'ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়:
পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝল্সানো রুটি॥'- পঙ্ক্তিদ্বয় সুকান্ত ভট্টাচার্য রচিত কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত?
A
হরতাল
B
ঘুম নেই
C
পূর্বাভাস
D
ছাড়পত্র
উত্তরের বিবরণ
সুকান্ত ভট্টাচার্য ও ‘ছাড়পত্র’ কাব্যগ্রন্থ
-
কবি: সুকান্ত ভট্টাচার্য (১৯২৬-১৯৪৭), বাংলা সাহিত্যের কিশোর কবি।
-
জীবন: মাত্র একুশ বছর বয়সে ১৯৪৭ সালে তিনি প্রয়াত হন।
-
কাব্যধারা: তিনি কবিতায় আধুনিকতার ছোঁয়া এবং কিশোর-কিশোরীর অনুভূতি, মানবজীবনের তীব্রতা ও সমাজবোধ ফুটিয়ে তোলেন।
‘ছাড়পত্র’ কাব্যগ্রন্থ:
-
প্রকাশ: ১৯৪৮
-
রচনা সময়: ১৯৪৩-১৯৪৭
-
বৈশিষ্ট্য: কাব্যের স্নিগ্ধতা ও লালিত্যপূর্ণ ছন্দ থেকে সরে এসে গদ্যময় কঠোরতার ছোঁয়া; মানুষের জীবন, ক্ষুধা, সংগ্রাম ও বাস্তবতার দিকে মনোযোগ।
-
উল্লেখযোগ্য কবিতাসমূহ:
-
ছাড়পত্র
-
আগামী
-
চারাগাছ
-
খবর
-
আঠারো বছর বয়স
-
হে মহাজীবন
-
দেশলাই কাঠি
-
কৃষকের গান
-
মধ্যবিত্ত
-
কবিতা ‘হে মহাজীবন’ থেকে উদাহরণ:
“হে-মহাজীবন, আর এ কাব্য নয়
এবার কঠিন, কঠোর গদ্যে আনো,
পদ-লালিত্য-ঝঙ্কার মুছে যাক
গদ্যের কড়া হাতুড়িকে আজ হানো!
প্রয়োজন নেই, কবিতার স্নিগ্ধতা—
কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি,
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়:
পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝল্সানো রুটি॥”
সুকান্ত ভট্টাচার্যের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ:
-
পূর্বাভাস
-
ঘুম নেই
-
অভিযান
গদ্যগ্রন্থ:
-
হরতাল
এই কাব্যগ্রন্থে সুকান্তের সমাজবোধ, মানবদর্শন এবং তরুণ মানসিকতার প্রকাশ লক্ষ্য করা যায়।

0
Updated: 20 hours ago
মধুসূদন দত্ত রচিত 'বীরাঙ্গনা'-
Created: 4 months ago
A
মহাকাব্য
B
পত্রকাব্য
C
গীতিকাব্য
D
আখ্যানকাব্য
‘বীরাঙ্গনা কাব্য’
-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ একটি পত্রকাব্য, যা বাংলা সাহিত্যে এই ধরনের প্রথম রচনা।
-
এটি ১৮৬২ সালে প্রকাশিত হয়।
-
এই কাব্যগ্রন্থটি রোমান কবি ওভিড-এর ‘Heroides’ কাব্যের অনুসরণে রচিত হয়েছে।
-
এতে মোট ১১টি চিঠির আকারে কবিতা রয়েছে, যেখানে পৌরাণিক নারীরা আধুনিক চেতনায় নিজেদের প্রেম, আবেগ ও কামনার কথা ব্যক্ত করেছে।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
-
তিনি ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দ ও সনেটের প্রবর্তক হিসেবে তিনি প্রসিদ্ধ।
-
প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রয়োগ করেন তাঁর নাটক ‘পদ্মাবতী’-তে (দ্বিতীয় অঙ্ক, দ্বিতীয় গর্ভাঙ্কে)।
-
অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ কাব্যগ্রন্থ হলো ‘তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য’।
-
তাঁর রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘The Captive Lady’ (ইংরেজিতে রচিত)।
📖 তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ:
-
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
-
মেঘনাদবধ কাব্য
-
ব্রজাঙ্গনা কাব্য
-
বীরাঙ্গনা কাব্য (পত্রকাব্য)
-
চতুর্দশপদী কবিতাবলী
📚 উল্লেখযোগ্য গদ্য অনুবাদ:
-
‘হেক্টরবধ’ (গদ্যে রচিত অনুবাদ)
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা - ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 4 months ago
বৈষ্ণব পদাবলির আদি নিদর্শন 'গীতগোবিন্দম্' কাব্যটি কার রচনা?
Created: 2 weeks ago
A
জয়দেব
B
বিদ্যাপতি
C
চণ্ডীদাস
D
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
‘গীতগোবিন্দম্’ কাব্য
-
রচয়িতা: জয়দেব
-
ধরণ: সংস্কৃত গীতিকাব্য, আদি বৈষ্ণব পদাবলির নিদর্শন
-
মূল বিষয়: রাধা–কৃষ্ণের প্রেমলীলা, যা জীবাত্মা–পরমাত্মার সম্পর্ক এবং নর–নারীর চিরন্তন প্রেমের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে।
-
গঠন: ২৮৬টি শ্লোক এবং ২৪টি গীতের সমন্বয়ে ১২ সর্গে রচিত।
-
সর্গের নামকরণ: বর্ণিত বিষয় অনুযায়ী ১২টি ভিন্ন নাম দেওয়া হয়েছে।
-
সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য:
-
রাগমূলক গীতসমূহ কাব্যের শ্রেষ্ঠ সম্পদ।
-
চরণশেষে অন্তমিল ব্যবহার করা হয়েছে, যা সংস্কৃত সাহিত্যে বিরল।
-
-
প্রভাব: পরবর্তীকালের বাংলা পদাবলি সাহিত্যে এর গভীর প্রভাব রয়েছে।
-
গুরুত্ব: বৈষ্ণব সম্প্রদায় ও সাহিত্য-রসিকদের কাছে গীতগোবিন্দম্ এক সময় পরম শ্রদ্ধার বিষয় ছিল।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 weeks ago
মধ্যযুগের কোন কবির কাব্যকে 'রাজকণ্ঠের মণিমালা' বলে অভিহিত করা হয়েছে?
Created: 20 hours ago
A
চণ্ডীদাস
B
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
C
গোবিন্দদাস
D
বিদ্যাপতি
বিদ্যাপতি
-
পরিচয়: বিদ্যাপতি ছিলেন বৈষ্ণব কবি এবং পদসঙ্গীত ধারার রূপকার। বাঙালী না হলেও বাংলা সাহিত্যে তার অবদান গুরুত্বপূর্ণ।
-
ভাষা ও রচনা:
-
মাতৃভাষা মৈথিলি ছাড়াও সংস্কৃত, অবহট ও ব্রজবুলিতে পদাবলি রচনা করেছেন।
-
শৈব বংশের হওয়ায় তিনি বহু শৈবসঙ্গীতও রচনা করেছেন।
-
-
উপাধি: মৈথিল কোকিল, অভিনব জয়দেব, নব কবিশেখর, কবিরঞ্জন, কবিকণ্ঠহার, পণ্ডিত ঠাকুর, সদুপাধ্যায়, রাজপণ্ডিত ইত্যাদি।
-
সৃজনশীল অবদান:
-
ব্রজবুলিতে রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক পদাবলি তার শ্রেষ্ঠ কীর্তি।
-
বিদ্যাপতি সহস্রাধিক পদাবলি রচনা করেছেন। রাধাকৃষ্ণের উল্লেখ রয়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক পদে।
-
অন্যান্য পদগুলিও প্রেমলীলা বিষয়ক হিসাবে গ্রহণযোগ্য।
-
-
কাব্য ও কাব্যসমালোচকের মন্তব্য:
-
মিথিলার রাজসভায় বিদ্যাপতি সংস্কৃত ও প্রাকৃত ভাষার ভাব, শব্দ, ছন্দ ও অলঙ্কারের রত্নরাজি ব্যবহার করে রাধার প্রেম বর্ণনা করেছেন।
-
বঙ্কিমচট্টোপাধ্যায়: “বিদ্যাপতির কবিতা স্বর্ণহার, বিদ্যাপতির গান মুরজবীণাসঙ্গিনী স্ত্রীকণ্ঠগীতি।”
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: বিদ্যাপতির কাব্যকে “রাজকণ্ঠের মণিমালা” বলে অভিহিত করেছেন।
-

0
Updated: 20 hours ago