ষ-ত্ব বিধানের ক্ষেত্রে কোনটি অশুদ্ধ?
A
সংস্কৃত 'সাৎ' প্রত্যয়যুক্ত পদে 'ষ' হয়
B
উ-কারান্ত উপসর্গের পর কতগুলো ধাতুতে 'ষ' হয়
C
ক ও র-এর পরে প্রত্যয়ের স 'ষ' হয়
D
ঋ'এবং ঋ কারের পর 'ষ' হয়
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় ‘ষ’ ধ্বনির ব্যবহার ও বিধি সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম রয়েছে। এগুলো মূলত তৎসম এবং সংষ্কৃত ধ্বনিগত গঠনের সঙ্গে সম্পর্কিত। নিচে বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো।
-
ষ-ত্ব বিধান সম্পর্কিত বিষয়
-
অশুদ্ধ ধারণা: সংস্কৃত ‘সাৎ’ প্রত্যয়যুক্ত পদে ‘ষ’ ধ্বনি হয়।
-
শুদ্ধ তথ্য: সংস্কৃত ‘সাৎ’ প্রত্যয়যুক্ত পদেও ‘ষ’ ধ্বনি হয় না।
-
উদাহরণ: অগ্নিসাৎ, ধূলিসাৎ, ভূমিসাৎ
-
-
-
‘ষ’ ব্যবহারের নিয়ম
-
অ, আ ভিন্ন অন্য স্বরধ্বনি এবং ক ও র-এর পরে ‘ষ’ হয়।
-
উদাহরণ: ভবিষ্যৎ, মুমূর্ষু, চক্ষুষ্মান, চিকীর্ষা
-
-
ই-কারান্ত এবং উ-কারান্ত উপসর্গের পর কিছু ধাতুতে ‘ষ’ হয়।
-
উদাহরণ: অভিসেক → অভিষেক, সুসুপ্ত → সুষুপ্ত, অনুসঙ্গ → অনুষঙ্গ, প্রতিসেধক → প্রতিষেধক, প্রতিস্থান → প্রতিষ্ঠান, অনুস্থান → অনুষ্ঠান, বিসম → বিষম, সুসমা → সুষমা
-
-
ঋ এবং ঋ-কারের পর ‘ষ’ হয়।
-
উদাহরণ: ঋষি, কৃষক, উৎকৃষ্ট, দৃষ্টি, সৃষ্টি
-
-
তৎসম শব্দে ‘র’-এর পর ‘ষ’ হয়।
-
উদাহরণ: বর্ষা, ঘর্ষণ, বর্ষণ
-
-
র- ধ্বনির পরে যদি অ, আ ভিন্ন অন্য স্বরধ্বনি থাকে, তার পরে ‘ষ’ হয়।
-
উদাহরণ: পরিষ্কার
-
তবে অ, আ স্বরধ্বনি থাকলে ‘স’ হয়।
-
উদাহরণ: পুরস্কার
-
-
-
ট-বর্গীয় ধ্বনির সঙ্গে ‘ষ’ যুক্ত হয়।
-
উদাহরণ: কষ্ট, স্পষ্ট, নষ্ট, কাষ্ঠ, ওষ্ঠ
-
-
কিছু শব্দে স্বাভাবিকভাবেই ‘ষ’ ধ্বনি থাকে।
-
উদাহরণ: ষড়ঋতু, রোষ, কোষ, আষাঢ়, ভাষণ, ভাষা, ঊষা, পৌষ, কলুষ, পাষাণ, মানুষ, ঔষধ, ষড়যন্ত্র, ভূষণ, দ্বেষ
-
-
-
‘ষ’ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যত্যয়
-
বিদেশি ভাষা থেকে আগত শব্দে ‘ষ’ ব্যবহৃত হয় না।
-
উদাহরণ: জিনিস, পোশাক, মাস্টার, পোস্ট
-
-
সংস্কৃত ‘সাৎ’ প্রত্যয়যুক্ত পদেও ‘ষ’ ব্যবহৃত হয় না।
-
উদাহরণ: অগ্নিসাৎ, ধূলিসাৎ, ভূমিসাৎ
-
-
0
Updated: 1 month ago
’ণ-ত্ব’ বিধান অনুযায়ী কোনটি সঠিক?
Created: 1 month ago
A
ট-বর্গীয় ধ্বনির পরে তৎসম শব্দে ‘ণ’ লেখা হয়
B
ঋ, র, ষ-এর পরে সবসময় ‘ণ’ ব্যবহৃত হয়
C
ঔ, ও-এর পরে ‘ণ’ ব্যবহার হয়
D
বিদেশি শব্দে ’ণ’ হয়
ণ-ত্ব বিধান:
বাংলা ভাষায় তৎসম শব্দের বানানে ণ-এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মই ণ-ত্ব বিধান।
'ণ' ব্যবহারের নিয়ম:
-ট-বর্গীয় ধ্বনির আগে তৎসম শব্দে সব সময় 'ণ' ব্যবহৃত হয়। যেমন: ঘণ্টা, কাণ্ড ইত্যাদি।
- ঋ, র, ষ - এর পরে 'ণ' হয়। যেমন: ঋণ, তৃণ, বর্ণ, বর্ণনা, কারণ, মরণ, ব্যাকরণ, ভীষণ, ভাষণ, উষ্ণ ইত্যাদি।
-কতকগুলো শব্দে স্বভাবতই 'ণ' হয়।
যেমন: চাণক্য, মাণিক্য, গণ, বাণিজ্য, লবণ, মণ, বেণু, বীণা, কঙ্কণ, কণিকা, স্থাণু, ফণী, পিণাক ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago
স্বভাবতই 'ষ' হয়েছে নিচের কোন শব্দে?
Created: 3 weeks ago
A
সুষুপ্ত
B
ঋষি
C
কষ্ট
D
দ্বেষ
‘ষ’ ব্যবহারের নিয়ম বাংলায় ধাতু, তৎসম শব্দ এবং বিশেষ ধ্বনিসমূহে নির্দিষ্টভাবে প্রযোজ্য। প্রধান নিয়মগুলো নিম্নরূপ:
-
অ, আ ভিন্ন অন্য স্বরধ্বনি এবং ক ও র-এর পরে প্রত্যয়ের স ‘ষ’ হয়।
যেমন: ভবিষ্যৎ, মুমূর্ষু, চক্ষুষ্মান, চিকীর্ষা। -
ই-কারান্ত এবং উ-কারান্ত উপসর্গের পর কিছু ধাতুতে ‘ষ’ হয়।
যেমন: অভিসেক → অভিষেক, সুসুপ্ত → সুষুপ্ত, অনুসঙ্গ → অনুষঙ্গ, প্রতিসেধক → প্রতিষেধক, প্রতিস্থান → প্রতিষ্ঠান, অনুস্থান → অনুষ্ঠান, বিসম → বিষম, সুসমা → সুষমা। -
ঋ এবং ঋ কারের পরে ‘ষ’ ব্যবহৃত হয়।
যেমন: ঋষি, কৃষক, উৎকৃষ্ট, দৃষ্টি, সৃষ্টি। -
তৎসম শব্দে র-এর পরে ‘ষ’ হয়।
যেমন: বর্ষা, ঘর্ষণ, বর্ষণ। -
র-ধ্বনির পরে যদি অ, আ ভিন্ন স্বরধ্বনি থাকে তবে তার পরে ‘ষ’ ব্যবহৃত হয়।
যেমন: পরিষ্কার।
কিন্তু অ, আ স্বরধ্বনি থাকলে ‘স’ হয়। যেমন: পুরস্কার। -
ট-বর্গীয় ধ্বনির সঙ্গে ‘ষ’ যুক্ত হয়।
যেমন: কষ্ট, স্পষ্ট, নষ্ট, কাষ্ঠ, ওষ্ঠ। -
কিছু শব্দে স্বভাবতই ‘ষ’ ব্যবহৃত হয়।
যেমন: ষড়ঋতু, রোষ, কোষ, আষাঢ়, ভাষণ, ভাষা, ঊষা, পৌষ, কলুষ, পাষাণ, মানুষ, ঔষধ, ষড়যন্ত্র, ভূষণ, দ্বেষ।
‘ষ’ ব্যবহারের ব্যতীত ক্ষেত্র:
-
বিদেশি ভাষা থেকে আগত শব্দে ‘ষ’ হয় না।
যেমন: জিনিস, পোশাক, মাস্টার, পোস্ট। -
সংস্কৃত ‘সাৎ’ প্রত্যয়যুক্ত পদেও ‘ষ’ হয় না।
যেমন: অগ্নিসাৎ, ধূলিসাৎ, ভূমিসাৎ।
0
Updated: 3 weeks ago
নিচের কোনটির ক্ষেত্রে ষ-ত্ব বিধান খাটে না?
Created: 2 months ago
A
ই-কারান্ত এবং উ-কারান্ত উপসর্গের পর
B
ক ও র-এর পরে প্রত্যয়ে
C
সংস্কৃত 'সাৎ' প্রত্যয়যুক্ত পদে
D
তৎসম শব্দে 'র'-এর পর
0
Updated: 2 months ago