বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি কাকে বলা হয়?
A
কাজী নজরুল ইসলাম
B
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
C
বিহারীলাল চক্রবর্তী
D
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
উত্তরের বিবরণ
মাইকেল মধুসূদন দত্ত ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন মহাকবি, প্রথম আধুনিক নাট্যকার এবং সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক। তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী লেখক হিসেবেও পরিচিত।
-
জন্ম: ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি, যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে, এক জমিদার পরিবারে।
-
শিক্ষা: ১৮৩৩ সালে হিন্দু কলেজে ভর্তি হন, যেখানে বাংলা, সংস্কৃত ও ফারসি ভাষা শেখেন।
-
সাহিত্য জীবন: হিন্দু কলেজে অধ্যয়নের সময়েই তিনি কাব্যচর্চা শুরু করেন। তাঁর কবিতা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হতো, যেমন— জ্ঞানান্বেষণ, Bengal Spectator, Literary Gleamer, Calcutta Library Gazette, Literary Blossom, Comet।
-
ধর্মান্তর: ১৮৪৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯ বছর বয়সে খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করেন এবং তখন থেকে নামের পূর্বে ‘মাইকেল’ যুক্ত হয়।
-
মৃত্যু: স্ত্রী হেনরিয়েটার মৃত্যুর তিনদিন পর, ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন, কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
-
ব্রজাঙ্গনা কাব্য
-
মেঘনাদবধ কাব্য
-
বীরাঙ্গনা কাব্য
-
চতুর্দশপদী কবিতাবলী
0
Updated: 1 month ago
মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রথম কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
Created: 4 weeks ago
A
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
B
দ্য ক্যাপটিভ লেডি
C
মেঘনাদবধ কাব্য
D
শর্মিষ্ঠা
মাইকেল মধুসূদন দত্ত ছিলেন বাংলা সাহিত্যের এক যুগান্তকারী সাহিত্যিক, যিনি আধুনিক কাব্যধারার সূচনা করেন। তিনি একাধারে মহাকবি ও নাট্যকার হিসেবে খ্যাত। তাঁর জন্ম ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি, যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে, কপোতাক্ষ নদের তীরে। তিনি ছিলেন বাংলা সনেটের প্রবর্তক এবং অমিত্রাক্ষর ছন্দের জনক। প্রথমবার অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রয়োগ করেন তাঁর রচিত ‘পদ্মাবতী’ নাটকে। অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ হলো ‘তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য’, যা সম্পূর্ণভাবে এই ছন্দে লেখা। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ইংরেজি ভাষায় রচিত ‘The Captive Lady’।
তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মসমূহ:
নাটক:
-
শর্মিষ্ঠা
-
পদ্মাবতী
-
কৃষ্ণকুমারী
কাব্য:
-
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
-
মেঘনাদবধ কাব্য
-
ব্রজাঙ্গনা কাব্য
-
বীরাঙ্গনা কাব্য (পত্রকাব্য)
-
চতুর্দশপদী কবিতাবলী
প্রহসন:
-
একে কি বলে সভ্যতা
-
বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ
-
তাঁর ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহাকাব্য, যা রামায়ণের কাহিনিকে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপন করে।
-
তিনি ছিলেন ইউরোপীয় ধাঁচের শিক্ষা ও সাহিত্যরীতিতে শিক্ষিত প্রথম বাংলা কবি।
-
তাঁর রচনায় বীরত্ব, নায়কোচিত ট্র্যাজেডি, প্রেম ও মানবিক বোধের গভীর প্রকাশ দেখা যায়।
-
তিনি বাংলা সাহিত্যে পশ্চিমা সাহিত্যধারার সংমিশ্রণ ঘটিয়ে নবযুগের সূচনা করেন।
-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যকে আধুনিকতার দিগন্তে পৌঁছে দেন, যার প্রভাব পরবর্তীকালে রবীন্দ্রযুগ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
0
Updated: 4 weeks ago
মধুসূদন দত্ত রচিত 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতাটি কোন ধরনের?
Created: 1 week ago
A
গীতিধর্মী
B
আখ্যানমূলক
C
চতুর্দশপদী
D
অমিত্রাক্ষরা
মধুসূদন দত্তের ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতাটি বাংলা সাহিত্যে চতুর্দশপদী ছন্দে রচিত একটি কাব্যধর্মী কাব্য। চতুর্দশপদী হলো এমন একটি ছন্দধারার কাঠামো, যেখানে প্রতি পদে চতুর্দশ (১৪) মাত্রার ছন্দ থাকে। এই ধরনের কবিতা সাধারণত গদ্যতুল্য ছন্দে লিখিত হলেও কবিতার সুর ও তাল বজায় রাখে। মধুসূদন দত্তের এই রচনায় নদীর সৌন্দর্য, প্রকৃতির রূপ এবং স্থানীয় জীবনধারা চিত্রিত হয়েছে।
এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
-
ছন্দ ও বিন্যাস: চতুর্দশপদী ছন্দে প্রতিটি পদের ১৪ মাত্রা থাকে, যা কবিতার সুর ও ছন্দের সামঞ্জস্য নিশ্চিত করে।
-
প্রকৃতি ও স্থান বর্ণনা: ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় নদী, নদীর তীরের জীবন ও প্রকৃতির সৌন্দর্য চিত্রময়ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটি পাঠককে নদীর প্রাকৃতিক পরিবেশ ও গ্রামের জীবনধারার সঙ্গে পরিচয় করায়।
-
সাহিত্যিক গুণ: মধুসূদন দত্তের কবিতা সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা, যেখানে ছন্দ, উচ্চারণ এবং ভাবপ্রকাশ একত্রিতভাবে কাজ করে।
-
আখ্যানমূলক ও বর্ণনামূলক দিক: যদিও চতুর্দশপদী সাধারণত কবিতার ছন্দ ও সৌন্দর্য রক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়, এতে গল্পের আভাস বা স্থানীয় জীবনধারার বর্ণনা প্রায়শই মিশ্রিত থাকে।
-
বাংলা সাহিত্যে গুরুত্ব: চতুর্দশপদী ছন্দের কবিতা বাংলা সাহিত্যে প্রাচীন এবং আধুনিক কাব্যধারার সংযোগ স্থাপন করে। মধুসূদন দত্তের এই কবিতা সেই ধারার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।
সারসংক্ষেপে, মধুসূদন দত্তের ‘কপোতাক্ষ নদ’ একটি চতুর্দশপদী কবিতা, যা নদী, প্রকৃতি এবং স্থানীয় জীবনধারার সুন্দর বর্ণনা এবং ছন্দময় ভাষার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে প্রাঞ্জল ও সৌন্দর্যময় কাব্যধারা স্থাপন করেছে।
0
Updated: 1 week ago
মধুসূদন দত্ত রচিত ঐতিহাসিক নাটক কোনটি?
Created: 2 days ago
A
পদ্মবর্তী
B
শর্মিষ্ঠা
C
মায়াকানন
D
কৃষ্ণকুমারী
মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি ও নাট্যকার ছিলেন। তার লেখা ঐতিহাসিক নাটকগুলি বাংলা নাটকের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। মধুসূদন দত্তের সবচেয়ে বিখ্যাত ঐতিহাসিক নাটক হল কৃষ্ণকুমারী। এটি তার নাট্যকলার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে এবং বাংলা সাহিত্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত।
-
কৃষ্ণকুমারী নাটকটি মধুসূদন দত্তের রচিত একটি ঐতিহাসিক নাটক, যা ইতিহাস এবং রোমান্টিক উপাদানকে সুন্দরভাবে মিলিত করে।
-
নাটকটির পটভূমি রাজারাজী পরিবারের ক্ষমতা ও রাজনীতি নিয়ে। এটি একটি রোমান্টিক ও ঐতিহাসিক নাটক যা পারিবারিক, রাজনৈতিক এবং প্রেমের সম্পর্কের মধ্যে সংঘাত এবং মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তনকে তুলে ধরে।
-
নাটকটি মূলত ভারতের রাজস্থানের রাজা ও তার কন্যা কৃষ্ণকুমারীর জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত। এর মধ্যে পারিবারিক শত্রুতা, রাজনীতি এবং প্রেমের কাহিনী সমন্বিত।
-
মধুসূদন দত্ত এই নাটকের মাধ্যমে আধুনিক বাংলা নাটক তৈরির প্রয়াস চালান, যেখানে তিনি ঐতিহাসিক পটভূমি ও চরিত্রের মাধ্যমে সমাজের গভীর সমস্যাগুলো তুলে ধরেছেন।
-
মধুসূদন দত্তের নাটকগুলি বাংলা সাহিত্যকে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করেছে এবং তার এই নাটক বাংলা নাট্যকলার ইতিহাসে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এছাড়া, অন্য যেসব নাটক মধুসূদন দত্ত লিখেছেন, যেমন পদ্মবর্তী, শর্মিষ্ঠা, ও মায়াকানন, সেগুলোর মধ্যে ঐতিহাসিক নাটক হিসেবে কৃষ্ণকুমারী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
0
Updated: 2 days ago