নিম্নের কোনটি সরকারি আইনগত সহায়তার হেল্পলাইন নম্বর হিসেবে পরিচিত?
A
১৬৪২০
B
৩৩৩
C
১০৯৮
D
১৬৪৩০
উত্তরের বিবরণ
কোটা সংস্কার আন্দোলন সংক্রান্ত মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলার বিরুদ্ধে আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি হেল্পলাইন চালু করেছে। মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১৬৪৩০ নম্বরে ফোন করে সহায়তা নেওয়া যাবে।
-
হেল্পলাইনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সেবা:
-
৯৯৯: বাংলাদেশের জরুরি কল সেন্টার
-
১০৯: নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ
-
১০৯৮: শিশু সহায়তামূলক কল সেন্টার
-
৩৩৩: জাতীয় তথ্যবাতায়ন কল সেন্টার
-
১০৫: জাতীয় পরিচয়পত্র তথ্য কল সেন্টার
-
১০০: বিটিআরসি কল সেন্টার
-
১৬৪২০: বিটিসিএল কল সেন্টার
-

0
Updated: 12 hours ago
কোন উপজাতিটির আবাসস্থল “বিরিশিরি” নেত্রকোনায়?
Created: 1 week ago
A
সাঁওতাল
B
গারো
C
খাসিয়া
D
মুরং
‘গারো’ উপজাতি
-
প্রধান নিবাস: বাংলাদেশের গারো উপজাতি মূলত ময়মনসিংহ জেলার পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করে।
-
অন্যান্য জেলা: শেরপুর, নেত্রকোনা, রংপুর, জামালপুর, সিলেট ও মৌলভীবাজারে কিছু গারো উপজাতি দেখা যায়।
-
প্রধান উপজেলাগুলি:
-
ময়মনসিংহ: হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া
-
নেত্রকোনা: দুর্গাপুর, কলমাকান্দা
-
শেরপুর: নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী
-
টাঙ্গাইল: মধুপুর
-
-
বিশেষ কেন্দ্র: নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি এলাকায় গারোদের সংখ্যা বেশি এবং তারা সেখানে তাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধরে রেখেছে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
ধর্ম: ঐতিহ্যবাহী ধর্ম ‘সাংসারেক’, কিছু গারো খ্রিস্টান ধর্ম পালন করে।
-
প্রধান দেবতা: তাতারা রাবুগা
-
উৎসব: ওয়ানগালা
-
ভাষা: মান্দি
-
পরিবার ব্যবস্থা: মাতৃতান্ত্রিক
উৎস: ময়মনসিংহ জেলার সরকারি ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 week ago
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন?
Created: 1 week ago
A
নওয়াব আবদুল লতিফ
B
স্যার সৈয়দ আহমেদ
C
নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ
D
খাজা নাজিমুদ্দিন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ
নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহর অবদান:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগে নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ বিশেষ ভূমিকা রাখেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ঢাকার রমনা এলাকায় নিজের জমি দান করেছিলেন।
বঙ্গভঙ্গের প্রেক্ষাপট:
১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের পর ঢাকায় ‘সর্বভারতীয় মুসলিম শিক্ষা সম্মেলন’ এবং ‘পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রাদেশিক শিক্ষা সমিতির’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি আরও জোরদার করে।
সরকারের প্রতি দাবি:
নওয়াব সলিমুল্লাহ ১৯০৫ সাল থেকেই সরকারকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে চাপ দিয়ে আসছিলেন।
লর্ড হার্ডিঞ্জের সফর:
১৯১২ সালের ২৯ জানুয়ারি লর্ড হার্ডিঞ্জ ঢাকায় তিন দিনের জন্য আসেন। ৩১ জানুয়ারি নওয়াব সলিমুল্লাহর নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি মুসলিম প্রতিনিধি দল বড়লাটের সঙ্গে দেখা করে এবং পূর্ববঙ্গের মুসলমানদের স্বার্থে একটি মানপত্র পেশ করে।
সরকারি ঘোষণা:
এর পরপরই ১৯১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ভারত সরকার একটি ঘোষণা জারি করে, যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা হয়।
শিক্ষা কার্যক্রম শুরু:
অবশেষে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠদান শুরু হয়।
তথ্যসূত্র: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 week ago
মুক্তিযুদ্ধকালে কোলকাতার ৮, থিয়েটার রােডে “বাংলাদেশ বাহিনী” কখন গঠন করা হয়?
Created: 1 week ago
A
এপ্রিল ১০, ১৯৭১
B
এপ্রিল ১১, ১৯৭১
C
এপ্রিল ১২, ১৯৭১
D
এপ্রিল ১৩, ১৯৭১
তেলিয়াপাড়া বৈঠক ও মুক্তিফৌজ গঠনের প্রেক্ষাপট
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সেনাদের নৃশংস হামলার পর বাংলাদেশের বাঙালি সেনা অফিসাররা বিদ্রোহ শুরু করেন। এই বিদ্রোহী অফিসারদের মধ্যে ছিলেন: খালেদ মোশাররফ, শাফায়াত জামিল, জিয়াউর রহমান, এস.এম. রেজা এবং কে.এম. সফিউল্লাহ।
এদের উপস্থিতিতে এম.এ.জি. ওসমানী ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গলের অস্থায়ী সদর দপ্তর তেলিয়াপাড়া তে বৈঠক করেন।
বৈঠকের প্রধান তথ্য:
-
স্থান: তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানেজার বাংলো
-
তারিখ: ৪ এপ্রিল ১৯৭১
-
অংশগ্রহণকারী: ভারতীয় বিএসএফ-এর পূর্বাঞ্চলীয় মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার ভি.সি. পান্ডে ও অন্যান্য প্রতিনিধি
বৈঠকের সিদ্ধান্ত:
-
বিদ্রোহী অফিসাররা পাকিস্তানি সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
-
সকল বিদ্রোহী ইউনিটের সমন্বয়ে মুক্তিফৌজ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
-
যুদ্ধকৌশল হিসেবে প্রথমবারের মতো এই পরিকল্পনাকে “তেলিয়াপাড়া রণকৌশল” বলা হয়।
পরবর্তী ঘটনা:
-
বৈঠকের কোনো লিখিত নথি রাখা হয়নি, তবে মৌখিকভাবে নেতৃত্ব, সংগঠন ও যুদ্ধ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
-
১১ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বেতার ভাষণে এই বৈঠকের সিদ্ধান্তের কিছু অংশ প্রকাশ করা হয়।
-
সভার শেষে কর্নেল ওসমানী মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সূচনা হিসেবে ফাঁকা গুলি ছুঁড়েন।
উপসংহার:
অতএব, ১১ এপ্রিল ১৯৭১ সালে বিদ্রোহী বাঙালি সেনাদের সমন্বয়ে প্রথম আনুষ্ঠানিক মুক্তিযুদ্ধ বাহিনী গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
উৎস:মূলধারা ৭১

0
Updated: 1 week ago