মধ্যযুগের কোন কবির কাব্যকে 'রাজকণ্ঠের মণিমালা' বলে অভিহিত করা হয়েছে?
A
চণ্ডীদাস
B
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
C
গোবিন্দদাস
D
বিদ্যাপতি
উত্তরের বিবরণ
বিদ্যাপতি
-
পরিচয়: বিদ্যাপতি ছিলেন বৈষ্ণব কবি এবং পদসঙ্গীত ধারার রূপকার। বাঙালী না হলেও বাংলা সাহিত্যে তার অবদান গুরুত্বপূর্ণ।
-
ভাষা ও রচনা:
-
মাতৃভাষা মৈথিলি ছাড়াও সংস্কৃত, অবহট ও ব্রজবুলিতে পদাবলি রচনা করেছেন।
-
শৈব বংশের হওয়ায় তিনি বহু শৈবসঙ্গীতও রচনা করেছেন।
-
-
উপাধি: মৈথিল কোকিল, অভিনব জয়দেব, নব কবিশেখর, কবিরঞ্জন, কবিকণ্ঠহার, পণ্ডিত ঠাকুর, সদুপাধ্যায়, রাজপণ্ডিত ইত্যাদি।
-
সৃজনশীল অবদান:
-
ব্রজবুলিতে রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক পদাবলি তার শ্রেষ্ঠ কীর্তি।
-
বিদ্যাপতি সহস্রাধিক পদাবলি রচনা করেছেন। রাধাকৃষ্ণের উল্লেখ রয়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক পদে।
-
অন্যান্য পদগুলিও প্রেমলীলা বিষয়ক হিসাবে গ্রহণযোগ্য।
-
-
কাব্য ও কাব্যসমালোচকের মন্তব্য:
-
মিথিলার রাজসভায় বিদ্যাপতি সংস্কৃত ও প্রাকৃত ভাষার ভাব, শব্দ, ছন্দ ও অলঙ্কারের রত্নরাজি ব্যবহার করে রাধার প্রেম বর্ণনা করেছেন।
-
বঙ্কিমচট্টোপাধ্যায়: “বিদ্যাপতির কবিতা স্বর্ণহার, বিদ্যাপতির গান মুরজবীণাসঙ্গিনী স্ত্রীকণ্ঠগীতি।”
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: বিদ্যাপতির কাব্যকে “রাজকণ্ঠের মণিমালা” বলে অভিহিত করেছেন।
-
0
Updated: 1 month ago
'সঞ্চয়িতা' কোন কবির কাব্য সংকলন?
Created: 3 months ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
জসীমউদ্দীন
সঞ্চয়িতা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সর্বাধিক সমাদৃত কবিতা সংকলনের নাম ‘সঞ্চয়িতা’, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৩১ সালে। এই গ্রন্থে কবির বিভিন্ন পর্যায়ের কবিতা কালানুক্রমিকভাবে সংকলিত হয়েছে। ‘সান্ধ্যসঙ্গীত’ সহ আরও অনেক কাব্যগ্রন্থ থেকে নির্বাচিত কবিতাগুলিকে এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাংলা সাহিত্যে এটি একটি অনন্য সংকলন হিসেবে বিবেচিত।
সঞ্চিতা
‘সঞ্চিতা’ হলো জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি বিশিষ্ট কবিতা সংকলন। এতে মোট ৭৮টি কবিতা ও গান স্থান পেয়েছে। এই গ্রন্থটি নজরুল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উৎসর্গ করেন, যা দুই কবির পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের এক অনন্য নিদর্শন।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 3 months ago
'অনল প্রবাহ' কোন ধরনের সাহিত্য রচনা?
Created: 1 month ago
A
প্রবন্ধ
B
উপন্যাস
C
কাব্যগ্রন্থ
D
নাটক
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজীর ‘অনল প্রবাহ’ একটি মুসলিম জাগরণমূলক কাব্যগ্রন্থ, যা ১৯০০ সালে প্রকাশিত হয়। এটি তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ এবং প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথেই ব্রিটিশ সরকার তা বাজেয়াপ্ত করেছিল। প্রথম সংস্করণে কবিতা ছিল মাত্র নয়টি, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: অনল প্রবাহ, তুর্যধ্বনি, মূর্ছনা, বীর-পূজা, অভিভাষণ এবং মরক্কো সংকটে।
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজীর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ:
অনল প্রবাহ, আকাঙ্ক্ষা, উচ্ছ্বাস, উদ্বোধন, নব উদ্দীপনা, স্পেন বিজয় কাব্য, সঙ্গীত সঞ্জীবনী, প্রেমাঞ্জলি
তাঁর রচিত উপন্যাস:
রায়নন্দিনী, তারাবাঈ, ফিরোজা বেগম, নূরুদ্দীন
তাঁর রচিত প্রবন্ধ:
স্বজাতি প্রেম, তুর্কি নারী জীবন, স্পেনীয় মুসলান সভ্যতা
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কোনটি শামসুর রাহমানের রচনা?
Created: 4 months ago
A
নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি
B
নির্জন স্বাক্ষর
C
নিরালোকে দিব্যরথ
D
নির্বাণ
বাংলা কবিতার আধুনিক ধারায় যাঁরা গভীর প্রভাব ফেলেছেন, শামসুর রাহমান তাঁদের মধ্যে অন্যতম। ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর পুরান ঢাকার ৪৬ নম্বর মাহুতটুলীতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর পৈত্রিক নিবাস ছিল রায়পুর থানার পাড়াতলী গ্রামে। বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলা কাব্যসাহিত্যে তিনি হয়ে ওঠেন এক অনন্য নাম।
কবি শামসুর রাহমানের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ:
-
নিরালোকে দিব্যরথ (প্রকাশকাল: ১৯৬৮)
-
বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে
-
প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে
-
রৌদ্র করোটিতে
-
বিধ্বস্ত নীলিমা
-
নিজ বাসভূমে
-
বন্দী শিবির থেকে
-
ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা
-
আমি অনাহারী
-
প্রতিদিন ঘরহীন ঘরে
-
উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ
-
বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়
-
হরিণের হাড়
-
তুমি নিঃশ্বাস তুমি হৃদস্পন্দন ইত্যাদি
📖 শামসুর রাহমানের উপন্যাসসমূহ:
-
অক্টোপাস
-
নিয়ত মন্তাজ
-
এলো সে অবেলায়
অন্যান্য সাহিত্যিক ও তাঁদের রচনা:
-
সেলিনা হোসেন – বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক; তাঁর রচিত ‘নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি’ একটি প্রভাবশালী উপন্যাস।
-
জীবনানন্দ দাশ – আধুনিক বাংলা কবিতার এক নিভৃতচারী কবি; তাঁর লেখা ‘নির্জন স্বাক্ষর’ একটি চমৎকার কবিতা যা কাব্যিক নিঃসঙ্গতার প্রতিচ্ছবি বহন করে।
তথ্যসূত্র:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 4 months ago