নিচের কোন ব্যক্তি লাহোর প্রস্তাব উত্থাপক এর সাথে সম্পর্কিত?
A
খাজা নাজিমউদ্দিন
B
মুহম্মদ আলী জিন্নাহ
C
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
D
এ. কে. ফজলুল হক
উত্তরের বিবরণ
লাহোর প্রস্তাব ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ মুসলিম লীগের বার্ষিক অধিবেশনে উত্থাপিত হয়, যা ভারতীয় মুসলমানদের জন্য পৃথক রাষ্ট্রের স্বপ্ন বুনেছিল এবং দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে প্রণীত হয়। প্রস্তাবটি মুহম্মদ আলী জিন্নাহর সভাপতিত্বে সভায় গৃহীত হয় এবং এটিকে ঐতিহাসিকভাবে লাহোর প্রস্তাব হিসেবে পরিচিতি দেয়া হয়েছে।
-
লাহোর প্রস্তাবের মূল বিষয়বস্তু: দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারতীয় মুসলমানদের পৃথক আবাসভূমি এবং একাধিক মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ধারণা।
-
গৃহীত প্রভাব: ১৯৪৬ সালের দিল্লি অধিবেশনে কেবল পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।
-
প্রস্তাব উত্থাপনকারী: শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক, অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী।
-
১৯১৬ সালে তিনি লক্ষ্ণৌ চুক্তি প্রস্তাব উত্থাপন করেন, যা কংগ্রেসের যুক্ত অধিবেশনে অনুষ্ঠিত হয়।
-
১৯২৭ সালে তিনি কৃষক-প্রজা পার্টি নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেন।
-
১৯৪০ সালে লাহোরে মুসলিম লীগের অধিবেশনে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সভাপতিত্বে পাকিস্তান প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
-
তাঁর বক্তৃতায় মুগ্ধ হয়ে পাঞ্জাববাসীরা তাঁকে শের-ই-বঙ্গাল বা বাংলার বাঘ উপাধি প্রদান করে।
-
১৯৫৪ সালে সাধারণ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট দলের নেতৃত্ব দিয়ে তিনি বিপুল ভোটাধিক্যে জয়লাভ করে পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন।
-
১৯৫৬ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত তিনি পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

0
Updated: 12 hours ago
ঋণ সালিশী বোর্ড গঠন করেন কে?
Created: 3 weeks ago
A
শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক
B
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
C
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ
D
খাজা নাজিমুদ্দিন
শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক:
-
এ.কে. ফজলুল হক ছিলেন একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও জননেতা।
-
তিনি কলকাতার মেয়র ছিলেন ১৯৩৫ সালে।
-
অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৩৭–১৯৪৩)।
-
পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৫৪)।
-
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী (১৯৫৫) এবং পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর (১৯৫৬–১৯৫৮) সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
-
তিনি ১৯৩৮ সালে ‘Bengal Agricultural Debtors' Act’ কার্যকর করেন।
-
বাংলার সর্বত্র তিনি ঋণ সালিশি বোর্ড স্থাপন করেছিলেন।
এছাড়াও:
-
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলা হয়।
-
তিনি ছিলেন অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
-
স্বাধীন পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল ছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 weeks ago
ঋণ সালিশী বোর্ড গঠন করেন কে?
Created: 1 week ago
A
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
B
খাজা নাজিমুদ্দিন
C
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ
D
শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক
শেরে বাংলা ফজলুল হক:
-
পূর্ণ নাম: এ.কে. ফজলুল হক।
-
পেশা: রাজনীতিবিদ ও জননেতা।
-
কলকাতার মেয়র: ১৯৩৫ সালে।
-
অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী: ১৯৩৭-১৯৪৩।
-
পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী: ১৯৫৪ সালে।
-
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী: ১৯৫৫।
-
পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর: ১৯৫৬-১৯৫৮।
-
গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়ন: Bengal Agricultural Debtors' Act, ১৯৩৮ কার্যকর।
-
বাংলার সব এলাকায় ঋণ সালিশি বোর্ড স্থাপন করেছিলেন।
বিশেষ তথ্য:
-
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তাকে গণতন্ত্রের মানসপুত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
-
স্বাধীন পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল ছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
-
"মজলুম জননেতা" হিসেবে পরিচিত ছিলেন আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
এ.কে. ফজলুল হককে কোথায় ‘শের-ই-বঙ্গাল’ উপাধি দেওয়া হয়?
Created: 1 week ago
A
ঢাকায়
B
করাচিতে
C
কলকাতায়
D
লাহোরের
এ.কে. ফজলুল হক বা আবুল কাশেম ফজলুল হক ছিলেন একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও জননেতা, যিনি অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ইতিহাসে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি কলকাতা করপোরেশনের প্রথম বাঙালি মুসলিম, পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও গভর্নর, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। বাগ্মী ও শিক্ষানুরাগী হিসেবে সুপরিচিত ফজলুল হক শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
-
১৯৪০ সালে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সভাপতিত্বে লাহোরে অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত মুসলিম লীগের অধিবেশনে তিনি প্রথম পাকিস্তান প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
-
তার জ্বালাময়ী বক্তৃতা পাঞ্জাববাসীর মন জয় করে এবং তাঁকে ‘শের-ই-বঙ্গাল’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়, যার অর্থ ‘বাংলার বাঘ’।
-
১৯১২ সালে কলকাতায় তিনি কেন্দ্রীয় জাতীয় মুসলিম শিক্ষা সমিতি (Central Muslim Educational Association) প্রতিষ্ঠা করেন এবং মুসলমানদের শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেন।
-
তার প্রচেষ্টায় ১৯১৬ সালে কলকাতায় বেকার হোস্টেল ও কারমাইকেল হোস্টেল প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
জীবদ্দশায় তিনি আরও অনেক সম্মান ও উপাধি লাভ করেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১৯৫৯ সালে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত ‘হিলাল-ই-পাকিস্তান’।

0
Updated: 1 week ago