গদ্য সাহিত্য আধুনিক যুগের অন্যতম বৈশিষ্ট্য, যা বাংলা সাহিত্যে চিন্তা, ভাষা ও প্রকাশভঙ্গিতে এক নতুন যুগের সূচনা করে। এই সময়ে সাহিত্য আরও বাস্তবমুখী ও মানবজীবনের নানামুখী অভিজ্ঞতানির্ভর হয়ে ওঠে।

• আধুনিক যুগের সূচনা ধরা হয় ১৮০১ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত।

• এই যুগে বাংলা গদ্যের বিকাশ ঘটে—চিন্তা, বিশ্লেষণ ও বর্ণনার নতুন ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়।

• গদ্য সাহিত্যের বিকাশে রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের অবদান উল্লেখযোগ্য।

• অপরদিকে, মধ্যযুগ বলতে বোঝানো হয় ১২০১ থেকে ১৩৫০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সময়কে, যাকে প্রায়ই ‘অন্ধকার যুগ’ বলা হয়।

• এই সময় সাহিত্য মূলত ধর্মীয়, পৌরাণিক ও অলৌকিক বিষয়নির্ভর ছিল, যেখানে গদ্য সাহিত্যের বিকাশ তেমন দেখা যায়নি।

• আধুনিক যুগে এসে বাংলা সাহিত্য নতুনভাবে বাস্তবতা, সমাজচেতনা ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ ঘটায়, যার মূল ধারক গদ্য রচনা।

‘পাগলা দাশু’ গল্প সংকলন

• রচয়িতা: সুকুমার রায়

• প্রকাশ: ১৯৪০

• প্রধান চরিত্র: পাগলা দাশু, একজন স্কুলপড়ুয়া যিনি তার পাগলামি ও সূক্ষ্ম হাস্যকর ব্যঙ্গাত্মক কীর্তিগুলোর জন্য পরিচিত।

• লক্ষ্য পাঠক: শিশু ও কিশোর

• আন্তর্জাতিক প্রকাশ: ২০১২ সালে সংকলনটি ইংরেজিতে অনূদিত হয় “পাগলা দাশু অ্যান্ড কো-এর ক্রেজি টেলস” নামে।

গল্প সংকলনের কিছু উল্লেখযোগ্য গল্প:

• পাগলা দাশু

• দাশুর খ্যাপামি

• চীনে পল্কা

• দাশুর কীর্তি

• চালিয়াত

• সবজান্তা

• ভোলানাথের সর্দারি

• আশ্চর্য কবিতা

• নন্দলালের মন্দকপাল

• নতুন প-িত

• সবজাত্মা দাদা

• যতীনের জুতো

• ডিটেক্টিভ্

• ব্যোমকেশের মান্জা

• জগ্যিদাসের মামা

• আজব সাজা

• কালাচাঁদের ছবি

• গোপালের পড়া

• পেটুক

• ভুল গল্প

সুকুমার রায়ের অন্যান্য সাহিত্যকর্ম:

• কবিতার বই: আবোল তাবোল, খাই খাই

• গল্প: হযবরল

• গল্প সংকলন: পাগলা দাশু

• নাটক: চলচ্চিত্তচঞ্চরী

এই সংকলনটি শিশু সাহিত্যে সুকুমার রায়ের ব্যঙ্গাত্মক ও সৃষ্টিশীল অবদানের একটি দৃষ্টান্ত।