বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি থেকে অক্টাল পদ্ধতিতে রূপান্তর করতে কয়টি বাইনারি ডিজিট একসাথে গ্রুপ করা হয়?
A
২টি
B
৩টি
C
৪টি
D
৮টি
উত্তরের বিবরণ
◉ একটি অক্টাল সংখ্যাকে বাইনারিতে রূপান্তর করলে প্রতি অঙ্কের জন্য ৩টি বাইনারি বিট লাগে।
উদাহরণস্বরূপ:
অক্টাল 7 = বাইনারি 111
অক্টাল 5 = বাইনারি 101
সুতরাং, বাইনারি থেকে অক্টাল রূপান্তরের সময় প্রতি ৩টি বাইনারি বিট = ১টি অক্টাল ডিজিট। এজন্য ৩টি বাইনারি ডিজিট একসাথে গ্রুপ করা হয়।
বাইনারি থেকে অক্ট্যাল রূপান্তর:
- একটি অক্ট্যাল সংখ্যা তিন বিট বাইনারি দ্বারা প্রকাশ করা যায়।
- আমরা জানি, বাইনারি সংখ্যার ভিত্তি ২ এবং অক্ট্যাল সংখ্যার ভিত্তি ৮।
- বাইনারি সংখ্যাকে অক্টালে রূপান্তর করতে সংখ্যাটির অংকগুলোকে তিন বিট বিশিষ্ট ছোট ছোট ভাগে ভাগ করা হয়।
- এরপর প্রতিটি গ্রুপের সমতুল্য অক্ট্যাল মান বসালে তা বাইনারি থেকে অক্টালে রূপান্তরিত হয়।

উৎস:
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি ওয়েব ব্রাউজার নয়?
Created: 1 month ago
A
Google Buzz
B
Opera
C
Safari
D
Netscape Navigator
Google Buzz ওয়েব ব্রাউজার নয়। এটি ছিল গুগলের একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ও মাইক্রোব্লগিং পরিষেবা, যা ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে চালু করা হয় এবং ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে বন্ধ করে দেওয়া হয়। অর্থাৎ, Google Buzz মূলত অনলাইন যোগাযোগ ও কনটেন্ট শেয়ারিংয়ের একটি প্ল্যাটফর্ম ছিল, ওয়েব ব্রাউজার নয়।
ওয়েব ব্রাউজার (Web Browser)
-
ইন্টারনেটকে প্রায়ই তথ্যের মহাসমুদ্র বলা হয়, কারণ এতে বিশ্বের বিভিন্ন সার্ভারে সংরক্ষিত অসংখ্য তথ্য ব্যবহারকারীরা সহজে পেতে পারেন।
-
যে সফটওয়্যার ব্যবহার করে ইন্টারনেটে থাকা ওয়েব পেজ (Web Page) বা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (World Wide Web – WWW) দেখা যায়, তাকে ওয়েব ব্রাউজার বলে।
-
বিভিন্ন সার্ভারে সংরক্ষিত ওয়েব পেজ পরিদর্শন করাকে ওয়েব ব্রাউজিং (Web Browsing) বলে।
-
ওয়েব ব্রাউজিংয়ের মাধ্যমে ব্যবহারকারী প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ, অনলাইন যোগাযোগ এবং বিভিন্ন সাইট পরিদর্শন করতে পারেন।
-
ওয়েব ব্রাউজার এমন এক ধরনের সফটওয়্যার, যা ইন্টারনেটে সংযুক্ত সার্ভার কম্পিউটারগুলোর ওয়েব পেজ প্রদর্শনের ব্যবস্থা করে।
জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজারসমূহ
১. ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার (Internet Explorer)
২. মজিলা ফায়ারফক্স (Mozilla Firefox)
৩. নেটস্কেপ কমিউনিকেটর (Netscape Communicator)
৪. সাফারি (Safari)
৫. ওপেরা (Opera)
৬. গুগল ক্রোম (Google Chrome)
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন তথ্যটি ওয়াইফাই (Wi-Fi) সম্পর্কিত সঠিক নয়?
Created: 1 month ago
A
এর কাভারেজ অল্প জায়গা জুড়ে থাকে
B
এটি হাফ-ডুপ্লেক্স মোডে কাজ করে
C
এটি লাইসেন্সবিহীন স্পেকট্রাম ব্যবহার করে
D
এর গতি ওয়াইম্যাক্স (Wi-Max) এর চেয়ে বেশি
Wi-Max এবং Wi-Fi হলো দুটি জনপ্রিয় তারবিহীন প্রযুক্তি, যা ইন্টারনেট বা নেটওয়ার্কের সাথে ডিভাইস সংযোগে ব্যবহৃত হয়। Wi-Max এর গতি Wi-Fi এর তুলনায় অনেক বেশি এবং এর কাভারেজও বিস্তৃত। বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হলো:
-
Wi-Fi:
-
ওয়াই-ফাই বা Wireless Fidelity হলো একটি জনপ্রিয় তারবিহীন প্রযুক্তি, যা রেডিও ওয়েভ ব্যবহার করে ডিভাইসকে উচ্চ গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করে।
-
ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন কম্পিউটার, স্মার্টফোন এবং অন্যান্য গ্যাজেটকে ইন্টারনেট বা লোকাল নেটওয়ার্কের সাথে ওয়্যারলেসভাবে সংযুক্ত করে।
-
ঘরের ভিতরে প্রায় ৩২ মিটার এবং বাইরে প্রায় ১০০ মিটার পর্যন্ত এর কাভারেজ থাকে।
-
এটি লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কে প্রবেশ করতে লাইসেন্সবিহীন স্পেকট্রাম ব্যবহার করে।
-
গতি অপেক্ষাকৃত কম, প্রায় ১০-৫০ Mbps।
-
এতে হাফ ডুপ্লেক্স মোড ব্যবহার করা হয়।
-
বর্তমানে এটি IEEE 802.11g স্ট্যান্ডার্ড নামে পরিচিত।
-
-
Wi-Max:
-
Wi-Max হলো একটি যোগাযোগ প্রযুক্তি, যা বিস্তৃত ভৌগলিক অঞ্চলে দ্রুত গতির ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে।
-
এর কাভারেজ প্রায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
এর খরচ অপেক্ষাকৃত বেশি।
-
গতি অনেক বেশি, দূরত্বের উপর নির্ভর করে ১০-১০০ Mbps হতে পারে।
-
এতে ফুল ডুপ্লেক্স মোড ব্যবহার করা হয়।
-
এটি IEEE 802.16 স্ট্যান্ডার্ড নামে পরিচিত।
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
ফায়ারওয়াল ব্যবহারের মূল কারণ কী?
Created: 1 month ago
A
ইমেল অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করা
B
ব্যাকআপ ফাইল রাখা
C
ইন্টারনেটের গতি বাড়ানো
D
নেটওয়ার্কে অননুমোদিত প্রবেশ আটকানো
ফায়ারওয়াল ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য হলো নেটওয়ার্ককে নিরাপদ রাখা। এটি একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যা অননুমোদিত প্রবেশ বা হ্যাকিংয়ের চেষ্টা থেকে কম্পিউটার বা সার্ভারকে রক্ষা করে। ফায়ারওয়াল নেটওয়ার্কে আসা এবং যাওয়া ডেটা প্যাকেট পরীক্ষা করে এবং সেগুলি নিরাপদ কিনা তা নির্ধারণ করে। এটি ইন্টারনেটে থাকা হুমকি যেমন ভাইরাস, ম্যালওয়্যার বা হ্যাকারদের অননুমোদিত অ্যাক্সেস থেকে সিস্টেমকে রক্ষা করে। ফায়ারওয়ালের কাজ হলো অনুমোদিত ট্রাফিককে অনুমতি দেওয়া এবং সন্দেহজনক ট্রাফিককে ব্লক করা। তাই, ফায়ারওয়াল ব্যবহার করার মূল কারণ হলো— নেটওয়ার্কে অননুমোদিত প্রবেশ আটকানো।
ফায়ারওয়াল সম্পর্কিত তথ্য:
-
অননুমোদিত ব্যবহারকারীর হাত থেকে নেটওয়ার্ক রিসোর্সকে রক্ষা এবং সাইবার অ্যাটাক প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয়।
-
এটি এমন একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা যা কোম্পানির নিজস্ব নেটওয়ার্ক, ইনট্রানেট বা ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে অবৈধ অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ করে।
-
কোনো কম্পিউটারের সফটওয়্যারের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য ফায়ারওয়াল তৈরি করা হয়।
-
সাধারণত ফায়ারওয়ালের সাথে রাউটার বা ডেডিকেটেড সার্ভার থাকে যা সম্পূর্ণ ফায়ারওয়াল হিসেবে কাজ করে।
-
ফায়ারওয়াল কোনো প্রতিষ্ঠানের গেট কিপার হিসেবে কাজ করে, প্রবেশকে নিরাপদ করে এবং ডেটা ফিল্টার হিসেবে কাজ করে।
-
এটি হ্যাকিং প্রতিরোধে বাধা দেয়, তবে সবসময় সম্পূর্ণ প্রতিরোধ করতে পারে না।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago