নিচের কোনটি সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বাধা হিসেবে কাজ করে না?
A
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অভাব
B
আমলাতন্ত্রের অদক্ষতা
C
দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা
D
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন হলো একটি আপেক্ষিক ও বহুমাত্রিক ধারণা, যার অর্থ নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী শাসন। এই ধারণাটির উদ্ভাবক হলো বিশ্বব্যাংক, এবং ১৯৮৯ সালে প্রথমবারের মতো তারা Good Governance শব্দটি ব্যবহার করেন। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বারবার কোনাবল এই শব্দের ব্যবহার করেছেন।
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বাধাস্বরূপ প্রধান সমস্যাগুলো হলো—
→ বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ
→ সহিংসতা
→ জবাবদিহিতার অভাব
→ আমলাতন্ত্রের অদক্ষতা
→ আইনের শাসনের অভাব
→ অকার্যকর জাতীয় সংসদ
→ দারিদ্র্য
→ স্থানীয় সরকার কাঠামোর দুর্বলতা
→ জনসচেতনতার অভাব
→ সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার অভাব
→ সরকারের অদক্ষতা
→ দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা
→ রাজনৈতিক অঙ্গীকারের অভাব
→ পরমতসহিষ্ণুতার অভাব
→ সামরিক হস্তক্ষেপ
→ স্বজনপ্রীতি
→ বিচার বিভাগের পরাধীনতা
→ জনঅংশগ্রহণের অভাব
→ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অভাব

0
Updated: 21 hours ago
কোনটি মানুষকে সুকুমার বৃত্তি অনুশীলনে অনুপ্রাণিত করে?
Created: 3 days ago
A
সামাজিক দায়িত্ব
B
শুদ্ধাচার
C
আধ্যাত্মিকতা
D
নৈতিকতা
• নৈতিকতা:
- নৈতিকতার ইংরেজি প্রতিশব্দ 'Morality'।
- ইংরেজি Morality শব্দটি এসেছে ল্যাটিন 'Moralitas' থেকে, যার অর্থ 'সঠিক আচরণ বা চরিত্র'।
- গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস, প্লেটো এবং এরিস্টটল সর্বপ্রথম নৈতিকতার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।
উল্লেখ্য,
- নৈতিকতা হলো মানুষের অন্তর্নিহিত ধ্যান-ধারণার সমষ্টি যা মানুষকে সুকুমার বৃত্তি অনুশীলনে অনুপ্রাণিত করে।
- নৈতিকতা বা ন্যায়বোধ মানসিক বিষয়।
- এটি হলো মানবমনের উচ্চ গুণাবলি।
- নৈতিকতা বা নীতিবোধ একান্তভাবেই মানুষের হৃদয়-মন থেকে উৎসারিত। নৈতিকতা বা নীতিবোধের বিকাশ ঘটে মানুষের ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ, উচিত-অনুচিত বোধ বা অনুভূতি থেকে।
- সক্রেটিস বলেছেন, 'সৎ গুণই জ্ঞান' (Virtue is knowledge)। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিরা অন্যায় করতে পারেন না এবং ন্যায় বোধের উৎস হচ্ছে 'জ্ঞান' (knowledge) এবং অন্যায়বোধের উৎস হচ্ছে 'অজ্ঞতা' (ignorance)।

0
Updated: 3 days ago
সুশাসন নিয়ে 'White paper' বা 'শ্বেতপত্র' প্রকাশ করে-
Created: 1 week ago
A
World Bank
B
International Monetary Fund
C
Islamic Development Bank
D
European Economic Community
শ্বেতপত্র (White paper)
-
কোন একটি দেশের পার্লামেন্ট বা জাতীয় পরিষদ কর্তৃক প্রকাশিত দলিলকে শ্বেতপত্র বলা হয়
-
এটি কোনো বিশেষ বিষয়ে জনগণ বা পার্লামেন্টকে অবহিত করার জন্য সরকারি বিবরণী হিসেবে প্রকাশিত হয়
-
একই ধরনের প্রথা অন্য গণতান্ত্রিক দেশে যেমন অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায়ও প্রচলিত রয়েছে
-
নতুন আইন প্রণয়ন বা কোনো সংস্কারমূলক পদক্ষেপ চূড়ান্ত করার পূর্বেও শ্বেতপত্র জারী করা হতে পারে
-
ইউরোপীয় ইউনিয়নও বিভিন্ন বিষয়ে শ্বেতপত্র জারী করে
-
শ্বেতপত্র জারী করার প্রথা বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধেও দেখা গেছে
সুশাসন ও শ্বেতপত্র:
-
সুশাসন সংক্রান্ত বিষয়ে White paper বা শ্বেতপত্র প্রকাশ করে European Economic Community
উৎস: European Economic Community

0
Updated: 1 week ago
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করা হয় কত সালে?
Created: 3 days ago
A
২০০৮ সালে
B
২০১০ সালে
C
২০১২ সালে
D
২০১৩ সালে
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল হলো এমন একটি নীতি ও পরিকল্পনা যা সমাজ ও রাষ্ট্রে নৈতিকতা ও সততা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। এটি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান উভয় পর্যায়ে শুদ্ধাচারের মানদণ্ড প্রচলনের জন্য প্রণীত।
-
শুদ্ধাচার বলতে সাধারণভাবে নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষ বোঝানো হয়। এটি সমাজের প্রথা, নীতি ও মানদণ্ডের প্রতি আনুগত্যকেও নির্দেশ করে। ব্যক্তি পর্যায়ে এর অর্থ হল কর্তব্যনিষ্ঠা ও চরিত্রনিষ্ঠা। এই দলিলে শুদ্ধাচারের এই সংজ্ঞা গ্রহণ করা হয়েছে।
-
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করেছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে।
-
কৌশলের মূল লক্ষ্য হলো শুদ্ধাচার চর্চা ও দুর্নীতি প্রতিরোধের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।
-
কৌশলে উল্লেখ করা হয়েছে যে রাষ্ট্র ও সমাজে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা সরকারের সাংবিধানিক ও আইনগত স্থায়ী দায়িত্ব, এবং সরকারকে অব্যাহতভাবে এই লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
উল্লেখযোগ্য বিষয়:
-
রূপকল্প: সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা
-
অভিলক্ষ্য: রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা

0
Updated: 3 days ago