নিচের কোনটি নৈতিক অধিকারের বৈশিষ্ট্য?
A
সার্বভৌম কর্তৃত্ব দ্বারা নির্ধারিত
B
রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত
C
আইনগত ভিত্তি নেই
D
ভঙ্গ করলে শাস্তির বিধান আছে
উত্তরের বিবরণ
অধিকার মূলত মানুষকে সুরক্ষা এবং স্বাধীনতা দেয়, এবং এগুলোকে প্রধানত দুই ধরনের ভাগ করা হয়। প্রথমটি নৈতিক অধিকার যা নীতি ও বিবেকের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে, আর দ্বিতীয়টি আইনগত অধিকার যা রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত ও সুরক্ষিত।
-
নৈতিক অধিকার (Moral Rights):
-
নৈতিক অধিকার মানুষের নীতি ও বিবেক থেকে উদ্ভূত।
-
এগুলো ন্যায়বোধের ভিত্তিতে গঠিত হয়।
-
এর কোনও আইনগত ভিত্তি নেই।
-
উদাহরণ: ভিক্ষুকের ভিক্ষা পাওয়ার অধিকার।
-
-
আইনগত অধিকার (Legal Rights):
-
আইনগত অধিকার মানুষের জীবনধারণ ও বিকাশের জন্য অপরিহার্য।
-
রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত ও অনুমোদিত হয়।
-
এগুলো রাষ্ট্রের সার্বভৌম কর্তৃত্ব দ্বারা নির্ধারিত হয়।
-
রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন ও সংবিধান এই অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
-
এই অধিকার লঙ্ঘন করলে রাষ্ট্র শাস্তি আরোপ করে।
-
উদাহরণ: জীবনধারণ, খাদ্য, পোশাক, বাসস্থান সংক্রান্ত অধিকার।
-
সমাজ বা রাষ্ট্রভেদে এই অধিকারের কোনও তারতম্য ঘটে না।
-
0
Updated: 1 month ago
সুশাসন নিয়ে 'White paper' বা 'শ্বেতপত্র' প্রকাশ করে-
Created: 1 month ago
A
World Bank
B
International Monetary Fund
C
Islamic Development Bank
D
European Economic Community
শ্বেতপত্র (White paper)
-
কোন একটি দেশের পার্লামেন্ট বা জাতীয় পরিষদ কর্তৃক প্রকাশিত দলিলকে শ্বেতপত্র বলা হয়
-
এটি কোনো বিশেষ বিষয়ে জনগণ বা পার্লামেন্টকে অবহিত করার জন্য সরকারি বিবরণী হিসেবে প্রকাশিত হয়
-
একই ধরনের প্রথা অন্য গণতান্ত্রিক দেশে যেমন অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায়ও প্রচলিত রয়েছে
-
নতুন আইন প্রণয়ন বা কোনো সংস্কারমূলক পদক্ষেপ চূড়ান্ত করার পূর্বেও শ্বেতপত্র জারী করা হতে পারে
-
ইউরোপীয় ইউনিয়নও বিভিন্ন বিষয়ে শ্বেতপত্র জারী করে
-
শ্বেতপত্র জারী করার প্রথা বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধেও দেখা গেছে
সুশাসন ও শ্বেতপত্র:
-
সুশাসন সংক্রান্ত বিষয়ে White paper বা শ্বেতপত্র প্রকাশ করে European Economic Community
উৎস: European Economic Community
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি চর্চা ব্যতীত সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়?
Created: 1 month ago
A
মূল্যবোধ শিক্ষা
B
সামাজিক প্রথা
C
প্রযুক্তিগত দক্ষতা
D
ধর্ম
সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য মূল্যবোধ শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। ন্যায়পরায়ণ ও জবাবদিহিতামূলক শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যক্তি ও সমাজের মধ্যে সঠিক নৈতিক ভিত্তি থাকা জরুরি, আর তা অর্জিত হয় সুশিক্ষা ও সচেতনতার মাধ্যমে।
-
স্বচ্ছতা, ন্যায়পরায়ণতা, জবাবদিহিতা, মানবিকতা ও নৈতিকতা সুশাসনের মূল উপাদান এবং এগুলো মূল্যবোধ শিক্ষার মাধ্যমেই গড়ে ওঠে।
-
মূল্যবোধ শিক্ষা ব্যক্তি ও সমাজকে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে, যা ন্যায়পরায়ণ ও জবাবদিহিতামূলক শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে।
-
এই শিক্ষার নিয়মিত চর্চা ছাড়া প্রকৃত সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
-
ধর্ম মানুষের নৈতিকতা গঠনে সহায়তা করতে পারে, তবে সুশাসনের একমাত্র শর্ত নয়।
-
কিছু সামাজিক প্রথা সুশাসনের জন্য সহায়ক হলেও, অনেক সময় এগুলো বৈষম্য সৃষ্টি করতে পারে।
-
প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রশাসনিক কার্যকারিতা বাড়ায়, কিন্তু নৈতিকতা ও ন্যায়পরায়ণতা ছাড়া সুশাসন নিশ্চিত করতে পারে না।
0
Updated: 1 month ago
'কর্তব্যের জন্য কর্তব্য'- এই ধারণাটির প্রবর্তক কে?
Created: 1 month ago
A
প্লেটো
B
বার্ট্রান্ড রাসেল
C
ইমানুয়েল কান্ট
D
সক্রেটিস
ইমানুয়েল কান্ট একজন প্রখ্যাত জার্মান দার্শনিক, যিনি নৈতিকতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা প্রবর্তন করেন। তিনি বিশেষ করে নৈতিকতা এবং কর্তব্যের মধ্যে সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়েছেন।
-
'কর্তব্যের জন্য কর্তব্য' ধারণার প্রবর্তক হলেন ইমানুয়েল কান্ট।
-
ইমানুয়েল কান্ট একজন জার্মান নীতিবিজ্ঞানী, যিনি নৈতিকতা সম্পর্কিত তত্ত্বগুলো বিকাশ করেন।
-
তাঁর নীতিবিদ্যার মূলকথা তিনটি: সৎ ইচ্ছা, কর্তব্যের জন্য কর্তব্য, এবং শর্তহীন আদেশ।
-
কর্তব্যমুখী নৈতিকতা বা কর্তব্যের নৈতিকতা দর্শন যে কোনো কর্মের ফলাফল বা পরিণতির চেয়ে কর্মের ধরন ও উদ্দেশ্যকে বেশি গুরুত্ব দেয়।
-
ইমানুয়েল কান্টকে কর্তব্যমুখী নৈতিকতার প্রবর্তক বলা হয়।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago