"আইন ও নৈতিকতার মাঝে নিবিড় সম্পর্ক বিরাজমান।” মন্তব্যটি করেছেন কে?
A
গেটেল
B
ইমানুয়েল কান্ট
C
হ্যান্স কেলসেন
D
হ্যারবার্ট স্পেনসার
উত্তরের বিবরণ
নৈতিকতার ধারণা হলো ব্যক্তিগত এবং মানসিক বিষয়, যা মানুষকে ভালো-মন্দ, উচিত-অনুচিত, সৎ-অসৎ ইত্যাদি বিচারের জন্য নির্দেশনা দেয়। পৃথিবীতে ভালো-মন্দ যাচাই করার কোন চিরন্তন মানদণ্ড না থাকায়, একজনের কাছে যা ভালো মনে হয়, তা অন্যজনের কাছে খারাপ হতে পারে। তবে বিভিন্ন সমাজে ভালো-মন্দের একটি গড়পড়তা মানদণ্ড প্রায় একই রকম থাকে।
-
সততা, সৌজন্যমূলক আচরণ, সদাচার, প্রতিশ্রুতি রক্ষা—এই গুণসম্পন্ন ব্যক্তিকে সব সমাজই নৈতিক ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করে।
-
এমন ব্যক্তি সমাজ বা রাষ্ট্রের জন্য কোন বিষয় ভালো বা মন্দ তা নির্ণয় করতে সক্ষম।
-
ভালো ও মন্দের পার্থক্য বোঝার ক্ষমতাই ব্যক্তির নৈতিকতা।
আইন ও নৈতিকতার সুসম্পর্ক
-
উভয়েরই উদ্দেশ্য হল সৎ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ সমাজ ও দেশ গঠন।
-
আইন মানুষকে সৎ, যুক্তিসংগত ও নিয়মমাফিক আচরণে বাধ্য করে।
-
সাধারণত সমাজে যা আইনবিরোধী, তা নীতিবিরোধীও হয়। উদাহরণস্বরূপ, প্রতারণা নৈতিকভাবে ভুল এবং আইনগতভাবে অপরাধ। বাংলাদেশে কেউ প্রতারণা করলে ফৌজদারী কার্যবিধির ৪২০ ধারায় মামলা করা যায়।
-
এই প্রেক্ষাপট থেকে অধ্যাপক আর জি গেটেল বলেন, "আইন ও নৈতিকতার মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক বিরাজমান।"

0
Updated: 21 hours ago
সামাজিক চুক্তি মতবাদের প্রবর্তক কারা ছিলেন?
Created: 1 week ago
A
প্লেটো, এরিস্টটল, সিসারো
B
মেকিয়াভেলি, মন্টেস্কু, কান্ট
C
সক্রেটিস, এরিস্টটল, সেন্ট অগাস্টিন
D
হবস্, লক ও রুশো
সামাজিক চুক্তি মতবাদ
-
এ মতবাদের মূলকথা হলো—সমাজে বসবাসকারী জনগণের পারস্পরিক চুক্তির ফলে রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে।
-
ব্রিটিশ রাষ্ট্রদার্শনিক টমাস হবস্ ও জন লক এবং ফরাসি দার্শনিক জ্যাঁ জ্যাক রুশো সামাজিক চুক্তি মতবাদের প্রবর্তক ছিলেন।
-
এ মতবাদ অনুযায়ী, রাষ্ট্র সৃষ্টির পূর্বে মানুষ প্রকৃতির রাজ্যে বসবাস করত।
-
তারা প্রকৃতির নিয়ম মেনে চলত এবং প্রাকৃতিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করত।
-
কিন্তু প্রকৃতির রাজ্যে আইন অমান্য করলে শাস্তি দেওয়ার কোনো কর্তৃপক্ষ ছিল না।
-
ফলে সামাজিক জীবনে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
-
মানুষ হয়ে উঠে স্বার্থপর ও আত্মকেন্দ্রিক; দুর্বলের উপর চলে সবলের অত্যাচার।
-
এ কারণে মানুষের জীবন কষ্টকর ও দুর্বিষহ হয়ে উঠে।
-
এছাড়া, প্রকৃতির রাজ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যক্তিগত সম্পত্তির আকাঙ্ক্ষা ও প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
-
প্রকৃতির রাজ্যের এ অরাজকতাপূর্ণ অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষ নিজেদের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্র সৃষ্টি করে এবং নিরাপত্তার বিনিময়ে নিজেদের উপর শাসন করার জন্য স্থায়ীভাবে শাসকের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করে।
উৎস: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম ও দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago
“সততার সাথে ভোট দান” কোন ধরনের কর্তব্য?
Created: 1 week ago
A
আইনগত কর্তব্য
B
সামাজিক কর্তব্য
C
রাজনৈতিক কর্তব্য
D
নৈতিক কর্তব্য
কর্তব্যের শ্রেণিবিভাগ
নাগরিকদের অধিকার ভোগের সঙ্গে যুক্ত যে দায়িত্বগুলো পালন করা হয়, তা কর্তব্য বলে। নাগরিকের কর্তব্যকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা যায়:
-
নৈতিক কর্তব্য
-
নৈতিক কর্তব্য মানুষের বিবেক এবং সামাজিক নৈতিকতা বা ন্যায়বোধ থেকে উদ্ভূত হয়।
-
উদাহরণ:
-
নিজেকে শিক্ষিত করা এবং সন্তানদের শিক্ষিত করা
-
সততার সঙ্গে ভোট প্রদান
-
রাষ্ট্রের সেবা করা
-
বিশ্বমানবতার সহায়তায় এগিয়ে আসা
-
-
যেহেতু এসব কর্তব্য নাগরিকদের বিবেক ও ন্যায়বোধ থেকে আসে, এগুলোকে নৈতিক কর্তব্য বলা হয়।
-
-
আইনগত কর্তব্য
-
রাষ্ট্রের আইন দ্বারা আরোপিত কর্তব্যকে আইনগত কর্তব্য বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন
-
আইন মেনে চলা
-
নিয়মিত কর প্রদান
-
-
এসব কর্তব্য রাষ্ট্রের আইন দ্বারা স্বীকৃত, এবং পালন না করলে শাস্তি দেওয়া হয়।
-
আইনগত কর্তব্য রাষ্ট্র ও নাগরিকের কল্যাণ নিশ্চিত করতে অপরিহার্য।
-
উৎস: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম ও দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 week ago
নৈতিকতা কী ধরনের বিষয়?
Created: 1 week ago
A
শারীরিক বিষয়
B
অর্থনৈতিক বিষয়
C
মানসিক বিষয়
D
রাজনৈতিক বিষয়
নৈতিকতা
-
নৈতিকতা হলো মানুষের অন্তর্নিহিত ধ্যান-ধারণার সমষ্টি।
-
নৈতিকতার উদ্ভব মানুষের বিবেকবোধ থেকে।
-
এটি একটি মানসিক বিষয়।
-
নৈতিকতার উপর রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব আরোপিত নয়। অর্থাৎ নৈতিকতা লঙ্ঘনকারীকে রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় আইন শাস্তি প্রদান করতে পারে না।
-
বিবেকের দংশনই নৈতিকতার সবচেয়ে বড় রক্ষাকবচ।
-
মানুষের আচরণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার মাধ্যমে মানুষের কল্যাণ সাধনই নৈতিকতার লক্ষ্য।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন (প্রথম পত্র), একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 week ago