'দারিদ্র্য' কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
A
অগ্নিবীণা
B
সিন্ধু হিন্দোল
C
সাম্যবাদী
D
প্রলয় শিখা
উত্তরের বিবরণ
কাজী নজরুল ইসলাম ও ‘সিন্ধু হিন্দোল’
-
‘দারিদ্র্য’ কবিতা:
-
কাব্যগ্রন্থ: সিন্ধু হিন্দোল
-
কবির লাইন:
“হে দারিদ্র্য, তুমি মোরে করেছো মহান্।
তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রীষ্টের সম্মান।”
-
-
সিন্ধু হিন্দোল:
-
রচয়িতা: কাজী নজরুল ইসলাম
-
ধরণ: প্রেমকাব্য
-
উল্লেখযোগ্য কবিতা:
-
গোপন প্রিয়া
-
অনামিকা
-
বিদায়-স্মরণে
-
পথের স্মৃতি
-
উন্মনা
-
দারিদ্র্য
-
বাসন্তী
-
ফাল্গুনী
-
বধূ-বরণ
-
রাখী-বন্ধন
-
চাঁদনী রাতে
-
মাধবী-প্রলাপ ইত্যাদি
-
-

0
Updated: 20 hours ago
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত 'বাঁধন-হারা' পত্রোপন্যাসে মোট কয়টি পত্র রয়েছে?
Created: 3 months ago
A
১২ টি
B
১৪টি
C
১৭টি
D
১৮টি
বাঁধন-হারা
-
‘বাঁধন-হারা’ (১৯২৭) হল কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম উপন্যাস।
-
এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপন্যাস, যেখানে মোট ১৮টি পত্র অন্তর্ভুক্ত।
-
কাজী নজরুল ইসলাম করাচিতে অবস্থানকালে উপন্যাসটি লেখা শুরু করেন।
-
উপন্যাসটি মুসলিম ভারত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
-
উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র হল নুরুল হুদা। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলো হলো মাহবুবা, রবিউল, রাবেয়া এবং সোফিয়া।
কাজী নজরুল ইসলাম
-
তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতির একজন শ্রেষ্ঠ পুরুষ।
-
জন্ম: ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯ খ্রি:) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে।
-
বাংলা সাহিত্যে তিনি পরিচিত ‘বিদ্রোহী কবি’ নামে এবং আধুনিক বাংলা গানের জগতে খ্যাত ‘বুলবুল’ হিসেবে।
-
ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে ১৯৭২ সালের ২৪ মে তাঁকে সপরিবারে স্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়।
-
১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে তাঁকে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব দেওয়া হয় এবং ২১ ফেব্রুয়ারি ‘একুশে পদক’ প্রদান করা হয়।
-
মৃত্যু: ২৯ আগস্ট ১৯৭৬ (১২ ভাদ্র ১৩৮৩) ঢাকার পিজি হাসপাতালে।
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত উপন্যাসসমূহ
-
বাঁধন-হারা
-
মৃত্যুক্ষুধা
-
কুহেলিকা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 3 months ago
কাজী নজরুল ইসলামের মােট ৫টি গ্রন্থ বিভিন্ন সময়ে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকার বাজেয়াপ্ত করে। কোন বইটি প্রথম বাজেয়াপ্ত হয়?
Created: 1 week ago
A
বিষের বাঁশি
B
যুগবাণী
C
ভাঙার গান
D
প্রলয় শিখা
কাজী নজরুল ইসলামের ‘যুগবাণী’ প্রবন্ধগ্রন্থ
-
প্রকাশকাল: কাজী নজরুল ইসলামের প্রবন্ধসংকলন ‘যুগবাণী’ ১৯২২ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত হয়।
-
প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ: এটি ছিল নজরুলের প্রথম প্রবন্ধভিত্তিক বই।
-
নিষিদ্ধ ঘোষণা: বইটি প্রকাশের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই, ২৩ নভেম্বর ১৯২২ সালে ব্রিটিশ সরকার ফৌজদারি বিধির ৯৯এ ধারা অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
-
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার: অনেক পরে, ১৯৪৭ সালে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
-
গ্রন্থের বিষয়বস্তু: প্রবন্ধগুলোতে মূলত স্বদেশি চেতনা, জাতীয় জাগরণ, ব্রিটিশবিরোধী মনোভাব ও শিক্ষার নতুন দিকনির্দেশনা ফুটে ওঠে।
-
অন্তর্ভুক্ত প্রবন্ধ: নবযুগ, ধর্মঘট, সত্য-শিক্ষা, ভাব ও কাজ, জাতীয় শিক্ষা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, জাগরণী প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম যে গ্রন্থটি সরকার নিষিদ্ধ করে, সেটি হলো ‘যুগবাণী’।
নজরুলের ৫টি নিষিদ্ধ গ্রন্থ
-
যুগবাণী (প্রবন্ধগ্রন্থ) – নিষিদ্ধ: ২৩ নভেম্বর ১৯২২, নিষেধাজ্ঞা উঠে যায় ১৯৪৭।
-
বিষের বাঁশী (কবিতাগ্রন্থ) – নিষিদ্ধ: ২২ অক্টোবর ১৯২৪, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার: ২৭ এপ্রিল ১৯৪৫।
-
ভাঙার গান (কবিতাগ্রন্থ) – নিষিদ্ধ: ১১ অক্টোবর ১৯২৪।
-
প্রলয় শিখা (কবিতাগ্রন্থ) – নিষিদ্ধ: ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৩০।
-
চন্দ্রবিন্দু (গানের সংকলন) – নিষিদ্ধ: ১৪ অক্টোবর ১৯৩১।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 week ago
কাজী নজরুল ইসলামের নামের সাথে জড়িত 'ধূমকেতু' কোন ধরনের প্রকাশনা?
Created: 2 months ago
A
কবিতা
B
পত্রিকা
C
উপন্যাস
D
ছোটগল্প
[অপশনে একের অধিক সঠিক উত্তর থাকায় প্রশ্নটি বাতিল করা হলো।]
কাজী নজরুল ইসলাম ও 'ধূমকেতু'— কবিতা ও পত্রিকায় বিদ্রোহের প্রতিচ্ছবি
কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যকর্মে 'ধূমকেতু' শব্দটি একাধিক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে— এটি একদিকে তার একটি কবিতা, অন্যদিকে একটি অর্ধসাপ্তাহিক পত্রিকার নাম। উভয় প্রকাশনাই তার বিপ্লবী মনন ও প্রতিবাদী চেতনার প্রতিফলন ঘটায়।
'অগ্নিবীণা' কাব্যগ্রন্থ ও 'ধূমকেতু' কবিতা
নজরুলের প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'অগ্নিবীণা' প্রকাশিত হয়েছিল ১৯২২ সালে। এই গ্রন্থটি বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষকে উৎসর্গ করা হয়। এতে মোট ১২টি কবিতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার মধ্যে ‘ধূমকেতু’ একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে।
'অগ্নিবীণা' কাব্যের কবিতাগুলোর নাম:
প্রলয়োল্লাস, বিদ্রোহী, রক্তাম্বর-ধারিণী মা, আগমণী, ধূমকেতু, কামাল পাশা, আনোয়ার, রণভেরী, শাত-ইল-আরব, খেয়াপারের তরণী, কোরবানী, মহররম।
এই গ্রন্থের প্রথম কবিতা ‘প্রলয়োল্লাস’ এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় কবিতা ‘বিদ্রোহী’, যার মাধ্যমে নজরুল ‘বিদ্রোহী কবি’ নামে পরিচিতি পান।
‘ধূমকেতু’ কবিতা একটি প্রতীকী কাব্যরূপ, যেখানে কবি নিজেকে বিপ্লব ও ধ্বংসের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছেন। কবিতায় ধ্বংস, শুদ্ধি ও নতুন সূর্যের আগমনের ইঙ্গিত স্পষ্ট:
"আমি যুগে যুগে আসি, আসিয়াছি পুন মহাবিপ্লব হেতু
এই স্রষ্টার শনি মহাকাল ধূমকেতু!"
এই পঙ্ক্তির মাধ্যমে নজরুল নিজেকে শিবের তৃতীয় চক্ষুর ন্যায় ধ্বংসকারী শক্তি হিসেবে উপস্থাপন করেছেন, যা অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়।
'ধূমকেতু' পত্রিকা: স্বাধীনতার জ্বলন্ত মশাল
১৯২২ সালে কাজী নজরুল ইসলামের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ‘ধূমকেতু’ নামে একটি অর্ধসাপ্তাহিক পত্রিকা, যা দ্রুতই হয়ে ওঠে ব্রিটিশবিরোধী চেতনার প্রবল বাহক। এই পত্রিকা সপ্তাহে দু’বার প্রকাশিত হতো এবং সাহিত্যের পাশাপাশি রাজনৈতিক বক্তব্য প্রকাশেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করত।
বিশেষত্ব:
-
'ধূমকেতু' পত্রিকা মূলত সশস্ত্র বিপ্লববাদকে প্রেরণা জোগাত।
-
এর একটি সংখ্যায় (২৬ সেপ্টেম্বর ১৯২২) নজরুলের বিতর্কিত কবিতা ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ প্রকাশিত হলে ব্রিটিশ সরকার তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
-
পত্রিকার পরিচিতি-সংলাপ ছিল: "কাজী নজরুল ইসলাম কল্যাণীয়েষু, আয় চলে আয়রে ধূমকেতু।"
এই পত্রিকার মাধ্যমে নজরুল কেবল সাহিত্যিক নন, এক বিদ্রোহী জাতীয় চেতনার ধারক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেন।
‘ধূমকেতু’ শব্দটি নজরুলের সাহিত্যিক ও রাজনৈতিক জীবনের দুইটি গুরুত্বপূর্ণ দিকের প্রতীক।
কবিতার মাধ্যমে তিনি তুলে ধরেছেন তাঁর বিপ্লবী চেতনার দৃষ্টিভঙ্গি, আর পত্রিকার মাধ্যমে সমাজে সেই চেতনার বাস্তব প্রয়োগ।এভাবেই কাজী নজরুল ইসলাম বাংলার সাহিত্য ও ইতিহাসে একটি অমর নাম হয়ে উঠেছেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া,‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থ.

0
Updated: 2 months ago