'ইন্দিরা' উপন্যাসটি রচনা করেন কে?
A
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
D
কাজী নজরুল ইসলাম
উত্তরের বিবরণ
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও ‘ইন্দিরা’ উপন্যাস
-
‘ইন্দিরা’ উপন্যাস:
-
রচয়িতা: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
-
ধরন: ছোট উপন্যাস বা বড়ো গল্প
-
প্রথম প্রকাশ: ১৮৭২, বঙ্গদর্শন পত্রিকায়
-
বিষয়বস্তু: উত্তমপুরুষের বয়ান, কৌতুক-পরিহাসপূর্ণ ও উপভোগ্য কাহিনি
-
-
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবন:
-
জন্ম: ১৮৩৮, কাঁঠালপাড়া, চবিবশ পরগনা জেলা
-
পেশা: ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক
-
উল্লেখযোগ্য তথ্য: বাংলা নবজাগরণের অন্যতম প্রধান পুরুষ, বাংলা উপন্যাসের জনক
-
প্রথম রচিত উপন্যাস: রাজমোহনস ওয়াইফ (ইংরেজিতে)
-
প্রথম সার্থক বাংলা উপন্যাস: দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫)
-
-
উপন্যাসসমূহ:
-
কপালকুণ্ডলা, মৃণালিনী, বিষবৃক্ষ, যুগলাঙ্গুরীয়, চন্দ্রশেখর, রাধারানী, রজনী, কৃষ্ণকান্তের উইল, রাজসিংহ
-
0
Updated: 1 month ago
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত উপন্যাাস কোনটি?
Created: 1 week ago
A
স্ত্রী-চরিত্র
B
রাজর্ষি
C
ষোড়শী
D
রজনী
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের একজন গুরুত্বপূর্ণ ঔপন্যাসিক, যিনি উপন্যাসে সমাজ, নৈতিকতা ও মানবিক সম্পর্ককে গভীরভাবে উপস্থাপন করেছেন। তার রচনায় চরিত্রের মানসিক ও সামাজিক বৈচিত্র্য ফুটে ওঠে এবং গল্পের সঙ্গে পাঠকের অনুভূতিকে সংযুক্ত করা যায়। ‘রজনী’ তার অন্যতম উপন্যাস, যা প্রেম, সামাজিক মূল্যবোধ এবং মানব সম্পর্কের সূক্ষ্মতাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।
এর কিছু মূল বৈশিষ্ট্য হলো:
-
সাহিত্যিক বিষয়বস্তু: ‘রজনী’ উপন্যাসে চরিত্রদের সম্পর্ক, প্রেমের অভিব্যক্তি এবং সমাজের নৈতিক প্রেক্ষাপট সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। এটি পাঠককে মানুষের মানসিক জটিলতা ও সামাজিক নীতির সঙ্গে পরিচয় করায়।
-
চরিত্রায়ন: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় চরিত্রগুলোর মনস্তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য এবং আবেগপ্রবণতাকে গভীরভাবে উপস্থাপন করেছেন। পাঠক চরিত্রগুলোর চিন্তা, অনুভূতি ও সংকটের সঙ্গে সহজেই সংযুক্ত হতে পারে।
-
ভাষা ও শৈলী: তাঁর লেখা উপন্যাসের ভাষা প্রাঞ্জল, সহজবোধ্য এবং প্রায়শই সাহিত্যিক সৌন্দর্যপূর্ণ। এটি গল্পকে পাঠকের জন্য আরও গ্রহণযোগ্য এবং আকর্ষণীয় করে তোলে।
-
সামাজিক প্রভাব: ‘রজনী’ উপন্যাস পাঠকের মধ্যে নৈতিকতা, দায়বোধ ও সামাজিক মূল্যবোধ বোঝার সুযোগ দেয়। এটি শুধু বিনোদন নয়, পাঠককে চিন্তা ও অনুভূতির ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ করে।
-
ঔপন্যাসিক গুণাবলী: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখায় গল্পের তাত্ত্বিক গভীরতা, মানবিক সংবেদনশীলতা এবং সমাজ সচেতনতা একত্রিত রয়েছে, যা তাকে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
সারসংক্ষেপে, ‘রজনী’ উপন্যাসটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্ম, যা মানবিক সম্পর্ক, প্রেম ও সামাজিক মূল্যবোধকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। এটি বাংলা সাহিত্যে ঔপন্যাসিকতার শৈল্পিক ও নৈতিক দিককে সমৃদ্ধ করেছে এবং পাঠককে চরিত্রের অভ্যন্তরীণ মনস্তত্ত্ব ও সমাজের নৈতিক চিত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।
0
Updated: 1 week ago
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
রজনী
B
কৃষ্ণকান্তের উইল
C
চন্দ্রশেখর
D
কমলাকান্তের দপ্তর
কমলাকান্তের দপ্তর হলো বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্রবন্ধ সংকলন, যা নকশা-জাতীয় রম্য রচনা হিসেবে পরিচিত। সংকলনটিতে তিনটি অংশ রয়েছে—
-
কমলাকান্তের দপ্তর
-
কমলাকান্ত পত্র
-
কমলাকান্তের জবানবন্দি
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ:
-
কপালকুণ্ডলা
-
মৃণালিনী
-
বিষবৃক্ষ
-
ইন্দিরা
-
যুগলাঙ্গুরীয়
-
চন্দ্রশেখর
-
রাধারানী
-
রজনী
-
কৃষ্ণকান্তের উইল
-
রাজসিংহ
উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধসমূহ:
-
লোকরহস্য
-
কমলাকান্তের দপ্তর
-
বিবিধ সমালোচনা
-
সাম্য
-
কৃষ্ণচরিত্র
-
ধর্মতত্ত্ব অনুশীলন
0
Updated: 1 month ago
ভীষ্মদেব খোশনবীশ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কোন গ্রন্থের চরিত্র?
Created: 1 week ago
A
কমলাকান্ত
B
লোকরহস্য মু
C
চিরাম গুড়ের জীবনচরিত
D
যুগলাঙ্গুরীয়
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের "কমলাকান্তের দপ্তর" একটি ব্যতিক্রমধর্মী রম্যরচনা, যেখানে তিনি সমাজের নানা দিক ও মানুষের অস্বাভাবিক আচরণ নিয়ে হাস্যরসাত্মক ও ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করেছেন। এই গ্রন্থটি মূলত তিনটি অংশে বিভক্ত:
১. কমলাকান্তের দপ্তর,
২. কমলাকান্ত পত্র,
৩. কমলাকান্তের জবানবন্দি।
"কমলাকান্তের দপ্তর" বঙ্কিমচন্দ্রের একটি হাস্যরসাত্মক প্রবন্ধ সংগ্রহ, যেখানে কমলাকান্ত নামের চরিত্রটি বিভিন্ন অসংগতি ও বিচিত্র মানুষদের নিয়ে তীব্র সোজাসাপ্টা মন্তব্য করেছেন। গ্রন্থটির রচনায় বঙ্কিমচন্দ্র ইংরেজ সাহিত্যিক ডি-কুইনসির Confession of an English Opium Eater থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। ১৮৭৫ সালে রচিত এই প্রবন্ধগুলো কমলাকান্ত চরিত্রের জবানিতে উপস্থাপিত।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্যান্য প্রবন্ধগুলোও তার গভীর দর্শন ও সমাজের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছে, যেমন:
-
লোকরহস্য,
-
বিবিধ সমালোচনা,
-
সাম্য,
-
কৃষ্ণচরিত্র,
-
ধর্মতত্ত্ব অনুশীলন, ইত্যাদি।
তাঁর কিছু বিখ্যাত উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে:
-
কপালকুণ্ডলা,
-
মৃণালিনী,
-
বিষবৃক্ষ,
-
ইন্দিরা,
-
চন্দ্রশেখর,
-
রাজসিংহ,
এছাড়া আরও অনেক উল্লেখযোগ্য কাজ রয়েছে, যা বাংলা সাহিত্যের অমূল্য রত্ন হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 1 week ago