"স্বাধীনতা ও আইনের বিরোধ নেই" উক্তিটি করেন কে?
A
সক্রেটিস
B
এরিস্টটল
C
আর্নেস্ট বার্কার
D
লর্ড অ্যাকটন
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন এবং আইন ও স্বাধীনতার সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। আইন ও স্বাধীনতা একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত; একটির অস্তিত্ব ছাড়া অন্যটির কার্যকারিতা অর্ধেকমাত্রা পায়। তবে আইন সবসময় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সক্ষম নয়। শুধুমাত্র জনগণের জন্য এবং জনগণের দ্বারা প্রণীত আইনই প্রকৃত স্বাধীনতা রক্ষা করতে পারে। স্বেচ্ছাচারী বা স্বৈরাচারী কর্তৃক প্রণীত আইন, যেমন সামরিক আইন বা স্বৈরাচারী আইনের উদাহরণ, সবসময়ই স্বাধীনতা হ্রাস করে।
-
আর্নেস্ট বার্কারের মতে, "স্বাধীনতা ও আইনের মধ্যে বিরোধ নেই" (Liberty and law do not quarrel)।
-
জন অস্টিন বলেছেন, "আইন সার্বভৌম শাসকের আদেশ"।
-
এরিস্টটলের মতে, "আইন হলো আবেগহীন যুক্তি" বা "আইন হলো আবেগ বিবর্জিত যুক্তি"।
-
অধ্যাপক ডাইসি বলেন, "আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান"।
0
Updated: 1 month ago
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করা হয় কত সালে?
Created: 1 month ago
A
২০০৮ সালে
B
২০১০ সালে
C
২০১২ সালে
D
২০১৩ সালে
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল হলো এমন একটি নীতি ও পরিকল্পনা যা সমাজ ও রাষ্ট্রে নৈতিকতা ও সততা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। এটি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান উভয় পর্যায়ে শুদ্ধাচারের মানদণ্ড প্রচলনের জন্য প্রণীত।
-
শুদ্ধাচার বলতে সাধারণভাবে নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষ বোঝানো হয়। এটি সমাজের প্রথা, নীতি ও মানদণ্ডের প্রতি আনুগত্যকেও নির্দেশ করে। ব্যক্তি পর্যায়ে এর অর্থ হল কর্তব্যনিষ্ঠা ও চরিত্রনিষ্ঠা। এই দলিলে শুদ্ধাচারের এই সংজ্ঞা গ্রহণ করা হয়েছে।
-
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করেছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে।
-
কৌশলের মূল লক্ষ্য হলো শুদ্ধাচার চর্চা ও দুর্নীতি প্রতিরোধের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।
-
কৌশলে উল্লেখ করা হয়েছে যে রাষ্ট্র ও সমাজে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা সরকারের সাংবিধানিক ও আইনগত স্থায়ী দায়িত্ব, এবং সরকারকে অব্যাহতভাবে এই লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
উল্লেখযোগ্য বিষয়:
-
রূপকল্প: সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা
-
অভিলক্ষ্য: রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা
0
Updated: 1 month ago
'অর্থনৈতিক সাম্য ব্যতীত রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্থহীন' উক্তিটি করেছেন -
Created: 1 month ago
A
ডাইসি
B
স্পেনসার
C
লাস্কি
D
কোল
সাম্যের প্রকারভেদ বিভিন্ন রকমের হতে পারে, যেমন: সামাজিক সাম্য, রাজনৈতিক সাম্য, অর্থনৈতিক সাম্য, এবং আইনগত সাম্য।
-
অর্থনৈতিক সাম্য:
-
অর্থনৈতিক সাম্যের অর্থ সকল সম্পদ সবার মাঝে সমানভাবে ভাগ করা নয়।
-
এটি বোঝায়, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে রাষ্ট্রের সকল নাগরিককে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যোগ্যতা অনুযায়ী সমানভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া।
-
প্রত্যেকের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ করার ও ন্যায্য মজুরি পাওয়ার সুযোগ অর্থনৈতিক সাম্যের অংশ।
-
উদাহরণ: বেকারত্ব থেকে মুক্তি, বৈধ পেশা গ্রহণ ইত্যাদি।
-
কোল এর মতে, “অর্থনৈতিক সাম্য ব্যতীত রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্থহীন।”
-
0
Updated: 1 month ago
মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড হলো -
Created: 1 month ago
A
আইন ও বিধান
B
মূল্যবোধ
C
ধর্মীয় নির্দেশনা
D
শিক্ষাগত প্রভাব
মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড, যা ব্যক্তির নৈতিক ও সামাজিক সিদ্ধান্ত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি স্থায়ী নয়, বরং পরিবর্তনশীল, এবং জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে নতুন অভিজ্ঞতা ও শিক্ষার মাধ্যমে বিকশিত হয়।
-
মূল্যবোধের প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র হলো পরিবার, যেখানে শিশু তার প্রথম নৈতিক শিক্ষা অর্জন করে।
-
প্রাতিষ্ঠানিক উৎস হলো শিক্ষালয়, যা শিশু ও কিশোরদের নৈতিক ও সামাজিক আচরণের দিক নির্দেশনা প্রদান করে।
-
মূল্যবোধ হলো মানুষের চিন্তাভাবনা, আশা-আকাঙ্খা, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এবং এর মাধ্যমে তার সামগ্রিক আচরণ ও কার্যাবলী নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়।
-
শিষ্টাচার, সততা, ন্যায়বিচার, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, শৃঙ্খলাবোধ এবং মানবিক সুবিবেচিত আচরণ—এই সকল গুণাবলির সমষ্টিই মূল্যবোধ।
0
Updated: 1 month ago