'ইন্দ্রনাথ' শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কোন উপন্যাসের চরিত্র?
A
শ্রীকান্ত
B
পল্লীসমাজ
C
পণ্ডিতমশাই
D
পথের দাবী
উত্তরের বিবরণ
শ্রীকান্ত উপন্যাস
-
রচয়িতা: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
-
ধরণ: আত্মজৈবনিক উপন্যাস
-
প্রকাশ:
-
চারটি খণ্ডে প্রকাশিত
-
প্রথম খণ্ড: মাসিক ভারতবর্ষে (১৯১৬-১৭), শিরোনাম: শ্রীকান্তের ভ্রমণ কাহিনি, লেখকের নাম মুদ্রিত হয় “শ্রীশ্রীকান্ত শর্মা”
-
দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ডও ভারতবর্ষে প্রকাশিত
-
চতুর্থ খণ্ড: বিচিত্র পত্রিকায় প্রকাশিত
-
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্র: শ্রীকান্ত, ইন্দ্রনাথ, রাজলক্ষ্মী
অন্যান্য সম্পর্কিত উপন্যাস:
-
পল্লীসমাজ:
-
প্রধান চরিত্র: রমা, রমেশ, বেণী, বলরাম
-
গ্রামীণ জীবনের সামাজিক ও নৈতিক দিক ফুটে উঠেছে
-
-
পণ্ডিতমশাই:
-
চরিত্র কেন্দ্র: বৃন্দাবন ও কুসুম
-
গ্রাম বাংলার পটভূমিতে মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েন ও অনিশ্চয়তা চিত্রিত
-
-
পথের দাবী:
-
মূল চরিত্র: সব্যসাচী মল্লিক, ভারতী, সুমিত্রা, করুণাময়ী, বিনোদ
-
রাজনৈতিক ও সামাজিক সচেতনতার গল্প অন্তর্ভুক্ত
-
0
Updated: 1 month ago
"যেটা খারাপ তাকে মেরামত করে, সংস্কার করে আবার দাঁড় করানো উচিত নয়" – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের এই চিন্তার জোরালো প্রতিফলন ঘটে কোন উপন্যাসে?
Created: 3 weeks ago
A
গৃহদাহ
B
চরিত্রহীণ
C
শেষ প্রশ্ন
D
পথের দাবী
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উক্তি “যেটা খারাপ তাকে মেরামত করে, সংস্কার করে আবার দাঁড় করানো উচিত নয়” তাঁর ‘গৃহদাহ’ উপন্যাসের মূল ভাবনার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। এই উপন্যাসে তিনি বিবাহ ও পারিবারিক জীবনের ত্রুটিপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং দেখিয়েছেন যে, ভাঙা সম্পর্ক জোর করে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা সমাজ ও ব্যক্তির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
উপন্যাসে অচলা, সুরেশ ও মহিমের সম্পর্ক এই ধারণার বাস্তব প্রতিফলন। অচলা ও মহিমের সম্পর্ক পুনর্গঠনের ব্যর্থ চেষ্টা এবং তার পরিণতি লেখকের উক্তির সত্যতা প্রকাশ করে। শরৎচন্দ্র এই কাহিনির মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন যে, একটি অসুস্থ সম্পর্ককে জোড়াতালি দিয়ে টিকিয়ে রাখা মানে আরও বড় ক্ষতির দিকে ধাবিত হওয়া।
0
Updated: 3 weeks ago
নিচের কোন উপন্যাসটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচনা নয়?
Created: 1 month ago
A
দেবদাস
B
শেষ প্রশ্ন
C
পণ্ডিতমশাই
D
মৃত্যুক্ষুধা
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
-
জন্ম: ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, হুগলি জেলার দেবানন্দপুর
-
প্রথম প্রকাশিত গল্প: মন্দির (১৯০৩ সালে কুন্তলীন সাহিত্য পুরস্কার লাভ)
-
প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস: বড়দিদি (১৯০৭, ভারতী পত্রিকা)
-
রাজনৈতিক উপন্যাস: পথের দাবী (১৯২৬, ব্রিটিশ সরকার বাজেয়াপ্ত)
প্রধান উপন্যাসসমূহ:
-
চরিত্রহীন
-
পণ্ডিতমশাই
-
পল্লীসমাজ
-
দেবদাস
-
শ্রীকান্ত
-
পরিণীতা
-
বিরাজবৌ
-
দত্তা
-
বামুনের মেয়ে
-
শেষ প্রশ্ন
-
দেনাপাওনা
-
পথের দাবী
-
বিপ্রদাস
উল্লেখ্য: মৃত্যুক্ষুধা উপন্যাসটি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সাহিত্য সম্পর্কে কোনটি তাৎপর্যপূর্ণ বর্ণনা?
Created: 3 weeks ago
A
তাঁর রচনায় তৎসম শব্দের ব্যবহার নগণ্য
B
'শ্রীকান্ত' তাঁরা আত্মজীবনী
C
বর্ণ-বিভাজন তিনি মোটেই মান্য করেননি
D
তাঁর উপন্যাসে প্লটের তুলনায় চরিত্রের প্রাধান্য দেখতে পাওয়া যায়
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচনায় কাহিনির তুলনায় চরিত্রচিত্রণের গভীরতা ও প্রাণবন্ততা বিশেষভাবে লক্ষণীয়। তাঁর উপন্যাসে মানুষের মানসিক জটিলতা, আবেগ এবং সমাজবাস্তবতার চিত্র এমনভাবে ফুটে ওঠে যে প্লট অপেক্ষা চরিত্রই বেশি প্রাধান্য পায়।
-
আত্মজীবনী হলো লেখকের নিজের লেখা নিজের জীবনের বিবরণ, যা হতে পারে চিঠি, ডায়েরি, স্মৃতিকথা বা পূর্ণাঙ্গ বই আকারে।
-
আত্মজৈবনিক শব্দটি বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে “জীবন-সম্পর্কিত”, অর্থাৎ লেখক নিজের জীবনের অভিজ্ঞতাকে সাহিত্যরূপে প্রকাশ করেন।
-
শরৎচন্দ্রের ‘শ্রীকান্ত’ উপন্যাসটি আত্মজৈবনিক ধাঁচে রচিত, যার চারটি খণ্ডে লেখকের জীবনদর্শন ও অভিজ্ঞতার ছায়া দেখা যায়।
-
উপন্যাসটির উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলো হলো শ্রীকান্ত, অভয়া, ইন্দ্রনাথ, অন্নদাদিদি এবং রাজলক্ষ্মী (পিয়ারী)।
-
শরৎচন্দ্রের অন্যান্য উপন্যাস যেমন ‘চরিত্রহীন’, ‘পথের দাবী’, ‘পল্লিসমাজ’— এগুলোর ক্ষেত্রেও দেখা যায়, তিনি বহু চরিত্রের জীবনের মাধ্যমে সমাজ ও মানবজীবনের গভীর দিকগুলো ফুটিয়ে তুলেছেন, ফলে কাহিনি বা প্লট তুলনামূলকভাবে গৌণ হয়ে গেছে।
অতএব, সঠিক উত্তর হলো— ঘ) তাঁর উপন্যাসে প্লটের তুলনায় চরিত্রের প্রাধান্য দেখতে পাওয়া যায়।
0
Updated: 3 weeks ago