উদারনৈতিক গণতন্ত্রে সাম্য বলতে কী বোঝায়?
A
নির্দিষ্ট জাতির অগ্রাধিকার
B
ধর্মভিত্তিক অধিকার
C
কেবল অর্থনৈতিক সাম্য
D
জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে সমান অধিকার
উত্তরের বিবরণ
সাম্যের ধারণা হলো এমন একটি নীতিগত ও সামাজিক ধারণা যা মানুষের সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করে। সাম্য শব্দটি প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন দার্শনিক ও রাজনৈতিক মতাদর্শে এর ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।
-
প্রাচীন গ্রীসের নগররাষ্ট্র প্রসঙ্গে প্লেটোর লেখনীতে সাম্যবাদের উল্লেখ আছে।
-
আধুনিক যুগে কার্ল মার্কস ব্যক্তিগত সম্পত্তি বিলোপ করে সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন।
-
ফরাসি বিপ্লবের মূল নীতি ছিল সাম্য, মৈত্রী ও ভ্রাতৃত্ব, যা বিপ্লবের মূল্য লক্ষ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
বর্তমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সাম্য বলতে বোঝায় মানুষের ব্যক্তিত্বের পূর্ণ বিকাশ সাধনের উপযোগী সুযোগ-সুবিধা সমানভাবে পাওয়া।
-
উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জাতি, ধর্ম, বর্ণ বা লিঙ্গ নির্বিশেষে সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়।
-
অধ্যাপক হ্যারল্ড লাস্কি অনুযায়ী, সকলের সামনে যথার্থ সুযোগ-সুবিধার দ্বার উন্মুক্ত রাখা সাম্য নিশ্চিত করে।
-
অর্থাৎ, সাম্য এমন একটি অবস্থা বা পরিবেশ যেখানে সকল নাগরিক সমান সুযোগ-সুবিধা লাভ করে এবং নিজের বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হয়।
0
Updated: 1 month ago
"স্বাধীনতা ও আইনের বিরোধ নেই" উক্তিটি করেন কে?
Created: 1 month ago
A
সক্রেটিস
B
এরিস্টটল
C
আর্নেস্ট বার্কার
D
লর্ড অ্যাকটন
সুশাসন এবং আইন ও স্বাধীনতার সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। আইন ও স্বাধীনতা একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত; একটির অস্তিত্ব ছাড়া অন্যটির কার্যকারিতা অর্ধেকমাত্রা পায়। তবে আইন সবসময় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সক্ষম নয়। শুধুমাত্র জনগণের জন্য এবং জনগণের দ্বারা প্রণীত আইনই প্রকৃত স্বাধীনতা রক্ষা করতে পারে। স্বেচ্ছাচারী বা স্বৈরাচারী কর্তৃক প্রণীত আইন, যেমন সামরিক আইন বা স্বৈরাচারী আইনের উদাহরণ, সবসময়ই স্বাধীনতা হ্রাস করে।
-
আর্নেস্ট বার্কারের মতে, "স্বাধীনতা ও আইনের মধ্যে বিরোধ নেই" (Liberty and law do not quarrel)।
-
জন অস্টিন বলেছেন, "আইন সার্বভৌম শাসকের আদেশ"।
-
এরিস্টটলের মতে, "আইন হলো আবেগহীন যুক্তি" বা "আইন হলো আবেগ বিবর্জিত যুক্তি"।
-
অধ্যাপক ডাইসি বলেন, "আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান"।
0
Updated: 1 month ago
'মত প্রকাশের স্বাধীনতা' কোনো ব্যক্তির কোন ধরনের স্বাধীনতার?
Created: 1 month ago
A
জাতীয় স্বাধীনতা
B
সামাজিক স্বাধীনতা
C
ব্যক্তিগত স্বাধীনতা
D
রাজনৈতিক স্বাধীনতা
একটি রাষ্ট্রে নাগরিকরা নানা ধরনের স্বাধীনতা উপভোগ করে, যা সময়, স্থান ও পরিস্থিতি অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। এই স্বাধীনতাগুলো মানুষের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনের প্রতিটি স্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
ব্যক্তিগত স্বাধীনতা: ধর্ম পালন ও মত প্রকাশের অধিকার এর অন্তর্ভুক্ত।
-
সামাজিক স্বাধীনতা: জীবনধারণ, সম্পত্তি ভোগ এবং সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ।
-
রাজনৈতিক স্বাধীনতা: ভোটার হওয়ার অধিকার, ভোট দেওয়া এবং রাজনৈতিক দল গঠনের সুযোগ।
-
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা: পেশা নির্বাচন ও জীবিকা নির্বাহের অধিকার।
-
জাতীয় স্বাধীনতা: একটি জাতির নিজস্ব পরিচয় ও স্বতন্ত্র অবস্থান প্রতিষ্ঠার সক্ষমতা।
-
পৌর স্বাধীনতা: জীবনের অধিকার, সম্পত্তির অধিকার এবং ধর্ম পালনের অধিকার।
0
Updated: 1 month ago
ই-গভর্ন্যান্সকে 'স্মার্ট গভর্নমেন্ট' বলে আখ্যায়িত করেছেন কে?
Created: 1 month ago
A
ইএম হোয়াইট
B
লরি পেইজ
C
নিখিলেস যাদব
D
চন্দ্রবাবু নাইডু
ই-গভর্নেন্স হল একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারি সেবা জনগণের কাছে সহজ, স্বচ্ছ এবং দ্রুত পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়। এর মাধ্যমে নাগরিকরা কম খরচে এবং ঝামেলাবিহীনভাবে ২৪ ঘণ্টা, সপ্তাহে সাত দিন সরকারি সেবা পেতে পারেন, ফলে শাসন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পায় এবং দুর্নীতি হ্রাস পায়। দেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাই ই-গভর্নেন্সের মূল লক্ষ্য, যা সব স্তরের মানুষের জন্য সরকারি সেবা পৌঁছানোর একটি কার্যকর জানালা খুলে দেয়।
-
E-Governance এর পূর্ণরূপ হলো Electronic Governance।
-
ই-গর্ভনেন্সের মাধ্যমে সরকারি সেবা নাগরিকদের কাছে সহজে এবং দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যায়।
-
নাগরিকরা স্বল্প ব্যয়ে, ঝামেলাবিহীনভাবে সপ্তাহে ৭ দিন, দিনে ২৪ ঘন্টা সরকারি সেবা গ্রহণ করতে পারেন।
-
ই-গভর্নেন্সের ফলে শাসন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বৃদ্ধি এবং দুর্নীতি হ্রাস পায়।
-
দেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাই ই-গভর্নেন্সের মূল উদ্দেশ্য।
-
এটি সর্বস্তরের মানুষের জন্য সরকারি সেবা পাওয়ার একটি জানালা উন্মোচন করে।
উল্লেখযোগ্য:
-
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু ই-গভর্নেন্সকে 'SMART Government' হিসেবে অভিহিত করেছেন।
-
তাঁর মতে SMART শব্দটির পূর্ণরূপ হলো: Simple, Moral, Accountable, Responsive, Transparent, অর্থাৎ সরকার যদি সহজ সরল, নৈতিক, জবাবদিহিমূলক, দ্রুত সাড়া প্রদানকারী এবং স্বচ্ছ হয়, তখনই তাকে SMART Governance বলা যায়।
0
Updated: 1 month ago