বাংলা সাহিত্যের প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রয়োগ ঘটে কোন গ্রন্থে?
A
কৃষ্ণকুমারী নাটকে
B
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্যে
C
পদ্মাবতী নাটকে
D
মেঘনাদবধ কাব্যে
উত্তরের বিবরণ
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
-
জন্ম: ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি, সাগরদাঁড়ি গ্রাম, যশোর জেলা, কপোতাক্ষ নদ তীর
-
পদবি: মহাকবি, নাট্যকার
-
উপাদান ও প্রবর্তনা:
-
বাংলা সাহিত্যে সনেটের প্রবর্তক
-
অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক; প্রথম প্রয়োগ ‘পদ্মাবতী’ নাটকে
-
-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ:
-
ইংরেজিতে: The Captive Lady
-
অমিত্রাক্ষর ছন্দে: তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
-
-
উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ:
-
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
-
মেঘনাদবধ কাব্য
-
ব্রজাঙ্গনা কাব্য
-
বীরাঙ্গনা কাব্য
-
চতুর্দশপদী কবিতাবলী
-

0
Updated: 20 hours ago
বিখ্যাত 'ভক্তপ্রসাদ বাবু' চরিত্রের স্রষ্টা কে?
Created: 20 hours ago
A
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
D
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ হলো মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত একটি প্রহসন, যা প্রাথমিকভাবে ‘ভগ্ন-শিবমন্দির’ নামে পরিচিত ছিল।
-
প্রহসনের মূলকাহিনী: এক লম্পট জমিদারের আচরণ-ব্যবহার এবং দরিদ্র প্রজাদের দ্বারা তাকে উচিত শিক্ষা প্রদান।
উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ:
-
ভক্তপ্রসাদ বাবু
-
পঞ্চানন বাচস্পতি
-
গদাধর
-
পুঁটি
-
ফতেমা
মধুসূদন দত্তের অন্যান্য প্রহসন:
-
একেই কি বলে সভ্যতা

0
Updated: 20 hours ago
কোনটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের পত্রকাব্য?
Created: 1 month ago
A
ব্রজাঙ্গনা
B
বিলাতের পত্র
C
বীরাঙ্গনা
D
হিমালয়
বীরাঙ্গনা কাব্য (১৮৬২)
-
এটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখা একটি পত্রকাব্য (চিঠির আকারে লেখা কবিতা)।
-
বাংলা সাহিত্যে পত্রকাব্যের এটি ছিল প্রথম উদাহরণ।
-
রোমান কবি ওভিদের ‘Heroides’ কাব্য অনুসরণে এটি লেখা হয়।
-
এই কাব্যে মোট ১১টি পত্র (চিঠি) আছে।
-
যেমন:
-
দুষ্মন্তের প্রতি শকুন্তলার চিঠি,
-
দশরথের প্রতি কৈকেয়ীর চিঠি,
-
সোমের প্রতি তারা,
-
নীলধ্বজের প্রতি জনার চিঠি — এসব বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
-
-
পৌরাণিক নারীদের নতুনভাবে জীবন্ত করে তুলেছেন কবি। তারা এখানে নিজের ভালোবাসা, ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করতে দ্বিধা করে না।
-
এই সাহসী রচনার জন্য তখন মধুসূদন অনেক সমালোচিত হয়েছিলেন।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮২৪–১৮৭৩)
-
জন্ম: ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি, যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে (কপোতাক্ষ নদীর তীরে)।
-
পরিবার: জমিদার পরিবারে জন্ম।
-
পিতা: রাজনারায়ণ দত্ত (কলকাতার নামকরা উকিল)।
-
মাতা: জাহ্নবী দেবী।
-
-
শিক্ষা:
-
১৮৩৩ সালে হিন্দু কলেজে ভর্তি হন।
-
বাংলা, সংস্কৃত, ফারসি ভাষা শেখেন।
-
ছাত্রজীবনেই বিভিন্ন পত্রিকায় তাঁর কবিতা প্রকাশিত হতে থাকে।
-
-
১৮৪৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করেন এবং তখন থেকেই তাঁর নাম হয় “মাইকেল মধুসূদন দত্ত”।
-
মৃত্যু: ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন, স্ত্রী হেনরিয়েটার মৃত্যুর তিন দিন পর কলকাতায় মারা যান।
তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ
-
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
-
ব্রজাঙ্গনা কাব্য (গীতিকাব্য)
-
মেঘনাদবধ কাব্য
-
বীরাঙ্গনা কাব্য
-
চতুর্দশপদী কবিতাবলী (বাংলা সনেট)
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রবর্তিত 'অমিত্রাক্ষর ছন্দ’ প্রকৃত পক্ষে বাংলা কোন ছন্দের নব-রূপায়ণ?
Created: 2 weeks ago
A
স্বরবৃত্ত ছন্দ
B
মাত্রাবৃত্ত ছন্দ
C
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ
D
গৈরিশ ছন্দ
মাইকেল মধুসূদন দত্ত:
-
জন্ম: ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি, যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদ তীরের সাগরদাঁড়ি গ্রামে।
-
একজন মহাকবি ও নাট্যকার।
-
বাংলায় সনেট প্রবর্তক এবং অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক।
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ:
-
বাংলা কাব্যের প্রধান ছন্দ, যার উচ্চারণ স্বাভাবিক ও গদ্যভঙ্গির অনুসারী।
-
এটি তানপ্রধান ছন্দ, শ্বাসাঘাত নয়।
-
তান হলো স্বরধ্বনি বা সাধারণ উচ্চারণের অতিরিক্ত টান, যা দীর্ঘ পর্বের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
সাধারণত ৮/৬ বা ৮/১০ মাত্রার সর্বাধিক দীর্ঘ পর্বে রচিত হয়।
-
উনিশ শতকে মধুসূদন দত্ত অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তন করে এ ছন্দের সুরমুক্তি ঘটান।
-
অর্থাৎ, অমিত্রাক্ষর ছন্দ হলো বাংলা অক্ষরবৃত্ত ছন্দের নব সংস্করণ।
-
-
এ ছন্দ বাংলা সাহিত্যের চিরায়ত কাব্যসমূহকে শ্রেষ্ঠ ছন্দে রূপায়ণ করেছে।
-
মহাপয়ার: পয়ার ছন্দের একটি বিবর্ধিত রূপ, যেখানে পয়ারের ৬ মাত্রার অন্ত্যপর্বের পরিবর্তে ১০ মাত্রা হয়।
সুতরাং, মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যে কাব্যরীতি ও ছন্দের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারক।

0
Updated: 2 weeks ago