আধুনিক পরানীতিবিদ্যার প্রবর্তক কে?
A
জি. ই. ম্যুর
B
ইমানুয়েল কান্ট
C
জন স্টুয়ার্ট মিল
D
হল্যান্ড
উত্তরের বিবরণ
পরানীতিবিদ্যা মূলত নৈতিকতার গভীর বিশ্লেষণ যেখানে নৈতিক ভাষা, ধারণা ও যুক্তির অর্থ বোঝার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এটি নৈতিক মতবাদের একটি শাখা, যা নীতির অর্থ ও ব্যাখ্যা নির্ধারণে কাজ করে এবং নৈতিক চিন্তার ভিত্তিকে স্পষ্ট করতে সহায়তা করে।
-
অর্থ ও ধারণা: বিভিন্ন নৈতিক উক্তি, পদ ও অবধারণের যৌক্তিকতা নিরূপণ এবং নৈতিক ভাষার অর্থ বিশ্লেষণই পরানীতিবিদ্যার মূল কাজ।
-
শব্দের উৎস: ইংরেজি Meta-Ethics শব্দের আক্ষরিক অর্থই হলো পরানীতিবিদ্যা।
-
প্রধান বিষয়: নৈতিক পদ, অবধারণ এবং নৈতিক ভাষার অর্থ ও যুক্তি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
অন্য নীতিবিদ্যার ধরন:
-
মানমূলক নীতিবিদ্যা আমাদের আচরণের ভাল ও মন্দ নির্ধারণে বিভিন্ন মানদণ্ড বা আদর্শ ব্যবহার করে।
-
ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা বাস্তব জীবনের চলমান সমস্যাকে নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করে।
-
বর্ণনামূলক নীতিবিদ্যা অভিজ্ঞতা ও বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে রচিত, যার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো বিবর্তনবাদী নীতিবিদ্যা।
-
-
প্রবর্তক: ব্রিটিশ দার্শনিক জি. ই. ম্যূর আধুনিক পরানীতিবিদ্যার প্রবর্তক হিসেবে পরিচিত।
-
গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ: তিনি ১৯০৩ সালে প্রকাশিত Principia Ethica বইয়ে পরানীতিবিদ্যার ভিত্তি স্থাপন করেন।
-
ম্যূরের দৃষ্টিভঙ্গি: তার মতে, শুভের প্রতি অনুরাগ ও অশুভের প্রতি বিরাগই নৈতিকতার আসল সারমর্ম।
0
Updated: 1 month ago
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের কর্তব্য হলো-
Created: 1 month ago
A
অধিকার ভোগ
B
সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা
C
ব্যবসা-বাণিজ্য করা
D
মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকদের বিভিন্ন কর্তব্য রয়েছে যা সমাজ ও দেশের সুস্থ পরিচালনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নাগরিকরা তাদের দায়িত্ব পালন করলে সুশাসন ও সমাজের শান্তি নিশ্চিত হয়।
-
সামাজিক দায়িত্ব পালন করা
-
নিয়মিত কর প্রদান করা
-
আইন মান্য করা
-
সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা
-
সন্তানদের শিক্ষাদান করা
-
জাতীয় সম্পদ রক্ষা করা
-
আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করা
-
সংবিধান মেনে চলা
0
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোনটি মূল্যবোধ গঠনের মাধ্যম নয়?
Created: 1 month ago
A
পরিবার
B
সভা
C
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
D
সমাজ
মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড, যা মানুষের ভিতরের নৈতিক গুণাবলী প্রকাশ করে। মানুষের আচরণ তার নৈতিক গুণাবলী বা মূল্যবোধের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
-
মানুষ পরিবার, বিদ্যালয় ও সমাজ থেকে মূল্যবোধের শিক্ষা গ্রহণ করে।
-
মানুষের নৈতিক জীবন ও নৈতিকতার মূল ভিত্তি হলো পরিবার থেকে গড়ে ওঠা মূল্যবোধ।
-
জীবনের অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষ যে নৈতিক মূল্যবোধ লালন ও অনুসরণ করে, তার উৎস মূলত পরিবার।
-
উল্লেখযোগ্য, সভা বা সমাবেশ মূল্যবোধ গঠনের মাধ্যম নয়।
0
Updated: 1 month ago
বিশ্বব্যাংকের মতে সুশাসনের কতটি স্তম্ভ?
Created: 1 month ago
A
৩টি
B
৪টি
C
৫টি
D
৬টি
সুশাসন আজকের বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় ধারণা, যা সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি মূলত সরকার বা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর, ন্যায়সংগত ও দায়িত্বশীলভাবে পরিচালনার প্রক্রিয়া বোঝায়।
-
সুশাসনের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো ‘Good Governance’।
-
সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে সুশাসন।
-
১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো সুশাসন সম্পর্কিত ধারণা ব্যবহৃত হয়।
-
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের চারটি মূল স্তম্ভ ঘোষণা করে, যা হলো:
-
দায়িত্বশীলতা
-
স্বচ্ছতা
-
আইনী কাঠামো
-
অংশগ্রহণ
-
0
Updated: 1 month ago