সুশাসনের বৈশিষ্ট্য নয় কোনটি?
A
অংশগ্রহণ
B
স্বচ্ছতা
C
স্বেচ্ছাচারিতা
D
আইনের শাসন
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন অর্থ হলো নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী শাসন। এটি মূলত একটি উন্নয়নমূলক ধারণা, যা রাষ্ট্র পরিচালনায় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে। সুশাসন ধারণাটি উদ্ভাবন ও গুরুত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের ভূমিকা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য।
-
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বারবার কোনাবল প্রথম Good Governance শব্দটি ব্যবহার করেন।
-
বিশ্বব্যাংক সুশাসন ধারণার উদ্ভাবক হিসেবে পরিচিত।
-
১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংক প্রথমবারের মতো সুশাসন প্রত্যয়টি ব্যবহার করে।
-
সুশাসনের ধারণা আপেক্ষিক এবং বহুমাত্রিক, যা সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রেক্ষাপটে ভিন্ন ভিন্নভাবে প্রতিফলিত হয়।
-
উল্লেখযোগ্য যে, ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ সুশাসনের বৈশিষ্ট্য নয়।
সুশাসনের বৈশিষ্ট্যসমূহ হলো—
→ অংশগ্রহণ
→ স্বচ্ছতা
→ জবাবদিহিতা
→ সংবেদনশীলতা
→ আইনের শাসন
→ ঐকমত্য
0
Updated: 1 month ago
নৈতিকতার বড় রক্ষাকবচ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
আইন
B
বিবেকের দংশন
C
সামাজিক মূল্যবোধ
D
ধর্মীয় বিশ্বাস
নৈতিকতা
-
নৈতিকতা হলো মানুষের অন্তর্নিহিত ধ্যান-ধারণার সমষ্টি যা মানুষকে সুকুমার বৃত্তি অনুশীলনে অনুপ্রাণিত করে।
-
নৈতিকতা বা ন্যায়বোধ মানসিক বিষয়।
-
নৈতিকতা বা নীতিবোধ একান্তভাবেই মানুষের হৃদয়-মন থেকে উৎসারিত।
-
ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ, উচিত-অনুচিত বোধ বা অনুভূতি থেকেই নৈতিকতার বিকাশ ঘটে।
অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য
-
নীতিবান মানুষ ভালো-মন্দ, উচিত-অনুচিত, ন্যায়-অন্যায় ইত্যাদির মানদণ্ডে নিজেরাই চলার চেষ্টা করে।
-
নৈতিকতার পিছনে সার্বভৌম রাষ্ট্র কর্তৃত্বের সমর্থন থাকে না।
-
নৈতিকতা বিবেক ও মূল্যবোধ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়, রাষ্ট্র নৈতিকবিধি প্রয়োগ করে না।
-
নৈতিকতা বিরোধী ব্যক্তিকে রাষ্ট্র কোনো প্রকার দৈহিক শাস্তি দেয় না, বিবেকের দংশনই নৈতিকতার বড় রক্ষাকবচ।
উল্লেখযোগ্য দিক
-
নৈতিকতা মূলত ব্যক্তিগত ও সামাজিক ব্যাপার।
-
এটি মানুষের মানসিক আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
-
মানুষের কল্যাণ সাধনই নৈতিকতার প্রধান লক্ষ্য।
0
Updated: 1 month ago
মানুষের মধ্যে সামাজিক মূল্যেবোধ গড়ে উঠে-
Created: 1 month ago
A
আইনের বাধ্যবাধকতার মাধ্যমে
B
সামাজিকীকরণের মাধ্যমে
C
অর্থনৈতিক প্রণোদনার মাধ্যমে
D
উচ্চমানের প্রযুক্তি অনুসরণের মাধ্যমে
মানুষের মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠে মূলত সামাজিকীকরণের মাধ্যমে, অর্থাৎ মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক, পরিবার, স্কুল ও সমাজের অন্যান্য প্রভাবের মাধ্যমে। সামাজিক মূল্যবোধ ব্যক্তি ও সমাজের আচরণ ও নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
সামাজিক মূল্যবোধ হলো সেই চিন্তা-ভাবনা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য যা মানুষের সামাজিক আচরণ ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে।
-
সমাজবিজ্ঞানী Francis E. Merrill এর মতে, "সামাজিক মূল্যবোধ হলো মানুষের দলীয় কল্যাণের জন্য আচরণ সংরক্ষণ করা, যা মানুষ গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করে।"
-
বড়দের সম্মান করা, সহনশীলতা, দানশীল হওয়া, আতিথেয়তা ইত্যাদি সামাজিক মূল্যবোধের উদাহরণ।
-
তাই মানুষের মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠে মূলত সামাজিকীকরণের মাধ্যমে।
অন্যদিকে,
-
আইনের বাধ্যবাধকতার মাধ্যমে সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠে না।
-
অর্থনৈতিক প্রণোদনার মাধ্যমে মূলত অর্থনৈতিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠে।
-
উচ্চমানের প্রযুক্তি অনুসরণের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন সাধিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের করণীয় -
Created: 1 month ago
A
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা
B
সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা
C
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা
D
বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করা
সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং সুস্থ গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি নাগরিকেরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সামাজিক দায়িত্ববোধ সুশাসনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
-
সুশাসন (Good Governance):
-
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
-
শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যার সমাধান করা।
-
দায়িত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা করা।
-
বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করা।
-
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা।
-
-
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের করণীয়:
-
আইন মান্য করা।
-
আনুগত্য প্রদর্শন করা।
-
সামাজিক দায়িত্ব পালন করা।
-
সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা।
-
নিয়মিত কর প্রদান করা।
-
0
Updated: 1 month ago