কোনটি চর্চা ব্যতীত সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়?
A
ধর্ম শিক্ষা
B
C
মূল্যবোধ শিক্ষা
D
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নৈতিকতা ও মূল্যবোধের ভূমিকা অপরিসীম। সুশাসন কেবল প্রশাসনিক দক্ষতা বা প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের উপর নির্ভর করে না; এটি এমন মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে দাঁড়ায় যা ব্যক্তি ও সমাজকে ন্যায়পরায়ণ ও জবাবদিহিতামূলক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
-
সুশাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ গুণাবলী হলো স্বচ্ছতা, ন্যায়পরায়ণতা, জবাবদিহিতা, মানবিকতা ও নৈতিকতা।
-
এই গুণাবলী মূল্যবোধ শিক্ষার মাধ্যমে অর্জিত হয়।
-
মূল্যবোধ শিক্ষা ব্যক্তি ও সমাজকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
-
এটি ন্যায়পরায়ণ ও জবাবদিহিতামূলক শাসনের ভিত্তি তৈরি করে।
-
সুতরাং, মূল্যবোধ শিক্ষা ছাড়া সুশাসন সম্ভব নয়।
অন্যদিকে:
-
ধর্ম মানুষের নৈতিকতা গঠনে সহায়ক হতে পারে, তবে এটি সুশাসনের একমাত্র পূর্বশর্ত নয়।
-
কিছু সামাজিক প্রথা সুশাসনের জন্য সহায়ক হলেও, অনেক ক্ষেত্রে এগুলো বৈষম্যের সৃষ্টি করতে পারে।
-
প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রশাসনিক কার্যক্ষমতা বাড়ায়, কিন্তু নৈতিকতা ও ন্যায়পরায়ণতা ব্যতীত সুশাসন নিশ্চিত করতে পারে না।

0
Updated: 20 hours ago
জীবন রক্ষা, সম্পত্তি ভোগ ও বৈধ পেশা গ্রহণ কোন স্বাধীনতার অন্তর্ভুক্ত?
Created: 1 week ago
A
ব্যক্তি স্বাধীনতা
B
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা
C
সামাজিক স্বাধীনতা
D
জাতীয় স্বাধীনতা
স্বাধীনতার বিভিন্ন রূপ
-
ব্যক্তি স্বাধীনতা
-
ব্যক্তি স্বাধীনতা বলতে এমন স্বাধীনতাকে বোঝানো হয়, যা ভোগ করলে অন্যের কোনো ক্ষতি হয় না।
-
উদাহরণ: ধর্মচর্চা করা, পারিবারিক গোপনীয়তা রক্ষা করা।
-
এ ধরনের স্বাধীনতা ব্যক্তির একান্ত নিজস্ব বিষয়।
-
-
সামাজিক স্বাধীনতা
-
জীবন রক্ষা, সম্পত্তি ভোগ এবং বৈধ পেশা গ্রহণ সামাজিক স্বাধীনতার অন্তর্ভুক্ত।
-
এই স্বাধীনতা নাগরিক জীবন বিকশিত করে এবং সমাজে বসবাসকারী মানুষের অধিকার রক্ষা করে।
-
সামাজিক স্বাধীনতা এমনভাবে ভোগ করতে হয় যেন অন্যের অনুরূপ স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ না হয়।
-
-
রাজনৈতিক স্বাধীনতা
-
ভোটদান, নির্বাচিত হওয়া, বিদেশে অবস্থানকালীন নিরাপত্তা লাভ ইত্যাদি রাজনৈতিক স্বাধীনতার উদাহরণ।
-
এসব স্বাধীনতার মাধ্যমে নাগরিক রাষ্ট্রীয় শাসনকাজে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।
-
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক স্বাধীনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
-
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা
-
যোগ্যতা অনুযায়ী পেশা গ্রহণ এবং উপযুক্ত পারিশ্রমিক লাভ করাকে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বলা হয়।
-
নাগরিকরা মূলত আর্থিক সুবিধা প্রাপ্তির জন্য অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ভোগ করে।
-
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না থাকলে অন্যান্য স্বাধীনতা ভোগ করা যায় না এবং সমাজের অন্য শ্রেণির শোষণ থেকে মুক্ত থাকা যায় না।
-
-
জাতীয় স্বাধীনতা
-
বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, যা অন্য রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত।
-
এই অবস্থানকে জাতীয় স্বাধীনতা বা রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা বলা হয়।
-
জাতীয় স্বাধীনতার ফলে একটি রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের কর্তৃত্বমুক্ত থাকে এবং প্রত্যেক স্বাধীন রাষ্ট্র এই স্বাধীনতা ভোগ করে।
-
উৎস: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম ও দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 week ago
"দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো" কোন ধরনের মূল্যবোধ?
Created: 21 hours ago
A
সামাজিক মূল্যবোধ
B
অর্থনৈতিক মূল্যবোধ
C
সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ
D
নৈতিক মূল্যবোধ
নৈতিক মূল্যবোধ হলো মানুষের সেই মনোভাব ও আচরণ, যা সবসময় ভালো, কল্যাণকর ও অপরিহার্য হিসেবে বিবেচিত হয় এবং মানসিক তৃপ্তি প্রদান করে। নৈতিক মূল্যবোধের মূল উৎস হলো নীতি এবং উচিত-অনুচিত বোধ। শিশু তার পরিবার থেকে শুরু করে প্রাথমিকভাবে এই মূল্যবোধের শিক্ষা গ্রহণ করে।
-
নৈতিক মূল্যবোধের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত—
-
অন্যায় কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা
-
সত্যকে সত্য এবং মিথ্যাকে মিথ্যা বলা
-
অন্যকে অন্যায় থেকে বিরত রাখতে পরামর্শ দেওয়া
-
দুঃস্থ ও বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের সাহায্য করা
-
অসহায় বা ঋণগ্রস্থ মানুষকে ঋণমুক্ত হতে সাহায্য করা
-
এই সব আচরণ ও মনোভাব মানুষকে নৈতিক ও দায়বদ্ধ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে।

0
Updated: 21 hours ago
ম্যাককরনী সুশাসন বলতে কোন সম্পর্ককে বোঝান নি?
Created: 21 hours ago
A
সরকারের সাথে বিরোধীদলের
B
শাসকের সাথে শাসিতের
C
রাষ্ট্রের সাথে সুশীল সমাজের
D
সরকারের সাথে শাসিত জনগণের
সুশাসন হলো একটি বহুমাত্রিক ধারণা, যা রাজনৈতিক ব্যবস্থায় শাসনের কার্যকরী ব্যবস্থা বোঝায়। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ, ক্ষেত্র ও প্রেক্ষাপট থেকে গভর্নেন্স শব্দের ব্যাখ্যা করা হয়েছে। 'সুশাসন' ধারণার মূল লক্ষ্য হলো রাষ্ট্র ও জনগণ, সরকার ও বিরোধী পক্ষ, শাসক ও শাসিতের মধ্যে সম্পর্কের সুষ্ঠু সমন্বয় নিশ্চিত করা।
-
ম্যাককরনী (Mac Corney) বলেছেন, সুশাসন বলতে রাষ্ট্রের সাথে সুশীল সমাজের, সরকারের সাথে শাসিত জনগণের, শাসকের সাথে শাসিতের সম্পর্ক বোঝায়, তবে তিনি সরকারের সঙ্গে বিরোধীদলের সম্পর্ককে সুশাসনের অংশ হিসেবে দেখাননি।
-
'গভর্নেন্স' বা 'শাসন ব্যবস্থা'-এর সাথে 'সু' প্রত্যয় যোগ করে গঠিত হয়েছে সুশাসন (Good Governance) শব্দটি। এর অর্থ হলো নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী শাসন।
-
সুশাসনকে একক কোনো ধারণার মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত করা যায় না, কারণ এটি বহুমাত্রিক। বিভিন্ন তাত্ত্বিক, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দাতা সংস্থা সুশাসনের সংজ্ঞা বা ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন।
-
সুশাসন ধারণাটি বিশ্বব্যাংকের উদ্ভাবিত এবং ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষায় প্রথমবার Good Governance শব্দটি ব্যবহৃত হয়।
-
সমীক্ষায় বলা হয়, উন্নয়নশীল দেশের অনুন্নয়নের কারণ হলো সুশাসনের অভাব।
-
মোটকথা, যদি প্রশাসনে জবাবদিহিতা (Accountability), বৈধতা (Legitimacy), স্বচ্ছতা (Transparency) থাকে, অংশগ্রহণের সুযোগ উন্মুক্ত থাকে, বাকস্বাধীনতা ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা সুরক্ষিত হয়, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বজায় থাকে, আইনের শাসন (Rule of law) এবং আইনসভার নিকট শাসন বিভাগের দায়িত্বশীলতা কার্যকর থাকে, তাহলে সেই শাসনকে সুশাসন (Good Governance) বলা যায়।

0
Updated: 21 hours ago