সামাজিক অধিকার হলো সেই সকল অধিকার যা নাগরিকের সভ্য জীবযাপনের জন্য অপরিহার্য।

• সামাজিক অধিকারসমূহ নিম্নরূপ:
  ১. জীবনের অধিকার
  ২. ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার
  ৩. চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা
  ৪. সভা-সমিতির অধিকার
  ৫. খ্যাতি বা সম্মান লাভের অধিকার ইত্যাদি

সুশাসনের ধারণা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেছে। ফলে সুশাসনের উপাদানের সংখ্যা ও গুরুত্ব প্রতিষ্ঠানভেদে ভিন্ন হলেও মূল উদ্দেশ্য একই—রাষ্ট্র ও সমাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও ন্যায়সঙ্গত শাসন নিশ্চিত করা।

• ইউএনডিপি (UNDP) সুশাসনের ৯টি উপাদান নির্ধারণ করেছে।

• জাতিসংঘ (United Nations) সুশাসনের ৮টি উপাদান উল্লেখ করেছে।

• বিশ্বব্যাংক (World Bank) সুশাসনের ৬টি উপাদান তুলে ধরেছে।

• আইডিএ (IDA) সুশাসনের ৪টি উপাদান ব্যাখ্যা করেছে।

• এডিবি (ADB) সুশাসনের ৪টি উপাদান নির্ধারণ করেছে।

• ইউএনএইচসিআর (UNHCR) সুশাসনের ৫টি উপাদান উল্লেখ করেছে।

E-Governance (Electronic Governance)

• E-Governance-এর পূর্ণরূপ হলো Electronic Governance।

• সুশাসন প্রতিষ্ঠার আধুনিকতম উদ্যোগগুলির একটি হলো ই-গভর্নেন্স।

• ই-গভর্নেন্সের মূল লক্ষ্য হলো দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।

• এটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারি সেবা সমাজের সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া।

• ই-গভর্নেন্স ব্যবস্থায় নাগরিকরা স্বল্প ব্যয়ে, ঝামেলাবিহীনভাবে, সপ্তাহে সাত দিন, দিনে চব্বিশ ঘণ্টা সরকারি সেবা পেতে পারে।

• এর ফলে শাসন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আসে, দুর্নীতি হ্রাস পায় এবং কার্যত সুশাসন নিশ্চিত হয়।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:

• সুশাসন প্রতিষ্ঠা।

• সরকারের জবাবদিহিতা বৃদ্ধি।

• সরকারের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি।

• সরকারের দক্ষতা বৃদ্ধি।

চন্দ্রবাবু নাইডুর SMART Government ধারণা:

• ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু E-Governance-কে SMART Government বলে অভিহিত করেন।

• তাঁর মতে, SMART এর পূর্ণরূপ হলো:

  • S = Simple (সহজ সরল)

  • M = Moral (নৈতিক আদর্শপূর্ণ)

  • A = Accountable (জবাবদিহিমূলক)

  • R = Responsive (সংবেদনশীল/দ্রুত সাড়া প্রদানকারী)

  • T = Transparent (স্বচ্ছ)