বিখ্যাত গ্রন্থ ’Utilitarianism’ এর লেখক-
A
এরিস্টটল
B
সক্রেটিস
C
জন স্টুয়ার্ট মিল
D
কার্ল মার্কস
উত্তরের বিবরণ
জন স্টুয়ার্ট মিল ছিলেন উনবিংশ শতকের একজন প্রভাবশালী ইংরেজ দার্শনিক ও অর্থনীতিবিদ, যিনি উপযোগবাদ বা Utilitarianism মতবাদের অন্যতম প্রধান প্রবক্তা। তার রচনায় স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের গুরুত্ব স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে। বিশেষ করে On Liberty গ্রন্থে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে মানুষের মৌলিক শক্তির বলিষ্ঠ, অব্যাহত ও বিভিন্নমুখী প্রকাশই প্রকৃত স্বাধীনতা।
মূল তথ্যসমূহ
-
জন স্টুয়ার্ট মিল একজন ইংরেজ দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ এবং উপযোগবাদী চিন্তার পথিকৃৎ।
-
তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ: Considerations on Representative Government, Examination of Sir William Hamilton's Philosophy, On Liberty, Principles of Political Economy, The Subjection of Women, এবং Utilitarianism।
-
বিখ্যাত অন্যান্য দার্শনিকদের গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ:
-
কার্ল মার্কস: Das Capital
-
প্লেটো: The Republic
-
জন লক: An Essay Concerning Human Understanding, Two Treatises of Government
-
0
Updated: 1 month ago
'আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান'-উক্তিটি কে করেছেন?
Created: 1 month ago
A
অধ্যাপক ডাইসি
B
অধ্যাপক স্পেন্সার
C
আব্রাহাম লিংকন
D
আর্থার কিং লুথার
অধ্যাপক ডাইসি আইনের শাসন এবং সমতার মূল তত্ত্বকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি প্রকাশ করেছেন যে আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান এবং এটি সমাজে ন্যায়, শৃঙ্খলা ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় অপরিহার্য। তাঁর কাজ এবং তত্ত্বগুলি রাষ্ট্র পরিচালনা ও নাগরিক জীবনের বিভিন্ন দিককে প্রভাবিত করে।
-
আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান – এই উক্তিটি অধ্যাপক ডাইসি করেন।
-
আইনের শাসনের মূল তত্ত্ব – ছোট-বড়, ধনী-দরিদ্র, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আইনের চোখে সবার সমতা।
-
আইনের উপরে কেউ নেই – রাষ্ট্রের প্রত্যেক ব্যক্তির পদমর্যাদা, সামাজিক প্রতিপত্তি বা কার্যক্রম সাধারণ আইন ও আদালতের বিচারাধীন।
-
প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও আইনের অধীনে – সাধারণ নাগরিকের মতোই তারা আইন মান্য করবে এবং লঙ্ঘন করলে শাস্তি ভোগ করবে।
-
সাম্য ও স্বাধীনতার অধিকার নিশ্চিতকরণ – এইভাবে জনগণের কাছে ন্যায় ও সমতার অধিকার পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।
-
আইনের উৎস হিসেবে গ্রন্থ – রাষ্ট্র পরিচালনা বিষয়ে লিখিত বিখ্যাত গ্রন্থগুলোর মধ্যে অধ্যাপক ডাইসির "Law of the Constitution" উল্লেখযোগ্য।
উল্লেখযোগ্য বিষয়সমূহ:
-
আইন – মানবজাতির বৃহত্তর কল্যাণে মানুষের আচরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য রাষ্ট্র যে বিধি-নিষেধ প্রণয়ন করে, সেগুলোকে আইন বলা হয়।
-
আইনের শাসন – আইনের দৃষ্টিতে সকল নাগরিকের সমতা নিশ্চিত করা।
-
আইনের শাসনের প্রভাব – সমাজ থেকে অন্যায়, বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য দূর হয়।
-
আইনের অভাবে – সবল-দুর্বল, ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান বেড়ে যায়।
0
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোনটি মূল্যবোধ গঠনের মাধ্যম নয়?
Created: 1 month ago
A
পরিবার
B
সভা
C
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
D
সমাজ
মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড, যা মানুষের ভিতরের নৈতিক গুণাবলী প্রকাশ করে। মানুষের আচরণ তার নৈতিক গুণাবলী বা মূল্যবোধের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
-
মানুষ পরিবার, বিদ্যালয় ও সমাজ থেকে মূল্যবোধের শিক্ষা গ্রহণ করে।
-
মানুষের নৈতিক জীবন ও নৈতিকতার মূল ভিত্তি হলো পরিবার থেকে গড়ে ওঠা মূল্যবোধ।
-
জীবনের অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষ যে নৈতিক মূল্যবোধ লালন ও অনুসরণ করে, তার উৎস মূলত পরিবার।
-
উল্লেখযোগ্য, সভা বা সমাবেশ মূল্যবোধ গঠনের মাধ্যম নয়।
0
Updated: 1 month ago
ম্যাককরনী সুশাসন বলতে কোন সম্পর্ককে বোঝান নি?
Created: 1 month ago
A
সরকারের সাথে বিরোধীদলের
B
শাসকের সাথে শাসিতের
C
রাষ্ট্রের সাথে সুশীল সমাজের
D
সরকারের সাথে শাসিত জনগণের
সুশাসন হলো একটি বহুমাত্রিক ধারণা, যা রাজনৈতিক ব্যবস্থায় শাসনের কার্যকরী ব্যবস্থা বোঝায়। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ, ক্ষেত্র ও প্রেক্ষাপট থেকে গভর্নেন্স শব্দের ব্যাখ্যা করা হয়েছে। 'সুশাসন' ধারণার মূল লক্ষ্য হলো রাষ্ট্র ও জনগণ, সরকার ও বিরোধী পক্ষ, শাসক ও শাসিতের মধ্যে সম্পর্কের সুষ্ঠু সমন্বয় নিশ্চিত করা।
-
ম্যাককরনী (Mac Corney) বলেছেন, সুশাসন বলতে রাষ্ট্রের সাথে সুশীল সমাজের, সরকারের সাথে শাসিত জনগণের, শাসকের সাথে শাসিতের সম্পর্ক বোঝায়, তবে তিনি সরকারের সঙ্গে বিরোধীদলের সম্পর্ককে সুশাসনের অংশ হিসেবে দেখাননি।
-
'গভর্নেন্স' বা 'শাসন ব্যবস্থা'-এর সাথে 'সু' প্রত্যয় যোগ করে গঠিত হয়েছে সুশাসন (Good Governance) শব্দটি। এর অর্থ হলো নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী শাসন।
-
সুশাসনকে একক কোনো ধারণার মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত করা যায় না, কারণ এটি বহুমাত্রিক। বিভিন্ন তাত্ত্বিক, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দাতা সংস্থা সুশাসনের সংজ্ঞা বা ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন।
-
সুশাসন ধারণাটি বিশ্বব্যাংকের উদ্ভাবিত এবং ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষায় প্রথমবার Good Governance শব্দটি ব্যবহৃত হয়।
-
সমীক্ষায় বলা হয়, উন্নয়নশীল দেশের অনুন্নয়নের কারণ হলো সুশাসনের অভাব।
-
মোটকথা, যদি প্রশাসনে জবাবদিহিতা (Accountability), বৈধতা (Legitimacy), স্বচ্ছতা (Transparency) থাকে, অংশগ্রহণের সুযোগ উন্মুক্ত থাকে, বাকস্বাধীনতা ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা সুরক্ষিত হয়, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বজায় থাকে, আইনের শাসন (Rule of law) এবং আইনসভার নিকট শাসন বিভাগের দায়িত্বশীলতা কার্যকর থাকে, তাহলে সেই শাসনকে সুশাসন (Good Governance) বলা যায়।
0
Updated: 1 month ago