বিখ্যাত 'ভক্তপ্রসাদ বাবু' চরিত্রের স্রষ্টা কে?
A
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
D
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
উত্তরের বিবরণ
‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ হলো মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত একটি প্রহসন, যা প্রাথমিকভাবে ‘ভগ্ন-শিবমন্দির’ নামে পরিচিত ছিল।
-
প্রহসনের মূলকাহিনী: এক লম্পট জমিদারের আচরণ-ব্যবহার এবং দরিদ্র প্রজাদের দ্বারা তাকে উচিত শিক্ষা প্রদান।
উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ:
-
ভক্তপ্রসাদ বাবু
-
পঞ্চানন বাচস্পতি
-
গদাধর
-
পুঁটি
-
ফতেমা
মধুসূদন দত্তের অন্যান্য প্রহসন:
-
একেই কি বলে সভ্যতা
0
Updated: 1 month ago
মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রথম কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
Created: 4 weeks ago
A
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
B
দ্য ক্যাপটিভ লেডি
C
মেঘনাদবধ কাব্য
D
শর্মিষ্ঠা
মাইকেল মধুসূদন দত্ত ছিলেন বাংলা সাহিত্যের এক যুগান্তকারী সাহিত্যিক, যিনি আধুনিক কাব্যধারার সূচনা করেন। তিনি একাধারে মহাকবি ও নাট্যকার হিসেবে খ্যাত। তাঁর জন্ম ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি, যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে, কপোতাক্ষ নদের তীরে। তিনি ছিলেন বাংলা সনেটের প্রবর্তক এবং অমিত্রাক্ষর ছন্দের জনক। প্রথমবার অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রয়োগ করেন তাঁর রচিত ‘পদ্মাবতী’ নাটকে। অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ হলো ‘তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য’, যা সম্পূর্ণভাবে এই ছন্দে লেখা। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ইংরেজি ভাষায় রচিত ‘The Captive Lady’।
তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মসমূহ:
নাটক:
-
শর্মিষ্ঠা
-
পদ্মাবতী
-
কৃষ্ণকুমারী
কাব্য:
-
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
-
মেঘনাদবধ কাব্য
-
ব্রজাঙ্গনা কাব্য
-
বীরাঙ্গনা কাব্য (পত্রকাব্য)
-
চতুর্দশপদী কবিতাবলী
প্রহসন:
-
একে কি বলে সভ্যতা
-
বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ
-
তাঁর ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহাকাব্য, যা রামায়ণের কাহিনিকে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপন করে।
-
তিনি ছিলেন ইউরোপীয় ধাঁচের শিক্ষা ও সাহিত্যরীতিতে শিক্ষিত প্রথম বাংলা কবি।
-
তাঁর রচনায় বীরত্ব, নায়কোচিত ট্র্যাজেডি, প্রেম ও মানবিক বোধের গভীর প্রকাশ দেখা যায়।
-
তিনি বাংলা সাহিত্যে পশ্চিমা সাহিত্যধারার সংমিশ্রণ ঘটিয়ে নবযুগের সূচনা করেন।
-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যকে আধুনিকতার দিগন্তে পৌঁছে দেন, যার প্রভাব পরবর্তীকালে রবীন্দ্রযুগ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
0
Updated: 4 weeks ago
‘মদনিকা’ মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত কোন নাটকের চরিত্র?
Created: 1 month ago
A
পদ্মাবতী
B
মেঘনাদবধ
C
কৃষ্ণকুমারী
D
শর্মিষ্ঠা
‘কৃষ্ণকুমারী’ মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ নাটক, যা বাংলা সাহিত্যে প্রথম সার্থক ট্রাজেডি হিসেবে স্বীকৃত। নাটকটির কাহিনি সংগৃহীত হয়েছে উইলিয়াম টডের ‘রাজস্থান’ নামক গ্রন্থ থেকে। এটি ১৮৬০ সালে রচিত হলেও ১৮৬১ সালে প্রকাশিত হয়। প্রায় সাত বছর পর, ১৮৬৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শোভাবাজার থিয়েটারে নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ হয়।
এই নাটকের উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ—
-
কৃষ্ণকুমারী
-
মদনিকা
-
ভীমসিংহ
-
জগৎসিংহ
-
ধনদাস প্রমুখ
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তন করেন—
Created: 1 month ago
A
জীবনানন্দ দাশ
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
প্রমথ চৌধুরী
D
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
সঠিক উত্তর হলো ঘ) মাইকেল মধুসূদন দত্ত। অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তন ও এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেওয়া হলো।
-
অমিত্রাক্ষর ছন্দ:
• অমিত্রাক্ষর ছন্দ বাংলা কাব্যের একটি বিশেষ ছন্দ।
• এটি মূলত অক্ষরবৃত্ত ছন্দের নব সংস্করণ।
• এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো — এতে অন্ত্যমিল বা অন্ত্যানুপ্রাস নেই।
• ইংরেজি কাব্যের Blank Verse–এর সঙ্গে এর সাদৃশ্য রয়েছে। -
মাইকেল মধুসূদন দত্তের অবদান:
• তিনিই প্রথম বাংলা কাব্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তন করেন।
• প্রথম ব্যবহার: নাটক ‘পদ্মাবতী’ (দ্বিতীয় অঙ্ক, দ্বিতীয় গর্ভাঙ্ক)।
• পূর্ণাঙ্গ প্রয়োগ: ‘তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য’।
• এই ছন্দ বাংলা কাব্যে নতুন মাত্রা যোগ করে এবং ঐতিহ্যবাহী পায়ার ছন্দ থেকে একেবারে ভিন্ন রূপ দেয়।
• এর মাধ্যমে বাংলা কবিতা ইংরেজি সাহিত্যের ব্ল্যাঙ্ক ভার্সের ধাঁচে সুরমুক্তির স্বাদ পায়। -
অপশন আলোচনা:
• ক) জীবনানন্দ দাশ — আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান কবি। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ঝরা পালক। এছাড়া উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: ধূসর পাণ্ডুলিপি, বনলতা সেন, মহাপৃথিবী, সাতটি তারার তিমির, রূপসী বাংলা, বেলা অবেলা কালবেলা। তবে তিনি অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক নন।
• খ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর — বাংলা কবিতায় নানা ছন্দ ও শৈলীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। কিন্তু অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক তিনি নন।
• গ) প্রমথ চৌধুরী — বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক এবং সবুজপত্র পত্রিকার মাধ্যমে আধুনিক সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তবে তিনিও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক নন।
0
Updated: 1 month ago