'যতদিন তাদের শিক্ষার কোনো ব্যবস্থা না হচ্ছে ততদিন তাদের দুরবস্থা ঘুচবে না।' কোন ধরনের বাক্য?
A
সরল বাক্য
B
জটিল বাক্য
C
যৌগিক বাক্য
D
সংযোগমূলক বাক্য
উত্তরের বিবরণ
জটিল বাক্য হলো সেই ধরনের বাক্য যেখানে একটি প্রধান খণ্ডবাক্যের অধীনে এক বা একাধিক অপ্রধান খণ্ডবাক্য থাকে, অথবা একাধিক বাক্য পরস্পর সাপেক্ষভাবে ব্যবহৃত হয়।
যে ক্ষেত্রে সাপেক্ষ সর্বনাম যেমন—যে/সে, যারা/তারা, যিনি/তিনি, যাঁরা/তাঁরা, যা/তা এবং সাপেক্ষ যোজক যেমন—যদি/তবে, যদিও/তবু, যেহেতু/সেহেতু, যত/তত, যেটুকু/সেটুকু, যেমন/তেমন, যখন/তখন—দ্বারা অধীন বাক্যগুলো যুক্ত থাকে, সেই ধরনের বাক্যকে জটিল বাক্য বলা হয়।
উদাহরণস্বরূপ:
-
যতদিন তাদের শিক্ষার কোনো ব্যবস্থা না হচ্ছে, ততদিন তাদের দুরবস্থা ঘুচবে না।
-
যে ছেলেটি এখানে এসেছিল, সে আমার ভাই।
-
যদি তুমি যাও, তবে তার দেখা পাবে।
0
Updated: 1 month ago
‘কৃতবিদ্য’ শব্দের ব্যাসবাক্য কোনটি?
Created: 3 months ago
A
কৃত যে বিদ্য
B
কৃত যে বিদ্যা
C
কৃত বিদ্যা যার
D
কৃত হয়েছে যার বিদ্যা
যে সমাসের সমস্তপদে পূর্বপদ ও পরপদের অর্থ না বুঝিয়ে, অন্য কোনো পদকে বোঝায় তাই বহুব্রীহি সমাস। বহুব্রীহি সমাসে সাধারণত যার, যাতে ইত্যাদি শব্দ ব্যাসবাক্যরুপে ব্যবহৃত হয়। যেমন - বহু ব্রীহি (ধান) আছে যার। কৃত বিদ্যা যার - কৃতবিদ্য।
0
Updated: 3 months ago
কোন বাক্যটি দ্বারা অনুরোধ বুঝায়?
Created: 4 months ago
A
তুই বাড়ি যা
B
ক্ষমা করা ঘোর অপরাধ
C
কাল একবার এসো
D
দূর হও
একই বাক্য বা শব্দ, ভিন্ন স্বরভঙ্গিতে উচ্চারিত হলে তা ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে। এটিই বাভঙ্গির মাহাত্ম্য। মানুষ কখনো জিজ্ঞাসা করে, কখনো আদর করে, আবার কখনো রাগ বা বিস্ময় প্রকাশ করে—এসবই স্বরভঙ্গির মাধ্যমে বোঝা যায়।
নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো, যা বাভঙ্গির রূপভেদে একই বাক্য বা বাক্যাংশ কীভাবে বিভিন্ন অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে, তা স্পষ্ট করে তোলে:
১. সাধারণ বিবৃতি (তথ্য দেওয়া)
-
সে আজ যাবে।
👉 নিছক একটি তথ্য জানানো হচ্ছে।
২. প্রশ্ন (জিজ্ঞাসা)
-
সে আজ যাবে?
👉 সন্দেহ বা কৌতূহল প্রকাশ পাচ্ছে।
৩. বিস্ময়
-
সে আজ যাবে!
👉 ভাবনার বাইরে কিছু ঘটছে, আশ্চর্যজনক অনুভূতি।
৪. ক্রোধ
-
আমি তোমাকে দেখে নেব।
👉 হুমকি বা রাগ প্রকাশ করা হচ্ছে।
৫. আদর
-
বড্ড শুকিয়ে গেছিস রে।
👉 স্নেহমাখা কণ্ঠে কষ্ট প্রকাশ।
৬. আনন্দ
-
বেশ বেশ, খুব ভালো হয়েছে।
👉 খুশি হয়ে প্রশংসা করা হচ্ছে।
৭. অনুরোধ
-
কাল একবার এসো। / কাল একবার আসতে পারবে?
👉 ভদ্রভাবে কারো প্রতি অনুরোধ জানানো।
স্বরভঙ্গি কেবল বাক্য গঠনের একটি উপাদান নয়, বরং এটি ভাষাকে প্রাণবন্ত করে তোলে। একই বাক্য, ভিন্ন স্বরভঙ্গিতে ভিন্ন আবেগ ও মনোভাব প্রকাশ করতে পারে। এটি ভাষার নান্দনিক ও ব্যবহারিক সৌন্দর্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম দশম শ্রেণি (২০২১ ও ২০১৯ সংস্করণ)।
0
Updated: 4 months ago
‘যিনি বিদ্বান, তিনি সর্বত্র আদরণীয়।’-এটি কোন ধরনের বাক্য?
Created: 1 month ago
A
সরল বাক্য
B
জটিল বাক্য
C
যৌগিক বাক্য
D
খণ্ড বাক্য
জটিল বাক্য হলো এমন একটি বাক্য যেখানে একটি প্রধান খণ্ডবাক্যর অধীনে এক বা একাধিক অপ্রধান খণ্ডবাক্য থাকে, অথবা একাধিক প্রধান খণ্ডবাক্য পরস্পর সাপেক্ষভাবে ব্যবহৃত হয়।
এর অর্থ, বাক্যের অংশগুলো একে অপরের সাথে নির্ভরশীল বা সম্পর্কিত থাকে। জটিল বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে সাধারণত সাপেক্ষ সর্বনাম এবং সাপেক্ষ যোজক ব্যবহৃত হয়।
সাপেক্ষ সর্বনাম: যে-সে, যারা-তারা, যিনি-তিনি, যাঁরা-তাঁরা, যা-তা প্রভৃতি।
সাপেক্ষ যোজক: যদি-তবে, যদিও-তবুও, যেহেতু-সেহেতু, যত-তত, যেটুকু-সেটুকু, যেমন-তেমন, যখন-তখন প্রভৃতি।
যখন এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করে অধীন বাক্যগুলো যুক্ত থাকে, তখন সেটি জটিল বাক্য হিসেবে চিহ্নিত হয়।
উদাহরণ:
-
যে রক্ষক, সে ভক্ষক।
-
যে ছেলেটি এখানে এসেছিল, সে আমার ভাই।
-
যদি তুমি যাও, তবে তার দেখা পাবে।
-
সে যে কোথায়, তা আমার জানা নেই।
-
যিনি বিদ্বান, তিনি সর্বত্র আদরণীয়।
0
Updated: 1 month ago