'আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান'-উক্তিটি কে করেছেন?
A
অধ্যাপক ডাইসি
B
অধ্যাপক স্পেন্সার
C
আব্রাহাম লিংকন
D
আর্থার কিং লুথার
উত্তরের বিবরণ
অধ্যাপক ডাইসি আইনের শাসন এবং সমতার মূল তত্ত্বকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি প্রকাশ করেছেন যে আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান এবং এটি সমাজে ন্যায়, শৃঙ্খলা ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় অপরিহার্য। তাঁর কাজ এবং তত্ত্বগুলি রাষ্ট্র পরিচালনা ও নাগরিক জীবনের বিভিন্ন দিককে প্রভাবিত করে।
-
আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান – এই উক্তিটি অধ্যাপক ডাইসি করেন।
-
আইনের শাসনের মূল তত্ত্ব – ছোট-বড়, ধনী-দরিদ্র, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আইনের চোখে সবার সমতা।
-
আইনের উপরে কেউ নেই – রাষ্ট্রের প্রত্যেক ব্যক্তির পদমর্যাদা, সামাজিক প্রতিপত্তি বা কার্যক্রম সাধারণ আইন ও আদালতের বিচারাধীন।
-
প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও আইনের অধীনে – সাধারণ নাগরিকের মতোই তারা আইন মান্য করবে এবং লঙ্ঘন করলে শাস্তি ভোগ করবে।
-
সাম্য ও স্বাধীনতার অধিকার নিশ্চিতকরণ – এইভাবে জনগণের কাছে ন্যায় ও সমতার অধিকার পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।
-
আইনের উৎস হিসেবে গ্রন্থ – রাষ্ট্র পরিচালনা বিষয়ে লিখিত বিখ্যাত গ্রন্থগুলোর মধ্যে অধ্যাপক ডাইসির "Law of the Constitution" উল্লেখযোগ্য।
উল্লেখযোগ্য বিষয়সমূহ:
-
আইন – মানবজাতির বৃহত্তর কল্যাণে মানুষের আচরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য রাষ্ট্র যে বিধি-নিষেধ প্রণয়ন করে, সেগুলোকে আইন বলা হয়।
-
আইনের শাসন – আইনের দৃষ্টিতে সকল নাগরিকের সমতা নিশ্চিত করা।
-
আইনের শাসনের প্রভাব – সমাজ থেকে অন্যায়, বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য দূর হয়।
-
আইনের অভাবে – সবল-দুর্বল, ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান বেড়ে যায়।
0
Updated: 1 month ago
সামাজিক মূল্যবোধ একটি ব্যক্তির কোন আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে?
Created: 1 month ago
A
ধর্মীয় মূল্যবোধ
B
ব্যক্তিগত মূল্যবোধ
C
রাজনৈতিক মূল্যবোধ
D
অর্থনৈতিক মূল্যবোধ
সামাজিক মূল্যবোধ হলো সমাজের এমন এক গুরুত্বপূর্ণ ধারণা যা মানুষের চিন্তা, বিশ্বাস ও আচরণকে প্রভাবিত করে এবং ভালো-মন্দের মানদণ্ড নির্ধারণ করে। এটি ব্যক্তির পাশাপাশি পরিবার, পেশা ও সমগ্র সমাজের জন্য নীতি ও আদর্শের একটি অভিন্ন কাঠামো তৈরি করে, যা সময় ও সামাজিক পরিবর্তনের সাথে রূপান্তরিত হয়।
-
সামাজিক মূল্যবোধ সমাজের অন্যতম ভিত্তি, যা মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক ও সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
মূল্যবোধ হলো বিশ্বাস, আদর্শ ও নীতির সমষ্টি, যা একজন ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট কাজে পরিচালিত করে এবং অন্যের কাজের ভালো-মন্দ বিচার করতে সাহায্য করে।
-
এই মূল্যবোধ ব্যক্তি, পরিবার, দল, সমাজ, পেশা ও প্রতিষ্ঠানসহ সব স্তরে উপস্থিত থাকে।
-
মূল্যবোধের একটি ছন্দময় ও পরিবর্তনশীল প্রকৃতি রয়েছে, যা সময়ের সাথে সাথে নতুন সামাজিক প্রেক্ষাপটে মানিয়ে চলে।
-
সামাজিক মূল্যবোধ হলো সমাজের সদস্যদের সিংহভাগের সর্বসম্মত বিশ্বাস, আদর্শ ও নীতির সমষ্টি, যা তারা ভালো ও গ্রহণযোগ্য বলে মেনে নেয়।
-
সমাজের মানুষের আচরণ ও কাজের ভালো-মন্দ নির্ধারণের মানদণ্ড হিসেবে সামাজিক মূল্যবোধ কাজ করে।
-
এটি মানুষের ব্যক্তিগত ও সামাজিক আচরণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখে।
-
সামাজিক পরিবর্তনের সাথে সাথে মূল্যবোধেও পরিবর্তন ঘটে, ফলে এটি সময়োপযোগী রূপ নেয়।
-
সামাজিক মূল্যবোধ হলো ব্যক্তি ও সমাজের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ, যা সম্মিলিত সামাজিক চেতনার প্রতিফলন।
0
Updated: 1 month ago
মূল্যবোধের উপাদান হিসেবে বিবেচ্য নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
পরশ্রীকাতরতা
B
নীতি ও ঔচিত্যবোধ
C
শৃঙ্খলাবোধ
D
নাগরিক চেতনা
মূল্যবোধ মানুষের আচরণকে নির্ধারণকারী নীতি ও মানদণ্ড। এটি সমাজে সঠিক ও ন্যায্য আচরণের মানদণ্ড স্থাপন করে এবং ব্যক্তির চরিত্র ও সামাজিক জীবনে দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
• মূল্যবোধ: মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড।
• মূল্যবোধের উপাদান:
-
নীতি ও ঔচিত্যবোধ
-
শৃঙ্খলাবোধ
-
আইনের শাসন
-
সহনশীলতা
-
শ্রমের মর্যাদা
-
সামাজিক ন্যায়বিচার
-
সহমর্মিতা
-
নাগরিক চেতনা
-
কর্তব্যবোধ
0
Updated: 1 month ago
আধুনিক পরানীতিবিদ্যার (Meta-Ethics) প্রবর্তক বলা হয় কাকে?
Created: 1 month ago
A
হল্যান্ড
B
আরজ আলী মাতুব্বর
C
ডব্লিউ ডি হার্ডসন
D
জি. ই. ম্যুর
পরানীতিবিদ্যা (Meta-Ethics) হলো নৈতিক পদ, নৈতিক অবধারণ ও নৈতিক ভাষার অর্থ ও যৌক্তিকতা সংক্রান্ত আলোচনা, যার মাধ্যমে বিভিন্ন নৈতিক মতবাদ গড়ে ওঠে। এটি নৈতিক উক্তি, পদ বা অবধারণ, এবং নৈতিক পদ ও অবধারণের যৌক্তিকতা নিরূপণ ও বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে গঠিত।
-
পরানীতিবিদ্যার অর্থ: ‘Meta Ethics’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হলো পরানীতিবিদ্যা।
-
ভিন্ন নীতিবিদ্যার সঙ্গে তুলনা:
-
মানমূলক নীতিবিদ্যা: আচরণের ভাল-মন্দ নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন মানদন্ড বা আদর্শ ব্যবহার করে।
-
ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা: বাস্তব জীবনের চলতি সমস্যাকে নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করে।
-
বর্ণনামূলক নীতিবিদ্যা: অভিজ্ঞতানির্ভর ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে রচিত; এর উদাহরণ হলো বিবর্তনবাদী নীতিবিদ্যা।
-
-
উদ্ভাবক ও গুরুত্বপূর্ণ ধারণা:
-
ব্রিটিশ দার্শনিক জি. ই. ম্যূর (G. E. Moore) আধুনিক পরানীতিবিদ্যার প্রবর্তক।
-
১৯০৩ সালে তার বই ‘Principia Ethica’ এই ধরনের আলোচনার সূত্রপাত করে।
-
জি. ই. ম্যূর বলেন, “শুভের প্রতি অনুরাগ ও অশুভের প্রতি বিরাগ হলো নৈতিকতা।”
-
0
Updated: 1 month ago