চাপসৃষ্টিকারী গোষ্টী কীসের ভিত্তিতে পরস্পর আবদ্ধ হন?
A
রাজনৈতিক ভিত্তিতে
B
সামাজিক ভিত্তিতে
C
স্বার্থের ভিত্তিতে
D
অর্থনৈতিক ভিত্তিতে
উত্তরের বিবরণ
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী এমন একধরনের সংগঠিত দল যারা একই ধরনের স্বার্থ ও মনোভাবের কারণে একত্রিত হয় এবং নিজেদের উদ্দেশ্য পূরণের জন্য রাজনৈতিক বা সামাজিক ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করতে সচেষ্ট থাকে। তারা সরাসরি সরকার পরিচালনার চেষ্টা করে না, বরং বিভিন্ন উপায়ে নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে কাজ করে।
-
সংজ্ঞা: চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী হলো এমন একটি দল যারা সমজাতীয় স্বার্থ ও মনোভাবের বন্ধনে আবদ্ধ এবং সেই স্বার্থ রক্ষার জন্য একত্রিত হয়।
-
অনেকের মতে, এদেরকে স্বার্থকামী গোষ্ঠী বলেও ডাকা হয় কারণ তাদের প্রধান লক্ষ্য নিজের স্বার্থ সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন।
-
আলফ্রেড গ্রজিয়ার ব্যাখ্যা অনুযায়ী, চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী হলো এমন এক সংগঠিত সামাজিক গোষ্ঠী যারা সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা না করে, বরং রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের আচরণ ও সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করার জন্য কাজ করে।
-
তারা সরাসরি শাসনক্ষমতায় অংশ না নিয়ে বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় নিজেদের মতাদর্শ ও দাবি প্রতিফলিত করতে চায়।
0
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোনটি চর্চা ব্যতীত সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়?
Created: 1 month ago
A
মূল্যবোধ শিক্ষা
B
সামাজিক প্রথা
C
প্রযুক্তিগত দক্ষতা
D
ধর্ম
সুশাসন ও মূল্যবোধ শিক্ষা পরস্পরের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য স্বচ্ছতা, ন্যায়পরায়ণতা, জবাবদিহিতা, মানবিকতা ও নৈতিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা মূল্যবোধ শিক্ষার মাধ্যমে অর্জিত হয়। মূল্যবোধ শিক্ষা ব্যক্তি ও সমাজকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে এবং ন্যায়পরায়ণ ও জবাবদিহিতামূলক শাসনের ভিত্তি গড়ে তোলে। তাই মূল্যবোধ শিক্ষার চর্চা ব্যতীত সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
-
অন্যান্য প্রেক্ষাপট:
-
ধর্ম মানুষের নৈতিকতা গঠনে সাহায্য করতে পারে, তবে এটি সুশাসনের একমাত্র পূর্বশর্ত নয়।
-
কিছু সামাজিক প্রথা সুশাসনের জন্য সহায়ক হলেও, অনেক ক্ষেত্রে এগুলো বৈষম্যের সৃষ্টি করতে পারে।
-
প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রশাসনিক বা কাজের দক্ষতা বাড়ায়, কিন্তু নৈতিকতা ও ন্যায়পরায়ণতা ব্যতীত সুশাসন নিশ্চিত করা যায় না।
-
0
Updated: 1 month ago
মানুষ জন্মের পর থেকেই কী শিখতে শুরু করে?
Created: 1 month ago
A
নৈতিকতা
B
সংস্কৃতি
C
মূল্যবোধ
D
নীতি
মূল্যবোধ
-
মূল্যবোধ নির্ধারিত হয় আচার-ব্যবহারের মাধ্যমে। অর্থাৎ মূল্যবোধের মাধ্যমে মানুষ ভুল ও শুদ্ধ, ভালো ও মন্দ পার্থক্য করতে পারে।
-
এটি হলো মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী মানদণ্ড ও নীতি।
-
শিক্ষার মাধ্যমে মূল্যবোধকে আরও সুদৃঢ় করা যায়।
-
মানুষ জন্মের পর থেকেই মূল্যবোধ শিক্ষা গ্রহণ শুরু করে, যা আমৃত্যু অব্যাহত থাকে।
-
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মূল্যবোধ শিক্ষার ধরণ ও প্রভাবেও পরিবর্তন আসে।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন প্রথমপত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।
0
Updated: 1 month ago
মূল্যবোধের উপাদান হিসেবে বিবেচ্য নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
পরশ্রীকাতরতা
B
নীতি ও ঔচিত্যবোধ
C
শৃঙ্খলাবোধ
D
নাগরিক চেতনা
মূল্যবোধ মানুষের আচরণকে নির্ধারণকারী নীতি ও মানদণ্ড। এটি সমাজে সঠিক ও ন্যায্য আচরণের মানদণ্ড স্থাপন করে এবং ব্যক্তির চরিত্র ও সামাজিক জীবনে দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
• মূল্যবোধ: মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড।
• মূল্যবোধের উপাদান:
-
নীতি ও ঔচিত্যবোধ
-
শৃঙ্খলাবোধ
-
আইনের শাসন
-
সহনশীলতা
-
শ্রমের মর্যাদা
-
সামাজিক ন্যায়বিচার
-
সহমর্মিতা
-
নাগরিক চেতনা
-
কর্তব্যবোধ
0
Updated: 1 month ago