মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড হলো -
A
আইন ও বিধান
B
মূল্যবোধ
C
ধর্মীয় নির্দেশনা
D
শিক্ষাগত প্রভাব
উত্তরের বিবরণ
মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড, যা ব্যক্তির নৈতিক ও সামাজিক সিদ্ধান্ত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি স্থায়ী নয়, বরং পরিবর্তনশীল, এবং জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে নতুন অভিজ্ঞতা ও শিক্ষার মাধ্যমে বিকশিত হয়।
-
মূল্যবোধের প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র হলো পরিবার, যেখানে শিশু তার প্রথম নৈতিক শিক্ষা অর্জন করে।
-
প্রাতিষ্ঠানিক উৎস হলো শিক্ষালয়, যা শিশু ও কিশোরদের নৈতিক ও সামাজিক আচরণের দিক নির্দেশনা প্রদান করে।
-
মূল্যবোধ হলো মানুষের চিন্তাভাবনা, আশা-আকাঙ্খা, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এবং এর মাধ্যমে তার সামগ্রিক আচরণ ও কার্যাবলী নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়।
-
শিষ্টাচার, সততা, ন্যায়বিচার, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, শৃঙ্খলাবোধ এবং মানবিক সুবিবেচিত আচরণ—এই সকল গুণাবলির সমষ্টিই মূল্যবোধ।

0
Updated: 21 hours ago
“সততার সাথে ভোট দান” কোন ধরনের কর্তব্য?
Created: 1 week ago
A
আইনগত কর্তব্য
B
সামাজিক কর্তব্য
C
রাজনৈতিক কর্তব্য
D
নৈতিক কর্তব্য
কর্তব্যের শ্রেণিবিভাগ
নাগরিকদের অধিকার ভোগের সঙ্গে যুক্ত যে দায়িত্বগুলো পালন করা হয়, তা কর্তব্য বলে। নাগরিকের কর্তব্যকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা যায়:
-
নৈতিক কর্তব্য
-
নৈতিক কর্তব্য মানুষের বিবেক এবং সামাজিক নৈতিকতা বা ন্যায়বোধ থেকে উদ্ভূত হয়।
-
উদাহরণ:
-
নিজেকে শিক্ষিত করা এবং সন্তানদের শিক্ষিত করা
-
সততার সঙ্গে ভোট প্রদান
-
রাষ্ট্রের সেবা করা
-
বিশ্বমানবতার সহায়তায় এগিয়ে আসা
-
-
যেহেতু এসব কর্তব্য নাগরিকদের বিবেক ও ন্যায়বোধ থেকে আসে, এগুলোকে নৈতিক কর্তব্য বলা হয়।
-
-
আইনগত কর্তব্য
-
রাষ্ট্রের আইন দ্বারা আরোপিত কর্তব্যকে আইনগত কর্তব্য বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন
-
আইন মেনে চলা
-
নিয়মিত কর প্রদান
-
-
এসব কর্তব্য রাষ্ট্রের আইন দ্বারা স্বীকৃত, এবং পালন না করলে শাস্তি দেওয়া হয়।
-
আইনগত কর্তব্য রাষ্ট্র ও নাগরিকের কল্যাণ নিশ্চিত করতে অপরিহার্য।
-
উৎস: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম ও দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 week ago
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের কর্তব্য হলো-
Created: 3 days ago
A
অধিকার ভোগ
B
সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা
C
ব্যবসা-বাণিজ্য করা
D
মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকদের বিভিন্ন কর্তব্য রয়েছে যা সমাজ ও দেশের সুস্থ পরিচালনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নাগরিকরা তাদের দায়িত্ব পালন করলে সুশাসন ও সমাজের শান্তি নিশ্চিত হয়।
-
সামাজিক দায়িত্ব পালন করা
-
নিয়মিত কর প্রদান করা
-
আইন মান্য করা
-
সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা
-
সন্তানদের শিক্ষাদান করা
-
জাতীয় সম্পদ রক্ষা করা
-
আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করা
-
সংবিধান মেনে চলা

0
Updated: 3 days ago
আধুনিক পরানীতিবিদ্যার প্রবর্তক কে?
Created: 21 hours ago
A
জি. ই. ম্যুর
B
ইমানুয়েল কান্ট
C
জন স্টুয়ার্ট মিল
D
হল্যান্ড
পরানীতিবিদ্যা মূলত নৈতিকতার গভীর বিশ্লেষণ যেখানে নৈতিক ভাষা, ধারণা ও যুক্তির অর্থ বোঝার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এটি নৈতিক মতবাদের একটি শাখা, যা নীতির অর্থ ও ব্যাখ্যা নির্ধারণে কাজ করে এবং নৈতিক চিন্তার ভিত্তিকে স্পষ্ট করতে সহায়তা করে।
-
অর্থ ও ধারণা: বিভিন্ন নৈতিক উক্তি, পদ ও অবধারণের যৌক্তিকতা নিরূপণ এবং নৈতিক ভাষার অর্থ বিশ্লেষণই পরানীতিবিদ্যার মূল কাজ।
-
শব্দের উৎস: ইংরেজি Meta-Ethics শব্দের আক্ষরিক অর্থই হলো পরানীতিবিদ্যা।
-
প্রধান বিষয়: নৈতিক পদ, অবধারণ এবং নৈতিক ভাষার অর্থ ও যুক্তি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
অন্য নীতিবিদ্যার ধরন:
-
মানমূলক নীতিবিদ্যা আমাদের আচরণের ভাল ও মন্দ নির্ধারণে বিভিন্ন মানদণ্ড বা আদর্শ ব্যবহার করে।
-
ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা বাস্তব জীবনের চলমান সমস্যাকে নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করে।
-
বর্ণনামূলক নীতিবিদ্যা অভিজ্ঞতা ও বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে রচিত, যার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো বিবর্তনবাদী নীতিবিদ্যা।
-
-
প্রবর্তক: ব্রিটিশ দার্শনিক জি. ই. ম্যূর আধুনিক পরানীতিবিদ্যার প্রবর্তক হিসেবে পরিচিত।
-
গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ: তিনি ১৯০৩ সালে প্রকাশিত Principia Ethica বইয়ে পরানীতিবিদ্যার ভিত্তি স্থাপন করেন।
-
ম্যূরের দৃষ্টিভঙ্গি: তার মতে, শুভের প্রতি অনুরাগ ও অশুভের প্রতি বিরাগই নৈতিকতার আসল সারমর্ম।

0
Updated: 21 hours ago