'অজপাড়াগাঁ' শব্দে 'অজ' উপসর্গটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
A
অভাব
B
নিতান্ত মন্দ
C
পুরনো
D
ভিন্নতা
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় খাঁটি বাংলা উপসর্গ বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এগুলো এমন উপসর্গ যা সম্পূর্ণভাবে বাংলার নিজস্ব এবং বিদেশি ভাষা থেকে আগত নয়। নিচে বিষয়টি উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করা হলো।
-
‘অজ’ খাঁটি বাংলা উপসর্গ
-
অর্থ: নিতান্ত (মন্দ)
-
উদাহরণ:
-
অজপাড়াগাঁ
-
অজমূর্খ
-
অজপুকুর
-
-
-
খাঁটি বাংলা উপসর্গ
-
সংজ্ঞা: বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত নিজস্ব উপসর্গকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়।
-
মোট সংখ্যা: ২১টি
-
তালিকা: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
-
উল্লেখযোগ্য তথ্য: বাংলা উপসর্গের মধ্যে আ, সু, বি, নি উপসর্গ তৎসম শব্দেও ব্যবহৃত হয়।
-

0
Updated: 14 hours ago
'প্রচলন' শব্দের 'প্র' উপসর্গটি কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
Created: 3 weeks ago
A
আধিক্য
B
খ্যাতি
C
প্রকৃষ্ট
D
ধারা-পরম্পরা
“প্র” সংস্কৃত উপসর্গের ব্যবহার
সংজ্ঞা:
বাংলা ভাষায় “প্র” উপসর্গ মূলত সanskrit থেকে নেওয়া হয়েছে এবং এটি শব্দের অর্থে বিভিন্ন প্রকারের পরিবর্তন বা বিশেষ অর্থ যোগ করে।
১. প্রকৃষ্ট / সম্যক অর্থে
-
অর্থ: যথার্থ, পরিপূর্ণ বা প্রকৃতভাবে
-
উদাহরণ:
-
প্রচলন (সম্পূর্ণভাবে প্রচার বা প্রতিষ্ঠা করা)
-
প্রস্ফুটিত (পুরোপুরি ফোটানো বা প্রকাশিত)
-
২. আধিক্য অর্থে
-
অর্থ: বৃদ্ধি, বেশি বা প্রবলভাবে
-
উদাহরণ:
-
প্রচার (ব্যাপকভাবে জানানো)
-
প্রবল (অত্যন্ত শক্তিশালী)
-
প্রসার (বিস্তৃতি বা বৃদ্ধি)
-
প্রগাঢ় (গভীর বা তীব্র)
-
৩. খ্যাতি অর্থে
-
অর্থ: মান বা খ্যাতি প্রকাশ করা
-
উদাহরণ:
-
প্রতাপ (শক্তি ও খ্যাতি)
-
প্রসিদ্ধ (খ্যাতিমান)
-
প্রভাব (পরিচিত প্রভাবশালী অবস্থা)
-
৪. ধারা-পরম্পরা বা অনুগামিক অর্থে
-
অর্থ: ধারাবাহিকতা বা সম্পর্ক নির্দেশ করা
-
উদাহরণ:
-
প্রশাখা (শাখার ধারাবাহিক অংশ)
-
প্রপৌত্র (নাতির নাতি বা উত্তরাধিকার সূত্রে সংযুক্ত ব্যক্তি)
-
উৎস: ভাষা শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 3 weeks ago
নিচের কোনটি তৎসম উপসর্গ?
Created: 5 days ago
A
অজ
B
অ
C
অঘা
D
অপ
বাংলা উপসর্গ ও তৎসম উপসর্গ
-
বাংলা উপসর্গ:
-
বাংলা উপসর্গ মোট একুশটি।
-
যথা:
-
অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, উন (উনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
-
-
-
তৎসম (সংস্কৃত) উপসর্গ:
-
বাংলা ভাষায় বহু সংস্কৃত শব্দ হুবহু এসেছে। সেই সঙ্গে সংস্কৃত উপসর্গও তৎসম শব্দের আগে বসে শব্দকে নতুন রূপে অর্থের সংকোচন বা সম্প্রসারণ করতে সাহায্য করে।
-
তৎসম উপসর্গ বিশটি:
-
প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অপি, অভি, উপ, আ।
-
-

0
Updated: 5 days ago
বাংলা অব্যয়ীভাব সমাসের উদাহরণ ব্যাকরণের কোন অংশের অন্তর্ভুক্ত করা যায়?
Created: 1 month ago
A
সন্ধি
B
উপসর্গ
C
কারক
D
প্রত্যয়
সঠিক উত্তর: খ) উপসর্গ।
অব্যয়ীভাব সমাস
যখন অব্যয় (যেমন: উপ, প্রতি, নির্, অনু) ধরনের শব্দ বিশেষ্য বা অন্য কোনো পদের আগে বসে এবং সেইভাবে গঠিত শব্দের মানে সেই অব্যয়ের অর্থেই প্রকাশ পায়—তখন তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে।
এখানে মনে রাখতে হবে:
উপসর্গ হলো এক ধরনের অব্যয়।
তাই উপসর্গ যোগে গঠিত শব্দগুলোকে অব্যয়ীভাব সমাস ধরা হয়।
এই সমাসে ব্যাসবাক্য (পূর্ণ বাক্য) গঠনের সময় আলাদা করে অব্যয়ের নাম বলা হয় না, কেবল তার অর্থ বোঝানো হয়।
উদাহরণসহ ব্যাখ্যা
১. উপকূল = উপ + কূল → কূলের কাছে
২. প্রতিদিন = প্রতি + দিন → প্রতিটি দিন
৩. নির্ভয় = নির্ + ভয় → ভয় নেই এমন
৪. অনুকূল = অনু + কূল → কূলের অনুগত
এই শব্দগুলোর বৈশিষ্ট্য
-
এগুলো উপসর্গ + বিশেষ্য পদের মিলনে গঠিত।
-
নতুন অর্থ তৈরি করে।
-
বাংলা ব্যাকরণে এদের উপসর্গ হিসেবেও ধরা হয়।
অন্যান্য অপশন কেন নয়
-
ক) সন্ধি: ধ্বনির মিলন সংক্রান্ত।
-
গ) কারক: বিভক্তি ও পদের সম্পর্ক বোঝায়।
-
ঘ) প্রত্যয়: শব্দ বা ধাতুর শেষে যুক্ত হয়।
উৎস: ভাষাশিক্ষা – ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 1 month ago