কোনটির মাধ্যমে মূল্যবোধ সুদৃঢ় হয়?
A
জ্ঞানার্জন
B
আইন কানুন
C
স্বাধীনতা
D
গণতন্ত্র
উত্তরের বিবরণ
মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড। এটি সমাজে প্রচলিত রীতিনীতি, প্রথা, আদর্শ ইত্যাদির বিকাশের মাধ্যমে গঠিত হয় এবং মানুষের আচরণের সামাজিক মাপকাঠি হিসেবে কাজ করে। মূল্যবোধ সমাজ ও রাষ্ট্রের ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয় এবং একটি দেশের সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উৎকর্ষের অন্যতম মাপকাঠি হিসেবে ভূমিকা রাখে।
-
মূল্যবোধ হলো রীতিনীতি ও আদর্শের মাপকাঠি, যা মানুষের আচরণকে নৈতিক ও সামাজিকভাবে সুশৃঙ্খল রাখে।
-
এটি সমাজ ও রাষ্ট্রের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে এবং ব্যক্তি ও সমাজের আচরণকে গঠনমূলক নির্দেশনা দেয়।
-
মূল্যবোধ মানব আচরণের সামাজিক মাপকাঠি হিসেবে বিবেচিত।
শিক্ষা এবং মূল্যবোধ
-
জ্ঞানার্জন ও শিক্ষার মাধ্যমে মূল্যবোধ সুদৃঢ় হয়।
-
শিক্ষা সমাজের বিভিন্ন স্তরে মূল্যবোধের প্রসার ঘটায় এবং মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করে।
-
শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন নৈতিকতা, ন্যায়নীতি ও সামাজিক মূল্যবোধ সম্পর্কে জানতে পারে।
0
Updated: 1 month ago
ইউএনডিপি ও এডিবির মতে সুশাসনের উপাদান কতটি?
Created: 1 month ago
A
৯টি ও ৮টি
B
৯টি ও ৪টি
C
৭টি ও ৬টি
D
৮টি ও ৭টি
সুশাসনের ধারণা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেছে। ফলে সুশাসনের উপাদানের সংখ্যা ও গুরুত্ব প্রতিষ্ঠানভেদে ভিন্ন হলেও মূল উদ্দেশ্য একই—রাষ্ট্র ও সমাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও ন্যায়সঙ্গত শাসন নিশ্চিত করা।
-
ইউএনডিপি (UNDP) সুশাসনের ৯টি উপাদান নির্ধারণ করেছে।
-
জাতিসংঘ (United Nations) সুশাসনের ৮টি উপাদান উল্লেখ করেছে।
-
বিশ্বব্যাংক (World Bank) সুশাসনের ৬টি উপাদান তুলে ধরেছে।
-
আইডিএ (IDA) সুশাসনের ৪টি উপাদান ব্যাখ্যা করেছে।
-
এডিবি (ADB) সুশাসনের ৪টি উপাদান নির্ধারণ করেছে।
-
ইউএনএইচসিআর (UNHCR) সুশাসনের ৫টি উপাদান উল্লেখ করেছে।
0
Updated: 1 month ago
সুশাসনের বৈশিষ্ট্য নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
অংশগ্রহণ
B
স্বচ্ছতা
C
স্বেচ্ছাচারিতা
D
আইনের শাসন
সুশাসন অর্থ হলো নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী শাসন। এটি মূলত একটি উন্নয়নমূলক ধারণা, যা রাষ্ট্র পরিচালনায় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে। সুশাসন ধারণাটি উদ্ভাবন ও গুরুত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের ভূমিকা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য।
-
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বারবার কোনাবল প্রথম Good Governance শব্দটি ব্যবহার করেন।
-
বিশ্বব্যাংক সুশাসন ধারণার উদ্ভাবক হিসেবে পরিচিত।
-
১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংক প্রথমবারের মতো সুশাসন প্রত্যয়টি ব্যবহার করে।
-
সুশাসনের ধারণা আপেক্ষিক এবং বহুমাত্রিক, যা সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রেক্ষাপটে ভিন্ন ভিন্নভাবে প্রতিফলিত হয়।
-
উল্লেখযোগ্য যে, ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ সুশাসনের বৈশিষ্ট্য নয়।
সুশাসনের বৈশিষ্ট্যসমূহ হলো—
→ অংশগ্রহণ
→ স্বচ্ছতা
→ জবাবদিহিতা
→ সংবেদনশীলতা
→ আইনের শাসন
→ ঐকমত্য
0
Updated: 1 month ago
E-Governance কে 'SMART Government' বলে অভিহিত করেছেন কে?
Created: 1 month ago
A
বারবার কোনাবল
B
আব্রাহাম লিংকন
C
কফি আনান
D
চন্দ্রবাবু নাইডু
E-Governance (Electronic Governance)
-
E-Governance-এর পূর্ণরূপ হলো Electronic Governance।
-
সুশাসন প্রতিষ্ঠার আধুনিকতম উদ্যোগগুলির একটি হলো ই-গভর্নেন্স।
-
ই-গভর্নেন্সের মূল লক্ষ্য হলো দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।
-
এটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারি সেবা সমাজের সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া।
-
ই-গভর্নেন্স ব্যবস্থায় নাগরিকরা স্বল্প ব্যয়ে, ঝামেলাবিহীনভাবে, সপ্তাহে সাত দিন, দিনে চব্বিশ ঘণ্টা সরকারি সেবা পেতে পারে।
-
এর ফলে শাসন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আসে, দুর্নীতি হ্রাস পায় এবং কার্যত সুশাসন নিশ্চিত হয়।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
-
সুশাসন প্রতিষ্ঠা।
-
সরকারের জবাবদিহিতা বৃদ্ধি।
-
সরকারের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি।
-
সরকারের দক্ষতা বৃদ্ধি।
চন্দ্রবাবু নাইডুর SMART Government ধারণা:
-
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু E-Governance-কে SMART Government বলে অভিহিত করেন।
-
তাঁর মতে, SMART এর পূর্ণরূপ হলো:
-
S = Simple (সহজ সরল)
-
M = Moral (নৈতিক আদর্শপূর্ণ)
-
A = Accountable (জবাবদিহিমূলক)
-
R = Responsive (সংবেদনশীল/দ্রুত সাড়া প্রদানকারী)
-
T = Transparent (স্বচ্ছ)
-
0
Updated: 1 month ago