সুশাসন হলো একটি বহুমাত্রিক ধারণা, যা রাজনৈতিক ব্যবস্থায় শাসনের কার্যকরী ব্যবস্থা বোঝায়। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ, ক্ষেত্র ও প্রেক্ষাপট থেকে গভর্নেন্স শব্দের ব্যাখ্যা করা হয়েছে। 'সুশাসন' ধারণার মূল লক্ষ্য হলো রাষ্ট্র ও জনগণ, সরকার ও বিরোধী পক্ষ, শাসক ও শাসিতের মধ্যে সম্পর্কের সুষ্ঠু সমন্বয় নিশ্চিত করা।
-
ম্যাককরনী (Mac Corney) বলেছেন, সুশাসন বলতে রাষ্ট্রের সাথে সুশীল সমাজের, সরকারের সাথে শাসিত জনগণের, শাসকের সাথে শাসিতের সম্পর্ক বোঝায়, তবে তিনি সরকারের সঙ্গে বিরোধীদলের সম্পর্ককে সুশাসনের অংশ হিসেবে দেখাননি।
-
'গভর্নেন্স' বা 'শাসন ব্যবস্থা'-এর সাথে 'সু' প্রত্যয় যোগ করে গঠিত হয়েছে সুশাসন (Good Governance) শব্দটি। এর অর্থ হলো নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী শাসন।
-
সুশাসনকে একক কোনো ধারণার মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত করা যায় না, কারণ এটি বহুমাত্রিক। বিভিন্ন তাত্ত্বিক, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দাতা সংস্থা সুশাসনের সংজ্ঞা বা ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন।
-
সুশাসন ধারণাটি বিশ্বব্যাংকের উদ্ভাবিত এবং ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষায় প্রথমবার Good Governance শব্দটি ব্যবহৃত হয়।
-
সমীক্ষায় বলা হয়, উন্নয়নশীল দেশের অনুন্নয়নের কারণ হলো সুশাসনের অভাব।
-
মোটকথা, যদি প্রশাসনে জবাবদিহিতা (Accountability), বৈধতা (Legitimacy), স্বচ্ছতা (Transparency) থাকে, অংশগ্রহণের সুযোগ উন্মুক্ত থাকে, বাকস্বাধীনতা ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা সুরক্ষিত হয়, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বজায় থাকে, আইনের শাসন (Rule of law) এবং আইনসভার নিকট শাসন বিভাগের দায়িত্বশীলতা কার্যকর থাকে, তাহলে সেই শাসনকে সুশাসন (Good Governance) বলা যায়।