স্বীকার করেছেন।
-
সেই তুলনায় তাঁর সৃষ্টিকর্ম সীমাবদ্ধ ও একটি ক্ষুদ্র কোণেই আবদ্ধ।
-
কবি স্বীকার করেছেন যে, তাঁর সুরে অপূর্ণতা রয়েছে।
-
আত্মসমালোচনার মধ্য দিয়েও তিনি শিল্পীর সত্য ও সততা প্রকাশ করেছেন।
এ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ শিল্পীর আত্মদর্শন ও আত্মবিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন, যা তাঁর সাহিত্যকর্মের গভীর মানবতাবোধকে প্রতিফলিত করে।

0
Updated: 1 week ago