ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয় নয় কোনটি?
A
ধ্বনির বিন্যাস
B
সন্ধি
C
ষ-ত্ব ও ণ-ত্ব বিধান
D
সমাস
উত্তরের বিবরণ
রূপতত্ত্ব হলো ব্যাকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা যেখানে শব্দ ও তার উপাদান নিয়ে আলোচনা করা হয়। এখানে বিশেষত বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, ক্রিয়া, ক্রিয়াবিশেষণ ইত্যাদি অংশ অন্তর্ভুক্ত হয়। রূপতত্ত্বে বিশেষ গুরুত্ব পায় শব্দগঠন প্রক্রিয়া। এর আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে উপসর্গ, সমাস, প্রত্যয় ও পুরুষ।
অন্যদিকে, ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয় হলো ধ্বনি। যেহেতু লিখিত ভাষায় ধ্বনি প্রকাশ করা হয় বর্ণের মাধ্যমে, তাই ধ্বনিতত্ত্বে বর্ণমালাসংক্রান্ত আলোচনা অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মূল আলোচনার বিষয়গুলো হলো—
-
বাগ্যন্ত্র এবং বাগ্যন্ত্রের উচ্চারণ প্রক্রিয়া
-
ধ্বনির বিন্যাস
-
স্বর ও ব্যঞ্জনধ্বনির বৈশিষ্ট্য
-
ধ্বনিদল
-
ষ-ত্ব বিধান ও ণ-ত্ব বিধান
-
সন্ধি
0
Updated: 1 month ago
"ফাল্গুন > ফাগুন" - কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ?
Created: 2 months ago
A
অভিশ্রুতি
B
অন্তর্হতি
C
সমীভবন
D
অপিনিহিতি
অন্তর্হতি
পদের মধ্যে কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ হলে তাকে অন্তর্হতি বলা হয়।
উদাহরণ:
-
ফাল্গুন → ফাগুন
-
ফলাহার → ফলার
-
আলাহিদা → আলাদা
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago
ব্যাকরণের কোন অংশে "শব্দ, বর্গ ও বাক্যের ব্যঞ্জনা" — নিয়ে আলোচনা করা হয়?
Created: 1 month ago
A
ধ্বনিতত্ত্বে
B
রূপতত্ত্বে
C
বাক্যতত্ত্বে
D
অর্থতত্ত্বে
বাংলা
অর্থতত্ত্ব ( Semantics )
ধ্বনিতত্ত্ব ( Phonology)
বাক্যতত্ত্ব বা পদক্রম (Syntax)
বাংলা ব্যকরণ
শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব ( Morphology)
অর্থতত্ত্ব, ধ্বনিতত্ত্ব, রূপতত্ত্ব ও বাক্যতত্ত্ব বাংলা ব্যাকরণের গুরুত্বপূর্ণ চারটি শাখা, যেগুলো ভাষার বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করে। প্রতিটি শাখার নিজস্ব আলোচ্য বিষয় এবং গুরুত্ব রয়েছে।
অর্থতত্ত্ব:
-
ব্যাকরণের সেই অংশ যেখানে শব্দ, বর্গ ও বাক্যের অর্থ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
একে বাগার্থতত্ত্বও বলা হয়।
-
এতে বিপরীত শব্দ, প্রতিশব্দ, শব্দজোড়, বাগধারা প্রভৃতি বিষয় অন্তর্ভুক্ত।
-
শব্দ, বর্গ ও বাক্যের ব্যঞ্জনা সম্পর্কেও আলোচনা থাকে।
ধ্বনিতত্ত্ব:
-
আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে: ধ্বনি, বর্ণ, ধ্বনির উচ্চারণ প্রণালি, উচ্চারণের স্থান, ধ্বনি পরিবর্তন ও লোপ, ষ-ত্ব ও ণ-ত্ব বিধান, সন্ধি
রূপতত্ত্ব:
-
শব্দ ও তার উপাদান নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
এতে বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, ক্রিয়া, ক্রিয়াবিশেষণ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত।
-
শব্দগঠন প্রক্রিয়াকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
-
উপসর্গ, সমাস, প্রত্যয়, পুরুষ রূপও রূপতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।
বাক্যতত্ত্ব:
-
বাক্য এবং তার নির্মাণ ও গঠন নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
বাক্যের মধ্যে পদ ও বর্গের বিন্যাস ব্যাখ্যা করা হয়।
-
এক ধরনের বাক্যকে অন্য ধরনের বাক্যে রূপান্তর, বাক্যের বাচ্য, উক্তি ইত্যাদিও এর অন্তর্ভুক্ত।
-
কারক বিশ্লেষণ, বাক্যের যোগ্যতা, বাক্যের উপাদান লোপ, যতিচিহ্ন প্রভৃতি বিষয়ও এখানে আলোচনা করা হয়।
0
Updated: 1 month ago
ফলাহার > ফলার হয়েছে, তাকে বলে-
Created: 1 week ago
A
অন্তর্হতি
B
ব্যঞ্জনচ্যুতি
C
ব্যঞ্জন বিকৃতি
D
বিষমীভবন
উ. ক) অন্তর্হতি
বাংলা ব্যাকরণে ধ্বনিগত পরিবর্তন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যেখানে শব্দের গঠন বা উচ্চারণে বিভিন্ন রূপান্তর ঘটে। “ফলাহার > ফলার” এমনই একটি উদাহরণ, যা অন্তর্হতি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটেছে। এখানে কোনো ধ্বনি বা বর্ণ উচ্চারণের সময় লোপ পেয়েছে বা অন্তর্হিত হয়েছে, ফলে শব্দটি সংক্ষিপ্ত ও সহজ উচ্চারণযোগ্য হয়েছে।
অন্তর্হতি বলতে বোঝায় শব্দের মধ্যে কোনো বর্ণ, ধ্বনি বা অক্ষরের অপসারণ বা হারিয়ে যাওয়া। সাধারণত এটি উচ্চারণ সহজ করার জন্য ঘটে এবং ভাষার স্বাভাবিক পরিবর্তন প্রক্রিয়ার অংশ। “ফলাহার” শব্দটি সংস্কৃত উৎসজাত, যেখানে “ফল” অর্থাৎ ফল এবং “আহার” অর্থাৎ ভোজন বা আহার মিলে অর্থ হয় “ফলভোজন”। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উচ্চারণ সহজ করতে “আহা” অংশের একটি অক্ষর অপসারিত হয়, ফলে গঠিত হয় “ফলার”।
এই পরিবর্তনকে অন্তর্হতি বলা হয়, কারণ এখানে ধ্বনির একটি অংশ হারিয়ে গেছে কিন্তু অর্থে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।
বাংলা ভাষায় এই ধরনের রূপান্তরের অনেক উদাহরণ পাওয়া যায়—
-
গজাহা > গজা (অর্থাৎ হাতি)
-
দরজা > দজা (উচ্চারণে সংক্ষিপ্ত রূপ)
-
করুণা > কনা (প্রাচীন ব্যবহার থেকে উদাহরণ)
এই উদাহরণগুলো প্রমাণ করে যে ভাষা সময়ের সঙ্গে সহজ উচ্চারণের দিকে ধাবিত হয়, যা অন্তর্হতির স্বাভাবিক ফল।
অন্য বিকল্পগুলো এখানে প্রযোজ্য নয়।
ব্যঞ্জনচ্যুতি বলতে বোঝায় ব্যঞ্জনধ্বনির পরিবর্তন বা সরে যাওয়া, যেমন “পণ্ডিত > পন্ডিত”।
ব্যঞ্জন বিকৃতি ঘটে যখন কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি বিকৃত হয়ে যায় বা রূপান্তরিত হয়, যেমন “সপ্তাহ > সপ্তা”।
বিষমীভবন হল দুটি ধ্বনির মিলনে তৃতীয় একটি নতুন ধ্বনির উদ্ভব, যেমন “তৎ + বৎ > তদ্বৎ”।
তাই “ফলাহার > ফলার” ক্ষেত্রে কোনো ব্যঞ্জন পরিবর্তন, বিকৃতি বা নতুন ধ্বনি সৃষ্টির ঘটনা ঘটেনি; কেবল একটি অংশ বাদ পড়েছে। এই ধ্বনিলুপ্তির ঘটনাই অন্তর্হতি নামে পরিচিত।
বাংলা ভাষার ধ্বনিতত্ত্বে অন্তর্হতি একটি প্রাকৃতিক ও নিয়মিত রূপান্তর, যা ভাষার বিবর্তনকে সহজ, গতিশীল ও বোধগম্য করে তোলে। এর ফলে শব্দগুলো উচ্চারণে স্বাভাবিক, সংক্ষিপ্ত এবং সহজবোধ্য হয়ে ওঠে, যা ভাষার প্রাণশক্তি বৃদ্ধি করে।
অতএব, প্রদত্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো ক) অন্তর্হতি।
0
Updated: 1 week ago