রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
A
কবি-কাহিনী
B
বনফুল
C
গীতাঞ্জলি
D
সোনার তরী
উত্তরের বিবরণ
‘কবি-কাহিনী’ কাব্যগ্রন্থ হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, যা ১৮৭৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়।
-
কবিতাগুলো প্রথম প্রকাশিত হয় ‘ভারতী’ পত্রিকায় (পৌষ-চৈত্র ১২৮৪ বঙ্গাব্দ সংখ্যা)।
-
কাব্যটি চার সর্গে বিভক্ত, নায়ক একজন কবি এবং নায়িকা নলিনী।
-
নলিনীর মৃত্যুর পর, নায়ক কবির বিশ্বপ্রেমের উপলব্ধিতে কাব্য সমাপ্তি পায়।
-
কাব্যের নায়ককে সাধারণত রবীন্দ্রনাথ নিজেই মনে করা হয়।
-
কবিতার কাহিনিতে নাটকীয়তা নেই এবং রচনা হয়েছে অমিত্রাক্ষর ছন্দে, তবে বিন্যাসে পয়ার ও ত্রিপদী উভয় ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
রবীন্দ্রনাথ আট বছর বয়সে কবিতা লেখা শুরু করেন।
-
প্রথম প্রকাশিত কবিতা: হিন্দুমেলার উপহার।
-
প্রথম নাটক: বাল্মীকি প্রতিভা।
-
প্রথম প্রকাশিত ছোটগল্প: ভিখারিনী।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থ?
Created: 2 months ago
A
শেষলেখা
B
শেষপ্রশ্ন
C
শেষকথা
D
শেষদিন
‘শেষলেখা’ কাব্যগ্রন্থ
-
রচয়িতা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
প্রকাশকাল: ১৯৪১, রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর
-
বৈশিষ্ট্য:
-
এটি রবীন্দ্রনাথের সর্বশেষ প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
-
গ্রন্থের নামকরণ তিনি নিজে করতে পারেননি।
-
অধিকাংশ কবিতা তার জীবনের শেষ কয়েক বছরের মধ্যে রচিত।
-
কবিতাগুলিতে তার ভাববাদী দর্শনের সঙ্গে জীবনের প্রতি গভীর প্রীতিও প্রতিফলিত হয়েছে।
-
-
উদাহরণ কবিতা:
"রূপ-নারানের কূলে, জেগে উঠিলাম;
জানিলাম এ জগৎ স্বপ্ন নয়।" -
রবীন্দ্রনাথের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা: মোট ৫৬টি
উল্লেখযোগ্য বিভ্রান্তি:
-
‘শেষপ্রশ্ন’ (১৯৩১) – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিতর্কমূলক উপন্যাস।
-
‘শেষকথা’ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি ছোটগল্প।
উৎস: ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
0
Updated: 2 months ago
"আমার কবিতা আমি জানি গেলেও বিচিত্র পথে হয় নাই সে সর্বত্রগামী।" পঙ্ক্তিটির লেখক কে?
Created: 1 month ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
D
সুকান্ত ভট্টাচার্য
“আমার কবিতা আমি জানি, গেলেও বিচিত্র পথে হয় নাই সে সর্বত্রগামী।”—এই পঙ্ক্তিটির লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এটি তাঁর ঐকতান কবিতার অংশ, যা রচিত হয়েছিল তাঁর মৃত্যুর মাত্র চার মাস আগে।
ঐকতান কবিতা রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। এটি মূলত কবির আত্মস্বীকারোক্তিমূলক ও আত্মপক্ষসমর্থনমূলক কবিতা, যেখানে তিনি নিজের সীমাবদ্ধতা ও সৃষ্টির বৈচিত্র্যের মধ্যকার অপূর্ণতা স্বীকার করেছেন। কবি মনে করেন, তাঁর কবিতা যদিও বিচিত্র পথে অগ্রসর হয়েছে, তবুও তা সর্বত্র পৌঁছাতে পারেনি।
ঐকতান কবিতার মূল বৈশিষ্ট্য
-
কবি পৃথিবীর বিশালতা ও বৈচিত্র্যের কথা উল্লেখ করেছেন।
-
মানুষের সভ্যতা, নদী, গিরি, সিন্ধু, মরু, নগর ও কীর্তির বিপুলতা তিনি স্বীকার করেছেন।
-
সেই তুলনায় তাঁর সৃষ্টিকর্ম সীমাবদ্ধ ও একটি ক্ষুদ্র কোণেই আবদ্ধ।
-
কবি স্বীকার করেছেন যে, তাঁর সুরে অপূর্ণতা রয়েছে।
-
আত্মসমালোচনার মধ্য দিয়েও তিনি শিল্পীর সত্য ও সততা প্রকাশ করেছেন।
এ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ শিল্পীর আত্মদর্শন ও আত্মবিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন, যা তাঁর সাহিত্যকর্মের গভীর মানবতাবোধকে প্রতিফলিত করে।
0
Updated: 1 month ago
'হিং টিং ছট' কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর কোন কাব্যগ্রন্থ হতে নেয়া হয়েছে?
Created: 1 day ago
A
ভানুসিংহের পদাবলী
B
কবি-কাহিনী
C
চিত্রাঙ্গদা
D
সোনার তরী
‘হিং টিং ছট’ কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘সোনার তরী’ (১৮৯৪)-এর অন্তর্গত একটি ব্যঙ্গাত্মক রচনা, যেখানে সমাজের কৃত্রিমতা ও ভণ্ডামিকে রসাত্মক ভঙ্গিতে প্রকাশ করা হয়েছে। এই কাব্যগ্রন্থে আরও বহু গুরুত্বপূর্ণ কবিতা রয়েছে যা রবীন্দ্রনাথের কাব্যজগতের বৈচিত্র্য ও গভীরতা প্রকাশ করে।
-
‘সোনার তরী’ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয় ১৮৯৪ সালে।
-
এই গ্রন্থের উল্লেখযোগ্য কবিতা হলো পরশ পাথর, নিরুদ্দেশ যাত্রা, মানসসুন্দরী, ও পুরস্কার।
-
কাব্যগ্রন্থটির মূল বিষয় মানুষের জীবনের সৌন্দর্য, আদর্শ, ভোগবিলাস ও আধ্যাত্মিকতার টানাপোড়েন।
-
‘হিং টিং ছট’ কবিতায় কবি সমাজের ভণ্ডামি ও কপটতাকে কৌতুক ও বিদ্রূপের মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১–১৯৪১) বাংলা সাহিত্যের অগ্রদূত কবি, যিনি ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন তাঁর ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য।
-
‘সোনার তরী’ কাব্যগ্রন্থে কবির রোমান্টিক মনন, দার্শনিক ভাবনা ও সামাজিক সচেতনতা একত্রে ফুটে উঠেছে।
-
এই কাব্যগ্রন্থকে রবীন্দ্রনাথের কৈশোর ও প্রৌঢ়ত্বের মধ্যবর্তী পর্যায়ের কাব্যচেতনার রূপান্তর হিসেবে গণ্য করা হয়।
0
Updated: 1 day ago