কোনটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা?
A
বিধু মাস্টার
B
পণ্ডিত মশাই
C
শেষ প্রশ্ন
D
সেঁজুতি
উত্তরের বিবরণ
“সেঁজুতি” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বাংলা কাব্যগ্রন্থ, যা প্রকাশিত হয় ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে। এটি রবীন্দ্রনাথের কাব্য রচনার অন্ত্যপর্বের উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি হিসেবে গণ্য করা হয়। এই কাব্যগ্রন্থে মোট ২২টি কবিতা সংকলিত হয়েছে। গ্রন্থটি তিনি তাঁর ডাক্তার বন্ধু নীলরতন সরকারকে উৎসর্গ করেছিলেন।
অন্যদিকে:
-
‘বিধু মাস্টার’ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি ছোটগল্প।
-
‘শেষ প্রশ্ন’ এবং ‘পণ্ডিত মশাই’ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বিখ্যাত উপন্যাস।
0
Updated: 1 month ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন -
Created: 1 month ago
A
প্রমথ চৌধুরী
B
বিষ্ণু দে
C
অমিয় চক্রবর্তী
D
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন অমিয় চক্রবর্তী, যিনি রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে বহু দেশ ভ্রমণ করেছেন।
-
জন্ম ও শিক্ষাজীবন:
-
জন্ম: ১০ এপ্রিল, ১৯০১, হুগলীর শ্রীরামপুর, পশ্চিমবঙ্গ
-
তিনি তিরিশের পঞ্চকবির মধ্যে একজন
-
পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ পাস (১৯২১)
-
শান্তিনিকেতনের গবেষণা বিভাগে যোগদান
-
-
পেশাজীবন:
-
১৯২৬-১৯৩৩ সালে রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন
-
-
সম্মাননা ও পুরস্কার:
-
কবিতার জন্য বহু পুরস্কার ও সম্মাননা
-
উল্লেখযোগ্য: ইউনেস্কো পুরস্কার (১৯৬০), ভারতীয় ন্যাশনাল একাডেমি পুরস্কার
-
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়: ‘দেশিকোত্তম’ (১৯৬৩)
-
ভারত সরকার: ‘পদ্মভূষণ’ (১৯৭০)
-
-
মৃত্যু: ১২ জুন ১৯৮৬, শান্তিনিকেতন
-
রচিত কাব্যগ্রন্থ:
-
খসড়া
-
এক মুঠো
-
মাটির দেয়াল
-
অভিজ্ঞান বসন্ত
-
অনিঃশেষ ইত্যাদি
-
0
Updated: 1 month ago
'কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও'- এই কবিতা দিয়ে রবীন্দ্রনাথের কোন উপন্যাসটি সমাপ্ত হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
নৌকাডুবি
B
চতুরঙ্গ
C
চার অধ্যায়
D
শেষের কবিতা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘শেষের কবিতা’ একটি বিখ্যাত উপন্যাস, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৯ সালে। তবে এর কিছু অংশ ১৯২৮ সালে ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় ছাপা হয়। ভাষার অসাধারণ ঔজ্জ্বল্য, দৃপ্তশক্তি ও কবিত্বের দীপ্তি এই গ্রন্থকে স্বাতন্ত্র্যমণ্ডিত করেছে এবং এটি রবীন্দ্রনাথের অন্যতম বিস্ময়কর সৃষ্টি হিসেবে গণ্য হয়।
-
প্রকাশকাল: ১৯২৯ (প্রথমে ১৯২৮ সালে প্রবাসী পত্রিকায় প্রকাশিত)
-
উপন্যাসে ভাষার গুণে অসামান্য কবিত্ব ও শক্তির প্রকাশ ঘটেছে।
-
এর অনেক বাক্য প্রবাদের মর্যাদা পেয়েছে। যেমন:
“ফ্যাশনটা হলো মুখোশ, স্টাইলটা হলো মুখশ্রী।” -
পণ্ডিত সুকুমার সেন বলেন: “বৈষ্ণব সাধনার পরকীয়াতত্ত্ব রবীন্দ্রনাথের কবিমানসে যেভাবে রূপান্তর লাভ করিয়াছিল, ‘শেষের কবিতায়’ তাহার পরিচয় পাই।”
-
উপন্যাসটির সমাপ্তি হয়েছে কবিতা দিয়ে:
“কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও”
উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
অমিত
-
লাবণ্য
-
কেতকী
-
শোভনলাল প্রমুখ
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গদ্য ছন্দে রচিত প্রথম কাব্য কোনটি?
Created: 4 weeks ago
A
মানসী
B
শেষলেখা
C
পুনশ্চ
D
বলাকা
‘পুনশ্চ’ কাব্যগ্রন্থ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী সৃষ্টি, যার রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এটি প্রকাশিত হয় ১৯৩২ সালে। এই কাব্যগ্রন্থটি রবীন্দ্রনাথের গদ্যছন্দে রচিত প্রথম ও সার্থক কাব্যগ্রন্থ, যা বাংলা কবিতায় এক নতুন ধারার সূচনা করে। কাব্যটিতে কবি গদ্যভাষার সহজতা ও কবিতার গভীর ভাবনাকে একত্রিত করেছেন, ফলে এর মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে গদ্য কবিতার স্বতন্ত্র ও অসংকোচ প্রতিষ্ঠা ঘটে। রবীন্দ্রনাথের কাব্যের ইতিহাসে এবং আধুনিক বাংলা কবিতার বিকাশে এর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত বৈপ্লবিক ও প্রভাবশালী।
এই কাব্যের উল্লেখযোগ্য কবিতাগুলো হলো—
-
ছেলেটা
-
শেষ চিঠি
-
ক্যামেলিয়া
-
সাধারণ মেয়ে
-
বাঁশি
-
খ্যাতি
-
‘পুনশ্চ’ কাব্যে কবি মানবজীবনের বাস্তবতা, প্রেম, বেদনা, সমাজচেতনা ও অন্তর্লৌকিক অনুভূতিকে নতুন ভাষা ও ছন্দে প্রকাশ করেছেন।
-
এই গ্রন্থের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ প্রমাণ করেন যে কবিতা শুধু মাত্র ছন্দবদ্ধ শব্দসমষ্টি নয়, বরং ভাবের সৃজনশীল প্রকাশও হতে পারে।
-
এর গদ্যছন্দ পাঠকদের কাছে প্রাঞ্জল, সঙ্গত ও হৃদয়গ্রাহী হিসেবে প্রতিভাত হয়েছে।
-
বাংলা সাহিত্যে গদ্য কবিতার পরবর্তী বিকাশে ‘পুনশ্চ’ ছিল পথপ্রদর্শক, যা পরবর্তী কবিদের লেখায় গভীর প্রভাব ফেলে।
0
Updated: 4 weeks ago